ঢাকা গাউসিয়া মার্কেটে শপিং।। 10% beneficiary to @shy-fox
যাই হোক আজ আমি আজ গিয়েছিলাম গাউছিয়া মার্কেটের উদ্দেশ্যে। শুক্রবার বরাবরই খুব ভিড় লেগে থাকে এই এলাকায়। সবাই বন্ধের দিন আসে কেনাকাটা করার জন্য। গাউছিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে পূর্ণিমা শাড়ির শোরুমে যাওয়া। প্রথমে পূর্ণিমা শাড়ি নিয়ে কিছু কথা বলি। পূর্ণিমা শাড়ি গাউছিয়া মার্কেটের চতুর্থ তলায় অবস্থিত। চতুর্থ তলার পুরোটা জুড়েই পূর্ণিমা শাড়ির দোকান। নুরানী মার্কেটের ঠিক অপজিটে এই শোরুমের সিঁড়ি। সিঁড়ি দিয়ে উঠে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি মানুষ এর ভিড় আর গাড়ির জ্যাম।
দোকানের নাম শাড়ি দিয়ে হলেও এখানে কামিজ, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, সব ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়। অনেক মানুষ এখানে এসে পুরো বিয়ের শপিং করে যায় যেহেতু সব একই জায়গায় পাওয়া যায়। প্রতিটি সেকশনের জন্য আলাদা আলাদা রুম। কম দামের আলাদা, থ্রিপিস আলাদা, শাড়ি আলাদা, লেহেঙ্গা আলাদা, বেশি গর্জিয়াস কাপড়ের রুম আলাদা।
এই দোকান মূলত মেয়েদের ড্রেসের দোকান। আসলে আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে যে এত কম দামে এত কোয়ালিটিফুল জামা কাপড় পাওয়া যায়। আর তাই ভাবলাম যেহেতু গিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এখানে ৪৫০ টাকার জামা, শাড়ি থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকার বিয়ের শাড়িও পাওয়া যায়।
আমরা গিয়েছিলাম নববিবাহিত এক বউয়ের জন্য শাড়ি কিনতে। তাদের বিয়ের প্রোগ্রামে এটেন্ড করেছি। আবার তারা রেস্টুরেন্টে একটি গেট টুগেদার করতে চাচ্ছে কাছের মানুষজন দের নিয়ে। যেহেতু স্পেশাল দাওয়াত দিয়েছে সেহেতু যেতেই হয়। এখানে অনেক ডিজাইন এর শাড়ি লেহেঙ্গা পাওয়া যায়। যদিও অনেক ভিড় থাকে কিন্তু অনেক সেলস পারসন থাকার কারণে কেনাকাটায় সমস্যা হয়না। শুক্রবার বেশি ভির থাকে তাই এই দিনে সেখানে গেলে নিজেরটা নিজেই পছন্দ করে নিতে হয়। এর কারণ হচ্ছে অনেক মানুষের ভিড় থাকে এবং স্টাফ রা সবাই ব্যস্ত থাকে। এরা অনলাইনেও অনেক জামা কাপড় সেল করে।
আমরা যে ড্রেসটি কিনেছি সেটি মেজেন্টা কালারের। দেখতে খুব ভালোই লাগছিল। আমরা মূলত শাড়ি দেখছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি ড্রেস কিনে নিয়ে এসেছি। রেগুলার থ্রি পিস শাড়ির রুমে তুলনামূলকভাবে ভিড় বেশি থাকে । আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কেনাকাটা করে বের হয়েছি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে ছবি তোলা নিষেধ। মানুষের ভিড়ের কারণে আমি কিছু ছবি তুলেছি যদিও শেষ পর্যন্ত একজন দেখেছে এবং বলেছে ছবিগুলো মুছে দেয়ার জন্য। আমি বলেছি দু একটা ছবি তুলেছি কিন্তু দোকানের বাহিরের ছবি। নিউ মার্কেট গাউসিয়া আমার বাসা থেকে মোটামুটি দূরেই উবারে করে যেতে হলে ৩০০-৩৫০ টাকা গুনতে হয়। যেহেতু সচরাচর যাওয়া হয় না তাই ভাবলাম একটু এলিফ্যান্ট রোড থেকে নিজের জন্য কিছু ফরমাল শার্ট প্যান্টের পিস কিনে নেই। টপ টেন এ গিয়ে নিজের জন্য কিছু পিস কিনে নিলাম । ভাল ত ভাল না অন্যের গিফট কিনতে গিয়ে নিজেরও কেনা হয়ে গেল। আসলে অফিসে একটু উচ্চপদস্থ পদে যাওয়াতে কিছু নতুন ফরমাল জামাকাপড় এমনিতেও দরকার ছিল তাই কিনে নিলাম। শেষে রেমন্ড এ বানাতেও দিয়ে দিলাম।
সেখান থেকে গিয়েছিলাম খাবার খেতে একটি পরিচিত রেস্টুরেন্টে ।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | শপিং |
ক্রেডিট | @miratek |
লোকেশন | গাউসিয়া, ঢাকা |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
