ঈদের শপিং

in আমার বাংলা ব্লগ15 days ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

IMG_6910.jpeg

সেরে ফেললাম ঈদের শপিং।ঈদের শপিং করাটা আসলেই খুবই ঝামেলার।ঝামেলার কারণ হচ্ছে আমাদের শপিং করতে যেতে হয় প্রায় ৪০ মাইল দূরে অর্থাৎ লন্ডনে। আমরা লন্ডন থেকে অনেক দূরে থাকি। তাই শপিং করতে গেলে একবারে সবকিছু কিনে নিয়ে আসতে হয়। আর একবারে কেনাকাটা খুবই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।মার্কেট কাছে থাকলে এক একদিন এক একটা আইটেম ধীরে ধীরে দেখেশুনে কেনা যায়। কিন্তু আমাদের সবকিছু একবারে করতে হয়। আমার নিজের কাপড়-চোপড়, হাজবেন্ডের কাপড়-চোপড়, বাচ্চাদের কাপড়-চোপড় এছাড়া আনুষাঙ্গিক জুতা স্যান্ডেল, ড্রেসের সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি, মেহেদী সহ আরো টুকটাক অনেক কিছুই লাগে। যেহেতু অনেক সময় লাগে তাই সকাল দশটার মধ্যেই বের হতে হয়। এছাড়া আমাদের সাথে প্রতিবারের মতো আমার ভাসুরের ফ্যামিলিও ছিল। আমরা সকলেই সবসময় একই সাথে শপিং করি। আর সবাই মিলে ট্রেনে চলে যাই শপিং করতে। প্রাইভেট কার নিয়ে যাওয়া হয় না কারণ সেখানে পার্ক করতে ঝামেলা হয়, তাছাড়া অনেক জায়গা হাঁটাহাঁটি করতে হয়।

IMG_6902.jpeg

সকলে মিলে ট্রেনে যেতে বেশ ভালোই লাগে।আর প্রাইভেট কারে গেলে সেপারেটলি যেতে হয়।আর বাচ্চারাও ট্রেনের জার্নি খুব পছন্দ করে।এবছর মনে অনেক ভয় ছিল কারণ গত বছর রোজার ঈদের শপিং এর সময় আমার শখের মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাই খুবই সতর্ক ছিলাম এবারের ঈদের শপিংয়ে। সকলেই বলছিলে আমি যেন মোবাইল বের না করি। তাই খুব বেশি বের করিনি, মাঝে মাঝে দু তিনটা ফটো নিয়েছিলাম।এছাড়া আগের দিন ফেসবুকে দেখেছিলাম হোয়াইট চ্যাপল, যেখানে আমরা শপিং করতে গিয়েছিলাম সেখানে চোরের খুব প্রকট বেড়ে গিয়েছে। তাই সকলকে মোবাইল সাবধানে রাখার কথা বলা হচ্ছিল। এরপর পরের দিন দেখলাম একটি চোর ধরা পড়েছে হাতেনাতে। সাথে সাথে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আর সেই চোরটি মহিলা, সত্যি অবাক লেগেছে দেখে।

IMG_6911.jpeg

মার্কেটে গিয়ে তো মাথা নষ্ট কারন এত ভিড় যেন নড়াচাড়া করার জায়গা ছিল না। খুবই কষ্ট হচ্ছিল কাপড়-চোপড় চয়েস করতে। অবশ্য আমাদের যাওয়া দেরি হয়ে গিয়েছিল, আরো দুই এক সপ্তাহ আগে যদি যেতাম তাহলে এত ভিড় থাকত না। তিনটি ড্রেস কিনে ফেললাম। দুটি ড্রেস গর্জিয়াস এবং অন্যটি নরমাল। কুরবানী ঈদের ড্রেসও একসাথে কিনে ফেললাম, কারণ এখানে আবার আসা খুবই কষ্টের ব্যাপার।এরপর হাজবেন্ডের কেনাকাটাও শেষ হয়ে গেল। এরপর পালা বাচ্চাদের।বাচ্চাদের ড্রেস কিনতে গিয়ে তো মাথা নষ্ট কারণ তাদের ড্রেস খুব সামান্যই ছিল শপগুলোতে।অনেক ঘোরাঘুরি ও কষ্ট করে অবশেষে তাদের ড্রেসগুলো কেনা হলো।এরপর ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে জুতো, চুরি এবং মেহেদী সহ টুকটাক আরও কিছু জিনিসপত্র কিনে নিলাম।দ্রুত সবকিছু শেষ করার চেষ্টা করেছি কারণ বাসায় এসে ইফতার করতে হবে।একটু দেরি হলেই রাস্তায় ইফতারের টাইম হয়ে যাবে তাই অনেক প্রবলেমে পড়ে যাব।সবকিছু কেনাকাটা শেষে ইফতারের জন্য কিছু খাবার কিনে নিলাম কারণ পথে যদি ইফতারের টাইম হয়ে যায় তাহলে সকলে মিলে সেটি দিয়ে ইফতার সেরে নিতে পারব।যাইহোক অল্পের জন্য বাসায় এসে ইফতার করতে পেরেছিলাম, আর মাত্র পাঁচ সাত মিনিট বাকি ছিল ইফতারের।

আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 14 days ago 

উৎসব মানেই হাজার শপিং আর তা সকলকেই ঝামেলা পেরিয়ে করতে হয়। বিদেশ বিভূঁইতে থাকলে মানুষ মনে করে সবই বোধহয় খুব সহজ কিন্তু আসলেই তা নয়। আপনার পোস্টগুলি সেই কথার জানান দেয় বারবার করে। অনেকটা দূরে গেছেন শপিং করতে সম্ভবত এদেশীয় জামা কাপড় কেনার জন্য। কারণ আমাদের এদিককার জামাকাপড় সব জায়গায় সব সময় পাওয়া যায় না। যাইহোক সারাদিন লাগলেও আপনি যে ইফতারের আগেই পৌঁছে গেছেন এবং সমস্ত শপিং কমপ্লিট করে এসেছেন এটা একটা বড় ব্যাপার।

 14 days ago 

রোজা রেখে শপিং করা আমার কাছে ভীষণ কষ্টের মনে হয়।আর যেহেতু লন্ডনে গিয়ে কেনাকাটা করতে হয় তবে সময় নিয়ে যেতে হয়।ভাসুরের পরিবারের সাথে ঈদের কেনাকাটা শেষ করে খুব সুন্দর মতো বাসায় ফিরেছেন আর ইফতারের কিছু সময় আগে এসেছেন এটা ভালো ই হয়েছে।ঈদ প্রায় সামনে তাই হয়তো এতোটা ভীড়। তবুও সুন্দর ভাবে কেনাকাটা করে বাসায় এসেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 14 days ago 

ট্রেন জার্নি আমারও খুব পছন্দ। যাইহোক একসাথে এতো শপিং করাটা আসলেই বেশ ঝামেলার কাজ। লন্ডনে গিয়ে অনেক শপিং করেছিলেন দেখছি। তবুও ইফতারের আগ মুহূর্তে বাসায় ফিরতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।