নিভৃতকে ডাক্তার দেখানো এবং ওষুধ কেনা নিয়ে বিভ্রান্তি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
চারদিকে যে আবহাওয়া সবার অসুস্থতা লেগেই আছে। তবে অসুস্থতার সময়ও আমাদের কাজ করে যেতে হয়। তাই আজকে আপনাদের মাঝে আর একটা পোস্ট নিয়ে এলাম। যেখানে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার অসুস্থ ছেলেকে ডাক্তার দেখানো এবং ওষুধ কেনা নিয়ে বিভ্রান্তির মুহূর্তগুলো।
আসলে নিভৃতের সর্দি-কাশি লেগেছে কিছুদিন হল। তবে খুব বেশি না বিধায় তাকে কোন ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। শুধুমাত্র আদা দিয়ে চা খেলে মোটামুটি সুস্থতা তার মধ্যে দেখা দিয়েছিল। তাই তাকে ডাক্তার দেখানোর চিন্তা বা বাড়তি কোন ওষুধ খাওয়ানোর চিন্তা করিনি। বাচ্চাদেরকে সবসময় কথায় কথায় যদি ওষুধ খাওয়ানো হয় তাহলে তাদের ইমিউনিটি সিস্টেমটা অনেকটা লস করে। যাই হোক তবে তার বেশ কিছুদিন যাবত চুলকানির সমস্যাটা বেড়েছে।
যেহেতু ওর আড়াই বছর তাই তাকে গরুর দুধ দিয়ে বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়ানো হয়। তবে রিসেন্টলি গরুর দুধ না খাওয়ানোর পরেও দেখলাম তার চুলকানির পরিমাণটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। চুলকানি জাতীয় খাবার তাকে খাওয়ানোই যাচ্ছে না। একদিন দুপুর বেলা সে বেগুন ভাজি খেয়েছিল। আর সেদিনের পর থেকেই মোটামুটি চুলকানির সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। এতে বুঝলাম বেগুনের মধ্যে তার প্রচুর এলার্জি। কিন্তু গরুর দুধে তার তেমন কোন সমস্যা হয় না।
যাই হোক এলার্জির পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে দুই রাত সে একটুও ঘুমায়নি আমাদেরকেও ঘুমাতে দেয়নি। সারারাত ধরেই শুধু চুলকাচ্ছে চুলকাচ্ছে বলেই আমাদেরকে জাগিয়ে রেখেছিল। আর একটা জায়গায় ক্ষত হয়ে গিয়েছে।এই জন্যই ভাবলাম এবার ডাক্তার দেখাতেই হবে। সেজন্যই সকালবেলা সেদিন ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে রেখেছিলাম এক ভাইয়ের মাধ্যমে। তারপর দুপুরবেলা চলে গেলাম যেহেতু চারটা পর্যন্ত ডাক্তার থাকবে সেই হিসেবে এর আগেই সিরিয়াল দিয়েছিলাম।
হসপিটালে যখন আমরা গেলাম তখন আমরা ভিজিট দেয়ার পর পরই ডাক্তার আমাদেরকে ডাক দিল। বেশিক্ষণ সময় অপেক্ষা করতে হয় নি সেদিন। ভাগ্য ভালো নিভৃতও সেদিন কান্না করেনি। ডাক্তার তাকে দেখে কিছু ওষুধ দিলো। এরপর আমরা ফার্মেসিতে গেলাম ওষুধ কেনার জন্য। আমরা রেগুলার যে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনি সে ফার্মেসিতে যাওয়ার পর আমরা একটা ওষুধ পাইনি। তিনি একটা ফার্মেসির কথা বলেছে সেখানে ঐ ওষুধ পাওয়া যাবে। তবে তিনি সেখানে যেতে পারবেন না একটা সমস্যা রয়েছে। তাই আমাদেরকে ওষুধের নাম দিয়ে বলল সেখানেই পাবন।তবে এর দাম ১২৫ টাকা তারা হয়তো একটু বেশিই বলবে। সে অনুযায়ী আমরা তার বলা ফার্মেসিতে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে ওষুধ টা সার্চ করতেই বলল সেটার দাম ২০০ টাকা। তাও প্যাকেট নেই। আলাদা প্যাকেট করে দেয়।