কেনাকাটার মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মেজেন্ডা কালারের গাউন কিনেছেন বেশ ভালো হলো। আসলে শপিং করা মুহূর্ত অন্যরকম। এসব মার্কেটে প্রথম অবস্থায় দাম একটু বেশি চায়। দর কষাকষি করে নিতে হয় ভাই। শপিং করা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মেজেন্ডা কালারের খুবই চমৎকার একটি গাউন কিনেছেন। আমার নিজের কাছেও মেজেন্ডা কালার টা খুবই ভালো লাগে। শাড়ি দেখতে দেখতে কখন যে এই গাউনটি কিনে ফেললেন ওটা বুঝতেই পারলাম না আপনারা। গাউন টি খুবই চমৎকার ছিল। মিষ্টি বউটাকে ভীষণ সুন্দর মানাবে। মার্কেটগুলোতে শপিং করতে গেলে এমনিতেই প্রচুর ভিড়ের মাঝখানে পড়তে হয়। কিন্তু আপনারা ঐদিন তেমন ভিড় পাননি এটি দেখেও অনেক ভালো লাগলো। যদি ভিড় বেশি হতো তাহলে তো এই সুন্দর গাউন টা কিনতে পারতেন না। গাউনটা আমার নিজের অনেক পছন্দ হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো দেখছি ভাই ঢাকা গাউসিয়া মার্কেটে অনেক আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে শপিং কাজ সম্পন্ন করেছেন। বর্ণনা পড়ে বুঝতে পারলাম এটা খুব বড় একটি মার্কেট যেখানে নামিদামি সকল ব্র্যান্ডের কাপড় পাওয়া যায় যেখানে অল্প টাকা দাম থেকে শুরু করে লাখ টাকা দামের বিয়ের কাপড়। তবে একটা বিষয় ভালো লাগলো, এই পোস্টের মধ্য দিয়ে নতুন অনেক বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনি দেখছি গাউসিয়া মার্কেটে বেশ ভালোই শপিং করেছেন। ঠিক বলেছেন শুক্রবারে আবার মার্কেটে বেশি ভীর থাকে।তবে দাম হলে ও সব জিনিস এক জায়গায় পাওয়া যায় এটা অনেক সুবিধা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর শপিং এর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই এই মার্কেটে যে কেউ প্রথম গেলে তাকে মুরগী বানানো হয়। ৫০০টাকার জিনিসের দাম চায় ২০০০ টাকা।তবে এক ছাদের নিচে সব পাওয়া যায় এটা একটা সুবিধা।তবে খালি কনের জন্যই কিনলেন? বর বেচারা কি দোষ করল?নিজের পাশাপাশি তার জন্যই একটা ফর্মাল শার্টপিস নিয়ে নিতেন।যাই হোক ভাই ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ছেলেকে এমাউন্ট ধরিয়ে দিয়েছি। যহেতু মেয়ে হচ্ছে গেস্ট তাই তাকে গিফট দিচ্ছি। আর ঘরোয়া পরিবেশে হবে ত অতটা ফরমালিটি নেই ছেলের সাথে, ভাই হয় ত তাই। আর ছেলের বদলে আমি নিজেই কিনে নিলাম হা হা হা।
বাঘের দুধ পাওয়া যায়...? হা হা হা...
যাই হোক স্পেশাল দাওয়াত যেহেতু দিয়েছে সেক্ষেত্রে গিফট ও স্পেশাল হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার জন্যও কেনাকাটা কিন্তু নিতান্তই খারাপ করেননি, রেমন্ড এর জিনিস সবসময়ই ভালো হয়।
আমি তো বেশির ভাগ সময় নিউ মার্কেট, গাউসিয়া আর চাঁদনী চকেই যাই। এখানে সব পাওয়া যায় বলেই হয়ত সারা বছর ই ভির লেগেই থাকে। ভালোই ত কেনাকাটা করলেন। এসব মার্কেটে দামাদামি করতে পারে যারা তাদের জন্য ই। কেনাকাটার অনুভুূতিগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গাউছিয়া মার্কেট তো বেশ ভালো কেনাকাটার জন্য সুবিধা হবে অনেক কম দামে যেহেতু পাওয়া যায় তাই তো দেখছি শুক্রবারেও অনেক ভিড় লেগেই আছে।নব বিবাহিত বউয়ের জন্য বেশ সুন্দর মেজেন্ডা কালারের জামা কিনেছেন দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।আবার ঢাকায় গেলে গাউঢিয়া মার্কেটে যেতে হবে কেনাকাটার জন্য অনেক ভালো লেগেছে জিনিসের কম দাম শুনে।
ভাইয়া আপনি মনে হচ্ছে শপিং করতে গিয়ে অনেক সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। তবে এটা ঠিক ভাইয়া প্রথমবার কেউ মার্কেট এ গেলে দোকানদাররা তাকে ইচ্ছে মতো ঠকিয়ে নেয়।