সিঙ্গারা বানানো দেখা ও খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সিঙ্গারা বানানো দেখা ও খাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে অনেকদিন ধরে ভাবছি বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে যাব কিন্তু কাজের চাপে যাওয়া হয়নি। আসলে বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ তারা বেড়াতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। তবে আমার ছাড়া একা কখনো গিয়ে থাকে নি তাই আমার সাথে যাবে।কিন্তু আমাদের বাড়িতে এখনো অনেক ধান মাঠে আছে তাই যাওয়ার মতো কোন সুযোগ নেই। তারপরে গতকাল সকাল সকাল সব কাজ সেরে বাচ্চাদের নিয়ে বের হলাম। আসলে আমার বোনের বাসা আমাদের বাড়ি থেকে অটোরিকশা করে যেতে বিশ টাকা নেয় আর যেতে ও বিশ মিনিট এর মতো লাগে। যাইহোক যেহেতু বেড়াতে গিয়েছি তাই দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বের হলাম একটু বাইরে। তবে বের হতেই চোখে পড়ল এই সিঙ্গারা বানানো তাই অনেক ক্ষণ বসে বানানো দেখেছিলাম। অনেক সময় বানানো দেখলে আর খেতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু আজ বানানো দেখার পরে খেতে অনেক ইচ্ছা করলো। আসলে লোকটি অনেক সুন্দর করে বানিয়ে ছিল। তারা স্বামী-স্ত্রীর দুজন এভাবে সিঙ্গারা, পুরী আরো অন্যান্য কিছু বানিয়ে বিক্রি করে। লোকজন বসে বসে খায় অনেক মজা ওনাদের সব খাবার। প্রতিদিন দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্রি করে রোডের পাশে।আসলে এই এলাকায় উনারা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে পিঠা ও সিঙ্গাপুরে বিক্রি করে । তাহলে চলুন করি আমার আজকের পোস্ট ।
প্রথমে আমরা ওনার বাড়িতে গিয়ে বসলাম। আমরা গিয়ে দেখি উনারা এভাবে আলুগুলো রান্না করে ময়দা নিয়ে বসে পড়েছে সিঙ্গারা বানানোর জন্য।তারপর আমি ওনার কাছে বসে বেশ কিছু সিঙ্গারা বানানো দেখলাম।আসলে বাচ্চারা ছিল খাওয়ার চেয়ে দেখতে তারা অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছে। আসলে লোকটি এভাবে ময়দা অনেকক্ষণ মুথে নিয়েছিল তারপর রুটি বেলে নিয়েছে। আসলে রুটি গুলো বেশ সফট হয়েছে। আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে।
তারপর রুটিটা মাঝ খান থেকে এভাবে চাকু দিয়ে কেটে নিয়েছে। কেটে নেওয়ার পরে সিঙ্গারার সেপ করে নিয়েছি। তারপর আগে থেকে রান্না করে রাখা আপু গুলো সিঙ্গারার ভিতরে দিয়ে দিল। তারপর একটু পানি দিয়ে মুখ লাগিয়ে দিয়েছে। এভাবে অনেকগুলো সিঙ্গারা বানিয়ে রেখেছে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। আসলে একটা জিনিস দেখে যতটা সহজ মনে হয় করতে গেলে কিন্তু ততটাই কঠিন।
আমি প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকার মধ্যে বেশ কিছু সিঙ্গারা বানিয়ে ফেলেছে। তারপর একটা কড়াইতে অনেক তেল দিয়ে দিল। আসলে দুজনে মিলে কাজ করলে অনেক সহজ হয়ে যায়। মহিলার স্বামী বানিয়ে দিয়েছে তার মহিলা ভাজে।আসলে তারা প্রথম সিঙ্গরা বানায়,তারপর পুরি, কয়েক ধরনের পিঠে বানায়। দুপুর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত এভাবে তাদের দুজনের কাজ চলে।আসলে এগুলো করে তাদের অনেক লাভ হয়। যদি অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আসলে কষ্ট না করলে জীবনে সফল হতে পারা যায় না।
এভাবে অনেকগুলো সিঙ্গারা ভেজে রেখেছে। তারপর আমরা এত দশটা সিঙ্গারা দিলাম। সিঙ্গারা গুলো খেতে অনেক মজা হয়েছিল। আসলে গরম গরম ভাজা খেতে বেশ মজার।তারপর আমরা বাসায় আসার সময় আরো কিছু সিঙ্গারা নিয়ে আসলাম। সর্বোপরি বেশ ভালই সময় কাটিয়েছি সিগারা বানানো দেখতে গিয়ে। সেই সাথে বেশি মজা করে খেয়েছিলাম। আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
