বাচ্চাদের জন্য খেলনা কেনা

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি যে স্টিমিট এ কাজ করি বাচ্চারা এগুলো সব সময় দেখে। তারা মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে আমার কাজে। কিন্তু তাদের মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে বাবা তো অফিসে কাজ করে বাবা স্যালারি পায় তাহলে আমি কবে স্যালারি পাব? আমার স্যালারির খোঁজ করার কারণ হলো তাদেরকে গিফট কিনে দিতে হবে স্যালারির টাকা দিয়ে। আমি তো সবসময় কাজ করি তাদেরকে অনেকদিন কিছু কিনে দেই না। এজন্য তাদের এই বায়না। তাই ভাবলাম যে বাচ্চারা যেহেতু বায়না করেছে স্যালারি পাই আর না পাই বাচ্চাদেরকে কিছু কিনে দিতে হবে। তা আবার আমার টাকা দিয়ে বাবার টাকা দিয়ে দিলে হবে না। তাই গিয়েছিলাম বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনতে। খেলনা কেনার পাশাপাশি আমারও টুকটাক কেনাকাটা ছিল সেগুলোও সেরে নিয়েছিলাম। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলে গিয়েছিলাম। বাসার পাশে এই শপিংমল হওয়ার কারণে টুকটাক এবং প্রয়োজনীয় যাই দরকার হয় এখানে গিয়ে কেনাকাটা করি। দূরে যাওয়া অনেক ঝামেলা। এজন্য কাছাকাছি শপিং করি। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলে এমন কিছু নেই যে পাওয়া যায় না। এক জায়গায় গেলে সব ধরনের জিনিস কেনা হয়ে যায়।


IMG_1917.jpeg


IMG_1918.jpeg


আমরা বাসা থেকে দুপুরের দিকে বের হয়েছিলাম। শুরুতে গিয়ে আমার একটি হাত ব্যাগ কেনার দরকার ছিল সেই ব্যাগ কিনে নিলাম। মোটামুটি বেশ ভালোই ঘুরতে হয়েছে ব্যাগ কেনার জন্য। তেমন একটা পছন্দ হতে চায়না। অনেক ঘোরাঘুরির পর একটা ব্যাগ পছন্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিনে ফেললাম। তারপরে চলে গেলাম বাচ্চাদের কাপড় দেখার জন্য। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিংমলে এসেছি আর আমার হাজবেন্ড কিছু কিনবে না তা কি হয়। যতবারই আসি তার কিছু না কিছু কিনতে হয়। বাচ্চাদের মত অবস্থা তার। বিশেষ করে দুই চার টা টি-শার্টতো কিনতেই হবে। বাচ্চাদের জন্য তেমন জামা কাপড় পছন্দ হলো না কিন্তু হাজবেন্ড বেশ কয়েকটি টি-শার্ট কিনে ফেললো এই ফাঁকে।


IMG_1921.jpeg


IMG_1919.jpeg


সেখান থেকে কেনাকাটা করে চলে গেলাম ডিসিসি কর্নারে। বাচ্চাদের খেলনা কেনার জন্য। বাচ্চারা কি খেলনা কিনবে তা বুঝতে পারছিল না। খেলনা কেনার ক্ষেত্রেও আমাকে সাহায্য করতে হবে কি খেলনা কিনবে। তারা ডিসিশন নিতে পারে না কোন খেলনা কিনবে। আমার বড় ছেলে সব সময় লেগো সেট কিনে। এবার আগে থেকে বলে গিয়েছিলাম লেগো সেট কিনে দিবো না। এগুলোর অনেক দাম। আর ২/১ দিন খেলার পরে আর খেলতে চায় না। একটি লেগো সেট কিনতে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকার উপরে লেগে যায়। আর উপরে কত দামী আছে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। অনেক ঘোরাঘুরি করে ছোট ছেলে একটি ফিশিং গেম কিনলো এবং বড় ছেলে বেবলেট কিনলো। মোটামুটি তাদের পছন্দমত জিনিস কিনতে পেরেছে। বাচ্চাদের খেলনার দোকানের পাশে Levis এর শোরুম। আমার হাজবেন্ড আবারও সেখানে ঢুকে পড়লো। তারপরে বলছিল যে তাকে নাকি অনেকদিন কিছু কিনে দেই না। তাই কি আর করার তাকেও একটি প্যান্ট কিনে দিলাম।


