কালারস ডে উপলক্ষ্যে ছেলের জন্য কেনাকাটা
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ছোট ছেলের ক্লাসে কালার্সডে সেলিব্রেট করছে। এজন্য বাচ্চাদেরকে একেকদিন একেক কালারের ড্রেস পড়ে যেতে বলেছে। সেদিন তাদেরকে বিভিন্ন কালার সম্পর্কে জানানো হবে এবং যেই কালারের ড্রেস পড়ে যাবে সেই কালারের বিভিন্ন ফুল ফল কালার করতে হবে। লাল, হলুদ এবং নীল এই তিনটি কালারের ড্রেস পড়ে যেতে বলেছে। এখন ছোট ছেলের এই তিন কালার গেঞ্জি আছে কিন্তু সেগুলো একবার করে পড়ে ফেলেছে। তাই ভাবলাম যে যেহেতু স্কুলের একটি প্রোগ্রাম নতুন গেঞ্জি না কিনলে কেমন হয়। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে চলে গিয়েছিলাম ছেলের গেঞ্জি কেনার জন্য।
এমনি সময় গেলে বিভিন্ন কালারের টি-শার্ট দেখা যায়। কিন্তু সেদিন কেন যেন এই তিনটি কালারের টি-শার্ট কোন দোকানেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরেও এই তিন কালারের কোন টি শার্ট পছন্দ হলো না। বিশেষ করে যেগুলো পছন্দ হয় সেগুলো ছোট অথবা বড়। তাই অনেক দোকান ঘুরতে হয়েছে টি-শার্ট খুঁজে পেতে।
Torr এর শোরুমে বাচ্চাদের সুন্দর সুন্দর গেঞ্জি পাওয়া যায়। কিন্তু সেদিন ওখানে গিয়েও কালার মত গেঞ্জি না পেয়ে অন্য কালারের গেঞ্জি প্যান্ট পছন্দ হয়ে গেলো সেগুলো কিনেছি। তাদের শোরুমের ভিতরে এরকম একটি আয়না ছিলো। আমার দুই ছেলে আয়নার সামনে গিয়ে খেলছিলো। আর ছোট ছেলে তো ছবি তুলতে বলছিল। তাই একটি ছবি তুলেছিলাম।
নিচের শোরুমটিতে দেখলাম যে উপচে পড়া ভিড়। প্রথমে কারণ বুঝতে পারিনি। পরে দেখলাম যে ফ্লাট ফিফটি পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট চলছে। এজন্যই মনে হল যে যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলের সকল কাস্টমার এই দোকানে ভিড় করেছে। আসলে ডিসকাউন্ট দেখলে বাঙালিরা একটু বেশি যায় সে দোকানে।
এমনি কোন দিন শপিং করতে গিয়ে এত ঘুরাঘুরি করতে হয়নি। কারণ তখন যেগুলো পছন্দ হয় সেগুলো কিনে ফেলি। আজকে যেহেতু কালার নির্দিষ্ট তাই অনেক বেশি ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে। সবশেষে Artisan এ গিয়েছিলাম। এখানে গেঞ্জি তেমন একটা পছন্দ হতো না। এজন্য এবার শুরুতে যায়নি। কিন্তু শেষে গিয়ে এই দোকানেই কালার মত গেঞ্জি পেয়ে গেলাম। তখন ভাবছিলাম যে শুরুতে এখানে আসলে এত ঘোরাঘুরি করতে হতো না। তিনটি কালারেরই গেঞ্জি এখান থেকেই কিনেছিলাম।
এত কষ্ট করে গেঞ্জি কিনলাম কিন্তু যেদিন হলুদ কালারের গেঞ্জি পড়ে যাওয়ার কথা ছিল সেদিন ঝড়ের কারণে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। তারপরের দিন নীল কালারের গেঞ্জি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনও ঝড়ের কারণে স্কুল বন্ধ দিয়ে দিয়েছিল। তাই ভাবছিলাম যে শুধু শুধু কষ্ট করে গেঞ্জি গুলো কিনলাম। বাচ্চা ইনজয় করতে পারলো না। যাই হোক পরবর্তীতে কাজে লাগবে গেঞ্জিগুলো।