ছোট গল্প: শেষ চিঠির দিন।❤️

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001


আজ ১১ মে রোজ রবিবার ২০২৫ ইং:।

বাংলায় ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।

হ্যালো বন্ধুরা........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি পরিবার পরিজনদের নিয়ে। আশাকরি আপনারাও অনেক ভালো আছেন পরিবার নিয়ে। প্রতিদিনের মতো আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি একটি ছোট গল্প পোস্ট শেয়ার করবো।আশাকরি আমার লেখা ছোট গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

hands-7679387_1280.jpg

Source

শরতের সেই সকালটা আজও শ্রাবণার মনে গেঁথে আছে। চারপাশে সাদা কুয়াশা, তালপাতার ছায়া মেখে একটা নিঃশব্দ গ্রাম, আর তার বুকের ভেতরটায় অসমাপ্ত কিছু শব্দের ভার।শ্রাবণার বয়স তখন মাত্র আঠারো।পড়াশোনার বাইরে তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ ছিল ডায়েরি লেখা। প্রতিটি পাতায় সে লিখত সেই ছেলেটির কথা, যে ছিল তার ছোটবেলার বন্ধু, ছায়াসঙ্গী, আর অচেনা ভালোবাসার প্রথম পাঠশালা অভি।অভি ছিল চুপচাপ, খুব বেশি কথা বলত না, তবে তার চোখে ছিল অন্যরকম এক ভাষা। ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে, দু'জনের ছায়া পড়ত পাশাপাশি। কারও মুখে কিছু থাকত না, তবু সব বলা হয়ে যেত। একবার শরতের দুপুরে অভি শ্রাবণাকে বলেছিল, “একদিন যদি চলে যাই, ডাকে লিখবি তো?” শ্রাবণা হেসে বলেছিল, “তুই চিঠির উত্তর দিবি তো?”তবু জীবন তো চিঠির উত্তর দেয় না সবসময়। উচ্চমাধ্যমিকের পর অভি হঠাৎই চলে যায় শহরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর শ্রাবণা থেকে যায় গ্রামের পুরনো বাড়ির জানালায়, অপেক্ষার চৌকাঠে বসে।প্রথমে দুই মাসে একটা চিঠি আসত। তারপর চার মাস। তারপর একটা বছর কেটে গেল নিঃশব্দে।একদিন হঠাৎ শ্রাবণার হাতে এসে পৌঁছাল একটি চিঠি। কাগজটা পুরনো, কিন্তু অক্ষরগুলো ভেসে উঠছে আগুনের মতো। অভি লিখেছে আমি জানি অনেক দেরি হয়ে গেছে। তুই হয়তো অভিমান করে সব ভুলে গেছিস। কিন্তু আমার মনের ঠিক এক কোণায় তোর নামটা আজও ঠিক আগের মতোই লেখা আছে। আমি ফিরছি। চিরতরে।শ্রাবণা সেদিন চিঠিটা বুকের কাছে চেপে ধরেছিল। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সে দেখছিল দূরে ধুলোমাখা রাস্তাটা। অভি সেই রাস্তায় আসবে এই বিশ্বাসই যেন তার সমস্ত অস্তিত্বে বেঁচে থাকার মতো আলো ছড়িয়ে দিয়েছিল।অভি ফিরেছিল। তবে জীবনের নিষ্ঠুর নিয়মে নয়, মৃত্যুতে। রাস্তায় এক দুর্ঘটনায় সে আর ফিরতে পারেনি শ্রাবণার জীবনে, শুধু সেই শেষ চিঠিটাই ছিল তার আসার একমাত্র প্রমাণ।শ্রাবণা আজও সেই চিঠির দিনটিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তার ডায়েরির পাতায়, প্রতিটি নিঃশব্দ অপেক্ষার ছায়ায় একটি শেষ চিঠির কথা, যা না বলা হাজার কথার মতোই গভীর।


পোস্টের বিষয়ছোট গল্প
পোস্টকারীতানহা তানজিল তরসা
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা
আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর লেখার অমিল ও ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেবেন।


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি তানহা তানজিল তরসা। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

Banner.png

20250510_210435.jpg