হঠাৎ অসুস্থতা।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১৪ অগ্রহায়ন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
৭ ই ডিসেম্বর ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।
আজ রোজ বৃহস্পতিবার
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ
প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কাল একটু সমস্যার কারনে পোস্ট করতে পারিনি তাই আজ সকাল সকাল পোস্ট করার জন্য বসেছিলাম।কিন্তু কাল রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারনে সকাল সকাল বিদ্যুৎ নেই তাই নেটওয়ার্ক ও নেই এই জন্য আবার পোস্ট লিখতে ঝামেলা হয়েছে। কাল বৃষ্টি হওয়াতে সকাল সকাল থেকে বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।এই সময়ে কম বেশি সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ঠান্ডা তে ভুগছিলাম আজ থেকে গলা ব্যথা দেখছি।যাই হোক কাল একটু ঝামেলার কারন বলছি।
আমার নতুন অথিতি অর্থাৎ আমার মেয়ে কাল সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ অনেক কান্না করছে।কান্না মানে অনেক কান্না। চিৎকার করতে করতে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।কোন ভাবেই কমছে না।বাসার সবাই অস্থির হয়ে যাচ্ছে। কোন ভাবেই কমছে না।ওর জন্মের পর আর কখন ও কান্না করেনি।তারপর তাড়াতাড়ি করে শিশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। আসলে আমার ছেলের বেলা এমনকি আমি ছোট বেলাতেও এই শিশু ডাক্তার দেখিয়েছে আমার বাবা মা।যাই হোক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ঐখানে যেয়ে দেখি সিরিয়াল অনেক পিছনে।এর মধ্যে ওর কান্না কমছে না।
তারপর ডাক্তারেরঅ্যাসিস্ট্যান্ট কে বললাম সিরিয়াল টা আগে করে দিতে কারন আমার বাবু বেশ কান্না করছিলো।ওর কান্না দেখে সবাই বলছে ওকে আগে দিয়ে দিতে।ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম। যাওয়ার পর ও কান্না।ডাক্তার দেখবে কি ওর কান্নার জন্য কোন রকম কিছুই দেখতে পারছে না।
সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত কেন জানি একটু কান্না থামলো আমাকে ডাক্তার বললো নড়াচড়া না করতে তাহলে ওকে দেখতে পারবে।আসলে ওকে জামা পরার সময় না হয় নেওয়ার সময় হয়ত একটু দিক বেদিক হয়েছে যার জন্য ও হাতে ব্যথা পেয়েছে যার জন্য ব্যথায় সে অনবরত কান্না করছে।ব্যথায় গায়ে জ্বর চলে এসেছে। আর আগ থেকেই সর্দি আছে।ডাক্তার ব্যথার ঔষধ দিল তারপর একটা নাকের ড্রপ দিলো আরেকটা ঘুমের ঔষধ দিলো।
বাসায় আনার সময় ও কান্না। কান্না করতে করতে গলা ভেঙে গিয়েছে। ঔষধ খাওয়ার অনেক ক্ষন পরে কমেছে। আল্লাহর রহমতে এখন কমেছে। আসলে সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমত হচ্ছে সুস্থ্যতা।আসলে ছোট বাচ্চা অসুস্থ হওয়ার চেয়ে বড় মানুষ অসুস্থ হওয়া ভালো। কারন ওরা কিছু বলতে পারে না কি করবো না করবো বেশ অস্বস্তি লাগে।আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম কি না কি হলো এই দিকে টিকা দেওয়ার সময় চলে আসছে।
আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
আসলে বাচ্চাদের দেহে ব্যথা অনুভূত হলে তারা বলতে পারে না। শুধু কান্না করে। এখন থেকে আপনার বাচ্চাকে আরও সাবধানে রাখবেন। তবে ভালো লাগলো যে আপনি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন। আপনার মেয়ে সার্বিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠুক এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।
আসলে বাচ্চাদের কোন সমস্যা হলে বেশি টেনশন হয়। কারণ তারা কিছু বলতে পারেনা যে তাদের কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে। যাক আল্লাহর রহমতে ঔষধ খাওয়ানোর পরে বাচ্চা মোটামুটি সুস্থ আছে যেন ভালো লাগলো। আশা করি খুব শীঘ্রই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
আরে আপু পোস্ট তো সারা জীবনই করা যাবে। আগে তো সংসার আর বাচ্চা কাচ্চা। আপনি তো দেখছি গতকাল বেশ ঝামেলায় ছিলেন। যদি গতকাল বেস্ট ঝামেলায় ছিলেন। সত্যি কিন্তু আপু সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত। আর সেই রহমতের জন্য আমরা এখনো সুস্থ আছি। ভালো লাগলো বাবুর ব্যথা কমেছে এটা জেনে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য এবং বাবুর জন্য।
আসলে আপু মানুষের জীবনে কখনো কি হয় বুঝা মুশকিল। আপনার মেয়ে হয়েছে আজ জানতে পারলাম। সত্যি বলেছেন আপু ছোট মানুষ অসুস্থ হলে কিছুই করার থাকে না আমাদের ওরা কিছু বলতে পারে না।সত্যি সুস্থতা আল্লাহর বড় নেয়ামত। আপনার মেয়ে এখন সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
আপনার মেয়ের এমন অনবরত কান্নার কারণ আসলেই ব্যাথা পেয়েছিল কোন না কোন ভাবে।বলতে তো পারে না তাই এমন কান্না করে।তবে একটু কমেছে কান্না ডাক্তারের কাছে গিয়ে। জেনে ভালো লাগলো বাচ্চাদের অসুস্থতায় কিছু ভালো লাগে না।সাবধানে রাখবেন। ওদের শরীর হার গোর এতোটাই নরম হয় যে একটুতেই লেগে যায় ব্যাথা।ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করে আপনার মেয়ের অসুস্থতার কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।