লাইফস্টাইল:ঈদের শপিং পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগlast month

♥️আসসালামুআলাইকুম♥️

আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

20250416_101901.jpg

আসলে সময় গুলো কত তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে সেটা আমরা একদম টের পাচ্ছি না। এইতো রমজান মাস চলে গেল কত দ্রুত। জীবন থেকে আরেকটা বরকতের মাস হারিয়ে গেল। ঈদের আমেজ ছিল খুবই আনন্দের।সেটাও শেষ হয়ে গেল। এখন শুধু স্বাভাবিক দিনগুলোই পার করছি। মাঝে মাঝে সময়ের কাটায় তাকালে আফসোস লাগে, কত দ্রুত আমাদের জীবনের মেয়াদ কমে যাচ্ছে।দিনগুলো যেন অতি দ্রুত পার হচ্ছে।সুখের সময়গুলো খুব বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হয় না।কিন্তু দুঃখের সময়গুলো জীবনে বেশিই থাকে।যাইহোক এসব কথায় না গিয়ে আজকের পোস্টটা নিয়ে কথা বলি। ঈদ গেল অনেক আগে,কিন্তু ঈদের শপিং করার সেই মুহূর্তগুলো এখনো শেয়ার করা হয় নি।ভাবলাম আজকে এক পর্ব শেয়ার করব।

20250317_152700.jpg

আমার ছেলের জন্য টুকটাক কেনাকাটা করার পর আমরা চলে গেলাম একটা বুটিকস শপে। সেখানে গিয়ে কিছু জামা দেখলাম। একটা জামা পছন্দ হয়েছিল কিন্তু সাইজ নেই তাই আর কেনা হয় নি। আসলে আমি ঈদের সময় কাটা থ্রি পিস কিনি না,কারণ কেনার পর সেলাই করার ঝামেলা থাকে।তাছাড়া সেলাই করতে গিয়ে ডিজাইন নষ্ট করে ফেলে।তাই চেষ্টা করি সবসময় বুটিকস বা রেডিমেড সেলাই করা জামা গুলো কিনতে।এখন বেশিরভাগ সবাই এমনই করে৷ সেলাই করার ঝামেলা এড়াতে রেডিমেড কিনে ফেলে।

20250317_160848.jpg

যাইহোক পরে আরও কয়েকটা দোকান ঘুরলাম কিন্তু কোথাও তেমন পছন্দ হচ্ছিলো না। অবশেষে দূর থেকে একটা জামা দেখেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো।আর সেখানে গিয়ে দেখলাম ওটা আমার হাজব্যন্ড এর পরিচিত।তারপর জামাটা দেখলাম।সেখানে অবশ্য বেশ কয়েকটা জামা পছন্দ হয়েছিল। তবে সাইজ সব বড় ছিল। সেজন্য অন্যগুলো পছন্দ হলেও আর কেনা হয়নি।পরে একটা জামা নিলাম সেটাও এক সাইজ বড় ছিল। তবুও ভাবলাম একটু বড় সাইজের হলে সমস্যা হবে না।তাই জামাটা নিয়ে নিলাম।

20250317_161943.jpg

এরপর আমরা জুতা দোকানে গেলাম। সেখানে গিয়ে কিছু জুতা দেখলাম।আসলে আমার কাছে ঈদের সময়ে জুতা কিনতে কেন জানি ভালো লাগে না।যতবারই ঈদের সময় জুতা নিয়েছি ততবারই সেই জুতাগুলো টিকে নি। কিন্তু অন্যান্য সময়ে নেয়া জুতা যেমন পছন্দ হয় তেমনি টিকেও ভালো।যাইহোক তবুও জামার সাথে ম্যাচ করে একজোড়া জুতা নিলাম।আমার ছোট বোনও তার জন্য একজোড়া কিনেছে।তারপর সেখানে বিল মিটিয়ে আমরা নিচে চলে এলাম।

20250317_165104.jpg

20250317_164822.jpg

নিচে নতুন একটা কসমেটিকস দোকান হয়েছে।তবে সত্যি বলতে আমার কাছে মেকআপ করা ব্যাপারটা একদম বিরক্ত লাগে।অনেক সময় আর অনেক প্রোডাক্ট লাগে।তাছাড়া ভালো মানের প্রোডাক্ট ব্যবহার না করলে স্কিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমি মেকআপ প্রোডাক্ট কেনা থেকে বিরত থাকি সবসময়৷ তবে টুকটাক কিছু জিনিস লাগে সেগুলো কেনা হয়। সেদিন দোকানে গিয়ে কিছু চুড়ি পছন্দ হয়েছিল। তাই ২ জোড়া চুড়ি নিয়েছিলাম।যদিও রেগুলার চুড়ি পড়তে একদমই পছন্দ করি না। মাঝে মাঝে আউটিং এ পরা হয়।

20250317_165105.jpg

এক জোড়া চুড়ি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। ডায়মন্ড কাটের চুড়ি। এটার দাম শুনে আমি হতবাক,১০০০টাকা চেয়েছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ৩ জোড়া ১০০০ বলেছে, পরে জানলাম ১ জোড়াই ১০০০।তাই সেই মূল্যবান জিনিস আর কেনা হয় নি।অন্য ২জোড়া নিয়েছি সাথে একটা আংটি। এই ছিল আমার ঈদের শপিং। মোটামুটি সবকিছুই আমার বাজেটের মধ্যে হয়ে গিয়েছিল। আসলে আমি খুব বেশি বাজেট রাখি নি নিজের জন্য,তবুও বরকত হলো আর পছন্দমত জিনিসও কিনতে পারলাম,এটাই শুকরিয়া।যাইহোক আজকের পর্বটা শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

♥️আল্লাহ হাফেজ♥️

images (4).png

20221126_200743.jpg

আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

images (4).png

💦

💦 BRISTY 💦

💦

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

Posted using SteemPro

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

আজকাল সব কিছুরই দাম আকাশ ছোঁয়া। এই চুড়িগুলো আমাদের এদিকেও এমনই দাম হয়তো একটু আধটু কম বেশি হবে। উৎসবের দিনগুলোতে আমিও খুব একটা বেশি জামার পিস বা এমন কিছু কিনি না যেগুলো টেলারে নিয়ে যেতে হবে। কারণ টেলারিং দোকানে এই সময় এত ভিড় থাকে যে কোন কাজই ঠিকমতো হয় না। বুদ্ধিমানের মত কাজ করেছেন আপনি। আপনার শপিং এর গল্প পড়ে বেশ ভালো লাগলো।