IMG_1932.jpeg


IMG_1931.jpeg


দুপুরবেলা গিয়েছিলাম তাই ঘুরতে ঘুরতে খুদা লেগে গেল। তারপর চলে গেলাম উপরে ফুড কোর্ট এ। সেখানে আমরা হায়দ্রাবাদি কাচ্চি বিরিয়ানি খেলাম। যদিও বাচ্চাদের ফ্রাইড রাইস খাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তা আর খাওয়া হয়নি। চিকেন ফ্রাই হলে অন্য কিছু তেমন একটা খেতে চায় না। দুপুরবেলা শুধু চিকেন ফ্রাই এ পেট ভর্তি হয় না। সেজন্য ফ্রাইড রাইস আর চিকেন ফ্রাই অর্ডার দেওয়া হয়নি। কাচ্চি বিরিয়ানি বেশ মজাই ছিল খেতে। খাওয়া-দাওয়া শেষে চলে আসলাম বাসায়।


IMG_1925.jpeg


এই ছিল আমার শপিং এর গল্প। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
PhoneI phone 15 pro max
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

বাচ্চারা তো সব সময় দেখে আপনি কাজ করেন। তাদের বাবা স্যালারি পেলেও আপনি কখনো পাননা, এটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন তাদের। তাইতো এবার কেনাকাটা করে দেওয়ার বায়না ধরেছে। আপনিও তাদেরকে খেলনা কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া করা হয়েছে দেখে ভালো লেগেছে।

 6 months ago 

আমি তো খুব একটা স্টিম ভাঙ্গাই না। যতবারই স্টিম বানিয়েছি কিছু না কিছু কিনে দিয়েছি। সেজন্য এই বায়না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 6 months ago 

আপনার এই সম্পূর্ণ্য পোস্টটা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আসলে পিতা-মাতা হিসেবে বাচ্চাদের কোন কিছু কিনে দিতে পারলে খুবই ভালো লাগে। তবে এখানে আমি একটা ভিন্নতা দেখলাম যে আপনার বাচ্চাদের বায়না ধরাতে ওদের খেলনা কিনে দিয়েছেন। তবে আপনার বাচ্চারা অনেকে বুদ্ধিমান ছিল যখন দেখলো আপনি এমনি এমনি কিনে দিচ্ছেন না তখন আঙ্গুলটা বাঁকা করে আপনার কাছ থেকে আদায় করে নিয়ে নিল হাহাহা। যাইহোক আপু কিছু কেনাকাটা করে পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর মুহূর্তের কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 6 months ago 

খেলনা কেনা কি বন্ধ আছে ভাইয়া। নিয়মিত খেলনা কিনতেই থাকে। আর বাসায় নিয়ে আসার পর সেগুলো দিয়ে তেমন একটা খেলে না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 6 months ago 

দারুন একটি কাজ করলেন আপু। সত্যিই তো আপনি স্যালারি পান। এতদিন বাচ্চাদের অনেক অনেক খেলনা কিনে দেওয়া উচিত ছিল। আপনি খুব অনুচিত কাজ করেছেন আপু৷ বাচ্চারা যে আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি এটাই আপনার সৌভাগ্য। হা হা হা।

 6 months ago 

স্টিম তেমন একটা ভাঙ্গাই না। তারপরও তাদের খেলনা কেনা কিন্তু বন্ধ নেই। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 6 months ago 

বাচ্ছারা তো ঠিক বলে, আপনি বলেন কাজ কাজ করেন। ব্যস্ততা দেখান। তাহেল আপনার সেলারি কোথায়। কথায় কিন্তু যুক্তি আছে। যায়হোক ‍যুক্তিতর্ক যায়হোক তারা কিন্তুু তাদের পাওনা ঠিকই বুঝে নিছে,হে হে হে। ধন্যবাদ।

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বুদ্ধি করে তাদের খেলনাগুলো আমার কাছ থেকে কিনে নিলো। তাছাড়া বাবার কাছ থেকে তো নিয়মিত খেলনা কিনতেই থাকে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।