পরিক্ষা শেষ হলে বাচ্চাদের বায়না শুধু ঘুরতে যাওয়ার।কাজের চাপে ও বাচ্চাদের জন্য বোনের বাসায় গেছেন জেনে ভালো লাগলো।একদমই ঠিক বলেছেন অনেক সময় বানানো দেখলে খাওয়ার রুচি থাকে না।এই সিংগাড়াওয়া অনেক পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর করে সিংগাড়া বানানোর যাবতীয় বর্ননা করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
জি আপু অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অনেক ভালো লেগেছিল খেতে, ধন্যবাদ আপু।
গরম গরম সিঙ্গারা খেতে ভীষণ মজা লাগে। বিশেষ করে এখন তো শীতকাল আর ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে গরম সিঙ্গারা হলে তো কোন কথাই নেই। জমিয়ে খাওয়া যায়। আমি সিঙ্গারা খেতে ভীষণ পছন্দ করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
সীঙ্গারা বানানো ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি পাশেই একজনের বাসা তারা এগুলোর ব্যবসা করেন।তো আপনার প্রথম দেখা অনুভুতি অবশ্যই সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি তো দেখছি আজকে সিঙ্গারা বানানো দেখেছেন ও খাবার মুহূর্ত যখন করেছেন আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো এবং আপনি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো এবং অনেকে মজা করে আপনারা সকলে মিলে এটা বানিয়েছেন চমৎকার ছিল। বাড়িতে সিঙ্গারা তৈরি করলে ওটা ভীষণ মজা লাগে বাজারের থেকে
প্রশংসনীয় মতামতের জন্য আবার অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইস্ গরম গরম সিঙ্গারা দেখে তো খেতে লোভ লেগে যাচ্ছে। আসলে ছোটবেলা থেকেই সিঙ্গারা, পুরী, বেগুনী, আলুর চপ, পিয়াজু ও ছোলা ভূনা সব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছি। কারণ আমরা যেখানে থাকতাম সেখানে এক আন্টিদের বড় হোটেল ছিল। প্রতিদিন রাতে এগুলো আয়োজন করে রাখতো। আর সারাদিন বানাতো। আর আপনার আজকের প্রথম সিঙ্গার বানানোর অনুভূতিটা আমি অনুভব করতে পারছি। আপু আমিও প্রথম প্রথম যখন ছোটবেলা দেখতাম তখন খুব আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। সিঙ্গারা বানানো দেখার প্রথম অনুভূতিটাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পরীক্ষা শেষ হলে সবাই ইচ্ছে করে বেড়াতে যেতে। বাচ্চারা শুধু কখন পরীক্ষা শেষ হবে এটার অপেক্ষায় থাকে। কারণ তারা জানে পরীক্ষা শেষ হলে বেড়াতে যাবে। আপনার বাচ্চারা ও বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছিল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে। তবে বাড়িতে কাজ থাকার কারণে আপনি সময় সুযোগ বুঝে যেতে পারতেছেন না কোথাও। তবে আপনার বোনের বাসায় গিয়েছিলেন এবং সিঙ্গারা বানানো দেখেছিলেন আর খেয়েছিলেন এটা দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছিলেন এই সিঙ্গারা।
এই ধরনের ভাজি জাতীয় খাবার সবাই পছন্দ করে। আমি বাজারে গেলেই বন্ধুদের সাথে যেটা উপভোগ করে থাকি। আপনি আজকে সিঙ্গারা বানানো এবং খাওয়া দারুন একটা মুহূর্ত ছিল। যেটা মাঝে মাঝে খেতে ভালই লাগে। সে দৃশ্যটি আমরাও ভালোভাবে উপভোগ করলাম।
আপু সিঙ্গারা একটি লোভনীয় খাবার। এটা দেখলে সবাই লোভ সামলাতে পারে না। আপনার পোষ্টে দেখলাম কড়াইয়ের তেলটা নতুনই লাগলো। আর পরিষ্কার পরিছন্নতা ঠিক আছে। খাওয়া যায়। দারুন অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। ধন্যবাদ।
গরম গরম সিঙ্গারা দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে। শীতের সময় এরকম গরম গরম সিঙ্গারা খাওয়ার মজাটাই একেবারে আলাদা হয়। লোকটা গরম গরম খাবার গুলো নিজের হাতে তৈরি করত এবং তার স্ত্রী এগুলো তেলে ভাজা করত, এই বিষয়টা দেখে খুব ভালো লেগেছে। সিঙ্গারা তৈরি করাও দেখেছেন, আবার খেয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন বুঝতেই পারছি। বাচ্চারা বেড়াতে যেতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু আপনার বাচ্চারা আপনাকে ছাড়া যাবে না দেখছি।