পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাঁতবস্ত্র, ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প মেলায় একদিন।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাঁতবস্ত্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলায় যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
দেখতে দেখতে রমজান মাস প্রায় শেষ। "রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো" খুশির ঈদ। আর রমজানের ঈদে সবাই চেষ্টা করে নিজের সাধ্য মত শপিং করার জন্য,চাহিদা অনুযায়ী কেনাকাটা করার জন্য। নিজের জন্য, পরিবার পরিজন, আত্নীয় স্বজনদের জন্য শখ করে শপিং করে থাকে। আর ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাগায় নতুন নতুন শপিং সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় কুটির শিল্প মেলা দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবারে রাজধানী শহর ঢাকার অদূরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া মোড়ের উত্তর পাশে জিয়া সরনির নিচে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তাঁত বস্ত্র, ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প মেলা বসেছে।আমার ফ্যামিলি নিয়ে আমি মার্কেটে যাওয়ার সময় কুঠির শিল্প মেলার দিকে আমার নজর পড়ে। সাধারণত এই মেলাগুলো খুবই আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে থাকে। এ মেলাতে থাকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র।
শাড়ি লুঙ্গি পাঞ্জাবি মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের দেশি বিদেশি থ্রি-পিস, সাংসারিক বিভিন্ন ধরনের আইটেম দেখলাম। এসব মেলাতে আবার বেশি বেশি কেনাকাটা করলে বিভিন্নভাবে ডিসকাউন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। আমরা প্রথম গেইট দিয়ে মেলাতে প্রবেশ করেছিলাম। মেলাতে অনেকগুলো বড় বড় দোকান দেখলাম। মেলাতে মোটামুটি ভালই মানুষের সমাগম রয়েছে। আমি আমার মেয়ের জন্য কিছু কাপড় কেনার চেষ্টা করেছিলাম। তবে পছন্দের সাথে দামের মিল না থাকার কারণে সেখান থেকে বাবুর কাপড় কেনা হয়নি। আবার দেখলাম সেখানে সুন্দর সুন্দর পাঞ্জাবি রয়েছে। সম্ভবত ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত এই মেলাটি থাকবে।
আমরা তাঁত বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা থেকে বের হয়ে গেছিলাম চাষাড়ার সবথেকে ব্যস্ততম মার্কেট জিরো পয়েন্ট, সায়েম প্লাজা ও ফ্রেন্ডস মার্কেটে,মার্ক টাওয়ারে। বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরাঘুরি করে বাবুর জন্য কিছু কাপড় কেনাকাটা করলাম। আমার এক ভাগিনা ও ভাগ্নির জন্য কিছু কাপড় কেনাকাটা করেছিল। আমি বৃহস্পতিবারে গিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম হয়তো মানুষের সমাগম কম হবে, কিন্তু ঐদিন এত মানুষ ছিল যে পা রাখার জায়গা খালি ছিল না।
সারা শহরের মধ্যে প্রত্যেকটা দোকানের শোরুমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে প্রচুর মানুষ ছিল। সবাই নিজেদের পছন্দমত কেনাকাটা করছিল। জিনিসপত্রের দাম ও প্রচুর ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিক্রেতারা তাদের পণ্যের দাম ছাড়তে রাজি না। অনেক জোরাজোরি করেও ৫০ টাকা ১০০ টাকা কমানো যায় নি। সাধারণত ফুটপাথ মার্কেটে গেলেও তারা একদাম বলে বসে থাকে। কিছুতেই দাম ছাড়তে রাজি হয় না।
যাই হোক আমরা প্রায় সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত মার্কেটে ছিলাম। যেহেতু আমরা ইফতার করে মার্কেটে গিয়েছিল। সেজন্য আমাদের অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছিল। যেখানে কাপড় পছন্দ হয় সেখানে দাম বেশি চাই। আবার সব জায়গায় সব দোকানে কাপড় পছন্দ হয় না। যার ফলে অনেক সময় লেগে যায়। যাইহোক ঈদে আমার নিজের জন্য তেমন কিছু কেনাকাটা করা হয়নি, তবে ফ্যামিলির সবার জন্যই মোটামুটি কেনাকাটা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি বাক্য দেখেছিলাম, সেখানে লেখা ছিল বিয়ের পরে ছেলেদের স্বাদ আহ্লাদ ভুলে যেতে হয়, বিয়ের পরে ছেলেদের শপিং এর জন্য কিছুতেই বাজেট হয় না। আসলেই মধ্যবিত্তের জন্য কথাটি শতভাগ সত্য।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
স্কিন শর্ট | @joniprins |
তারিখ | ২৭.০৩-২০২৫ |
সময় | রাত ৮.৩০ মিনিট |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server