হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid420 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

source

চরিত্রহীনা।এমন এক জঘন্য বাস্তবতা যখন চোখে পড়ে, তখন মনে প্রশ্ন জাগে—মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে? নিজের ইচ্ছায় পাপ কাজ করে, তারপর সেই নোংরা কাজের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া—এ যেন মানবতার মুখে থুথু মারা। একজন মানুষ নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে যদি নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলতে পারে, তবে সে শুধু অপরাধী নয়, সে হলো এক ঘৃণ্য প্রতারক, এক কপট শয়তান। সমাজে এর চেয়ে বড় নৈতিক অধঃপতন আর কী হতে পারে! নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য অন্যকে অপমানিত করা, কষ্টে ফেলা, তার মান-সম্মান ধ্বংস করা—এসবই এক ভয়ঙ্কর নোংরামি। পাপ কাজ হলো নিজের দুর্বলতা, নিজের অন্ধকার প্রবণতার ফলাফল। সেই পাপ ঢাকতে গিয়ে মিথ্যার দেয়াল গড়া মানে হলো নিজের অন্তরের পশুত্বকে আরও উন্মুক্ত করা।

একজন নারী বা পুরুষ—যেই হোক না কেন—যদি গোপনে নিজের লালসা, নিজের কামনা বা স্বার্থের জন্য ভুল পথে পা বাড়ায়, তবে সেই দায় তার নিজের কাঁধেই বহন করতে হবে। কিন্তু যখন দেখা যায়, সে মুখে ফেরেশতার মুখোশ পরে দাঁড়িয়ে থাকে, অথচ ভেতরে এক ভয়ঙ্কর বিষধর সাপের মতো মিথ্যার বিষ ছড়ায়, তখন ঘৃণায় মন বিদীর্ণ হয়ে যায়। মিথ্যা বলে কি সত্য চাপা দেওয়া যায়? নিজের ইচ্ছায় করা পাপ কি কখনো মুছে যায়? না, তা যায় না। মিথ্যার আড়ালে হয়তো কিছুদিন নিজেকে নিরাপদ ভাবা যায়, কিন্তু সত্যের আগুন একদিন না একদিন সেই মুখোশ পুড়িয়ে দেয়।

এমন মানুষদের চরিত্র হলো দুর্বল, মেরুদণ্ডহীন। তারা জানে না সত্যের সামনে দাঁড়াতে হয় সাহস নিয়ে। বরং তারা অন্যকে বলির পাঁঠা বানিয়ে নিজের নোংরা ইচ্ছা পূরণের পথ বেছে নেয়। এই ধরনের মানুষদের জন্য করুণা নয়, শুধু ঘৃণা প্রাপ্য। কারণ এরা সমাজের বিশ্বাসকে ধ্বংস করে, সম্পর্কের মমতা কেড়ে নেয়, মানুষের চোখে সন্দেহের কালো পর্দা নামিয়ে আনে। নিজের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া মানে হলো নিজের মানবিকতা খুন করা।

যারা ভাবে মিথ্যা বলে পাপ ঢেকে ফেলা যায়, তারা আসলে এক ভয়ঙ্কর ভ্রান্তির শিকার। পাপের দায় মিথ্যা দিয়ে ধুয়ে ফেলা যায় না, বরং সেই দায় আরও ভয়ঙ্কর রূপে ফিরে আসে। কারণ সত্যকে যতই আড়াল করা হোক, তা একদিন বের হয়েই আসে। তখন সেই মিথ্যার জাল ছিঁড়ে গিয়ে পাপীর আসল চেহারা সমাজের সামনে নগ্ন হয়ে যায়। এরা হলো সেইসব মানুষ, যাদের জন্য অন্যরা অকারণে কষ্ট পায়, অপমানিত হয়, জীবনের শান্তি হারায়। অথচ আসল অপরাধী বুক ফুলিয়ে চলে বেড়ায়—এ দৃশ্য সত্যিই ঘৃণ্য ও জ্বালাময়।

, তবে এই মিথ্যাবাদী স্বার্থপরদের আস্ফালন আরও বাড়বে। , ঘৃণা প্রকাশ জরুরি। কারণ যে নারী নিজের পাপ অন্যের নামে চাপিয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চায়, সে সমাজের ক্যান্সার। তাকে থামানো না গেলে সত্য, ন্যায় ও বিশ্বাস ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের জানা উচিত—সত্যকে অস্বীকার করা যায় না, আর পাপকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। শেষমেশ তাদেরই মুখোশ খুলে যাবে, আর তখন মানুষ শুধু ঘৃণার দৃষ্টিতেই তাদের দেখবে।

এই জঘন্য চরিত্রের মানুষের প্রতি তাই একটাই কথা—নিজের ইচ্ছায় করা পাপ নিজের বুকেই বয়ে বেড়াও। অন্যকে দোষারোপ করে স্বার্থ হাসিল করতে চেয়ো না। কারণ মিথ্যা সাময়িক ঢাল হতে পারে, কিন্তু শেষমেশ তা-ই হবে তোমার ধ্বংসের হাতিয়ার। সত্যের সামনে সব মিথ্যা ভেঙে যায়, আর সেই ভাঙনের শব্দ সমাজের প্রতিটি কানে পৌঁছে যায়।