ভাবা যায়!ঐ ভাই এটার দাম যদি আমাদেরকে আগে থেকে বলে না দিত তাহলে আমরা হয়তো ২০০ টাকা দিয়েই কিনে ফেলতাম। তখন আমার হাজব্যান্ড বললো এটাতো ১২৫টাকার ঔষধ আপনারা ২০০ টাকা বললে হবে নাকি, কিছুটা কমিয়ে রাখেন। তবুও তারা কমাতে চাচ্ছেনা। পরে ভাবলাম দুটো ওষুধ নিয়ে অনেকটা দাম কমানো যাবে হয়তো। তাই দেড়শ টাকা করে ৩০০ টাকা দিয়েই দুটো ওষুধ কিনতে হয়েছে। এই ঔষধ যেহেতু বাজারে সাপ্লাই কম সেই অনুযায়ী এই ঔষধের দাম অনেক বেশি রাখছে। কিছু কিছু ফার্মেসি এই অসাধু ব্যাবসায়ের সাথে জড়িত। তারা কিছু সংকটের ওষুধ নিয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে। যাই হোক পরে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে কফি খেয়ে নিলাম। আর সেখানেই ছবিগুলো তুলেছিলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের সাথে অনেক সময় এরকম হয় আপু আমাদের জানাশোনা ঔষধ কিন্তু অন্য ফার্মেসিতে গেলে দাম বেশি বলে ফেলে। আপনারা রেগুলার ফার্মেসিতে ওষধ না পেয়ে ওনার কথামত অন্য ফার্মেসিতে গিয়ে ঔষধের দাম বেশি হয়ে যায়। সত্যি কিছু কিছু ফার্মেসির লোক ঔষধ ঠিক দেয় না আবার দাম বেশি নেই। যাইহোক পরবর্তীতে আপনারা দুইটা ঔষধ নিয়েছিলেন এতে দাম কম পেয়েছেন।
জ্বী আপু এগুলো নিয়ে সিন্ডিকেট করা হয় এজন্যই তো সবাই অনেক বেশি বিভ্রান্তিতে পড়ে।
শিশুদের শরীর খারাপ হলে দিন মোটেই ভালো যায় না। আপনার ছেলের খুব তাড়াতাড়ি শরীর সুস্থ হয়ে যাক সেই প্রার্থনাই করি। তবে শীতের দিনে বাচ্চারা একটু ভোগে। তাই তা নিয়ে খুব চিন্তা করবেন না। সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাইয়েছেন, আর সারতে বেশি সময় লাগবে না।
বাচ্চারা ভুগলেই তো বড়দের কষ্ট হয় ভাইয়া। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই আপু বাচ্চাদের যত মেডিসিন কম খাওয়ানো যায় ততই ভালো। এরকম এলার্জি আমার ছেলের ও হয়েছিল।ওর ছোট সময়ে এলার্জি উঠেছিল শরীরে।ওর এমনিতে এলার্জি কখনও ছিল না।তখন ডাক্তার বলেছিল দুটো এলার্জির খাবার একসাথে খাওয়ানো হয়েছে বলে এটা হয়েছে।যাই হোক আপনার ছেলের সুস্থতা কামনা করছি।ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে।
শুধুমাত্র বেগুন খেয়ে তার বেশি খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল আপু। ডাক্তার দেখানোর পর এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে।
এমন আবহাওয়াতে সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।কিন্তু বাচ্চাদের জন্য এটা খুবই চিন্তার বিষয়।নিভৃত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক সেই কামনা করছি, এই সময়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের প্রতি।শুভকামনা রইলো আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু, দোয়া করবেন।