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে স্কুলে এরকম ধরনের অনুষ্ঠানগুলো হলে সেখান থেকে বাচ্চারা অনেক কিছুই জানতে পারে। এমনকি সে সাথে খুব ভালো সময়ও অতিবাহিত করতে পারে। তিন কালারের গেঞ্জি পড়ে যাওয়ার কথা বলার কারণে, আপনি আপনার বাচ্চাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে গেঞ্জি গুলো কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঝড়ের কারণে আর স্কুলেই যেতে পারেনি শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। তবে আশা করছি এই গেঞ্জি গুলো পরবর্তীতে কাজে লাগবে খুব ভালোভাবে। আপনার ছেলের জন্য কেনাকাটা করার মুহূর্তটা এত সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো খুব এনজয় করে। দেখতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কালার্স ডে তে আপনার ছেলের স্কুলে অনুষ্ঠান হওয়ার বিষয়টা শুনে আমার কাছে কিন্তু খুব ভালো লেগেছে। স্কুলে যে কোন রকম অনুষ্ঠান হলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কারণ এই অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারে জানতে পারে। যদিও শপিংমলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে আপনি তিন কালারের গেঞ্জি আপনার ছেলেকে কিনে দিয়েছিলেন, কিন্তু ঝড়ের কারণে তো স্কুলে যেতে পারেনি। আবার স্কুলও বন্ধ দিয়ে দিয়েছিল ঝড়ের জন্য। বাচ্চারা আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি। আর এগুলো ভাবতেই খারাপ লাগছে। আশা করছি পরবর্তীতে ভালো মুহূর্ত কাটাতে পারবে।
বৃষ্টির জন্য পরবর্তী দুই দিনের অনুষ্ঠান সেভাবে ইনজয় করতে পারেনি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এত ঘুরাঘুরির পর এত কষ্ট করে গেঞ্জি গুলো কিনলেন, তবে গেঞ্জিগুলো সাময়িকভাবে কোন কাজে আসলো না। বৃষ্টির কারণে সবকিছুর মধ্যে সমস্যা হয়ে গেল। বিষয়টি সত্যিই দুঃখ জনক। তবে পরবর্তীতে কাজে আসবে। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু এত ঘোরাঘুরি করে গেঞ্জিগুলো কেনা হয়েছিল কিন্তু বাচ্চা ইনজয় করতে পারেনি। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আজকাল স্কুলগুলোতে কত যে প্রোগ্রাম হয় তার কোন হিসাব নেই। তবে এ ধরনের প্রোগ্রাম এ বাচ্চারা বেশ মজা করে।সেই সাথে নতুন কিছু শিখতে পারে। তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর যদিও বা গেঞ্জি পেলেন,সেই গেঞ্জি সেই ডেতে কাজই লাগল না বৃষ্টির জন্য। তবে বাচ্চা নতুন কিছু গেঞ্জি পেলো। তাতেই বাচ্চা খুশি।
এই ধরনের প্রোগ্রাম হলে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারে। বাচ্চাদের জন্য বেশ ভালোই। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আহারে আপু! শেষ এ এসে তো মন খারাপ হয়ে গেলো! ছেলেটা নিশ্চয়ই অনেক এক্সাইটেড ছিলো কালারস ডে সেলিব্রেশনের সুযোগ পেয়ে! তবে ঝড়ের কারণে একদিন নিজেই যেতে পারলো না আরেকদিন স্কুল ই বন্ধ ঘোষণা করেছে ! স্কুল খুললেই আশা করি আবারও কতৃপক্ষ এই বিষয় এ তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন আবারও!
বাচ্চাও খুব মন খারাপ করেছিল এই অনুষ্ঠানে যেতে না পারার জন্য। কিন্তু কি আর করার। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।