শারদীয়া কনটেস্ট ১৪৩২, সপ্তমীর ফটোগ্রাফি।
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই? আসলে এই উৎসবের দিনগুলোতে আপনারা সবাই খুব ভালো ছিলেন এবং আপনাদের সময়টা খুব ভালো কেটেছে। আসলে পুজো মানে প্রত্যেকটা বাঙ্গালীদের জীবনে একটা আনন্দের উৎসব। কেননা আমরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি যে কবে আমাদের এই দুর্গাপূজা আসবে। কিন্তু পুজোর শুরুতে একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম যে এবার যদি পুজোর সময় বৃষ্টি হয় তাহলে কি হবে। কিন্তু পুজোর সময় সম্পূর্ণ উল্টোটা হল অর্থাৎ আর বৃষ্টির দেখা মিলল না। যদিও এবারের পূজোতে আমি অনেক বেশি আনন্দ করেছি আমার পরিবারের সাথে। "আমার বাংলা ব্লগে" ঠিক প্রতিবারের মতো এবারও শারদীয় কনটেস্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। তাই এই কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তো আজ আমি সপ্তমীর ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
|** ✠ মহাসপ্তমী ✠** |
*থিমের নাম :- কৈলাসের রাজপ্রাসাদ। *
এই প্যান্ডেলটি রাজেন্দ্রপুর মৎস্য উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই প্যান্ডেলের সামনে প্রধান গেট দেখতে পাচ্ছেন আপনারা। আসলে এটি হল প্যান্ডেলে ঢোকার প্রধান গেট। যদিও এটি সেই কৈলাসের প্রধান অন্যতম একটি গেট।
আসলে এটি হলো কৈলাশের অন্যতম একটি রাজপ্রাসাদ। যেখানে স্বয়ং মহাদেব বসে আছেন তার রাজপ্রাসাদের সামনে।
আমি চেষ্টা করলাম এই অল্প জায়গার মধ্যে পুরো প্যান্ডেলের ছবিটা নেওয়ার জন্য। যদিও এত মানুষের ভিড় তাই এই ভিড়ের মধ্যে সঠিকভাবে আমি ছবি তুলতে পারছিলাম না।
আসলে এত সুন্দর করে শিল্পী তাদের গুনাগুন দিয়ে যে প্যান্ডেলটি তৈরি করেছেন তা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি আসল না নকল।
তো যতই ভিড় হোক না কেন বাড়ির পাশের পুজো বলে কথা তাই ভালো করে ছবি তুলতেই হবে। এই জন্য সকল বাঁধা উপেক্ষা করে আমি এক জায়গায় স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে লাগলাম। আসলে আমি প্যান্ডেলের একদম সামনে থেকে আবার পুনরায় পিছনের দিকে গেটের ছবিটি তোলার চেষ্টা করলাম।
আসলে এই প্যান্ডেলটি আমাদের বাড়ির কাছে অবস্থিত। যদিও একটা জিনিস আমরা খেয়াল করে দেখেছি যে বাড়ির কাছের কোন জিনিসের তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও এবার কিন্তু আমাদের গুরুত্ব দিতেই হয়েছে।
আসলে তারা এবার যে প্যান্ডেল তৈরি করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। এরপর আমরা আস্তে আস্তে করে প্যান্ডেলের ভিতর প্রবেশ করতে শুরু করলাম। আসলে প্যান্ডেলের চারিদিকের কারুকার্য দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম।
আর প্যান্ডেলের একদম ঠিক উপরে যে সুন্দর ঝাড়বাতি রয়েছে তা এতটাই বিশাল ছিল যে সঠিকভাবে ছবি হয়তোবা আমি তুলতে পারিনি কিন্তু যতটুকু তুলেছি তাই দিয়ে আপনাদের সামনে প্রকাশ করতে চেয়েছি।
আসলে এই সমিতি এবারের মায়ের মূর্তিটি কল্প বৃক্ষের মধ্যে মায়ের মুখ খানি প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। আর মায়ের হাসি মুখ খানা দেখে সত্যিই প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। কেননা এটি কিন্তু বছরের প্রথম মায়ের মুখ দেখা এই প্যান্ডেলে।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- রঙিন সুতোয় শারদীয়া।
এর পরবর্তীতে চলে এলাম আর একটু দূরে অর্থাৎ কাঁচরাপাড়া। এখানকার নিউ কলোনি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষ থেকে এই প্যান্ডেলটি করা হয়েছে। আসলে এই প্যান্ডেলটি মেইন রোড থেকে একটু ভিতরে হলেও যেহেতু লোকের ভিড় দেখছিলাম তাই আমরাও চেষ্টা করলাম পুজো
দেখার জন্য।
আসলে এই প্যান্ডেলটি কিন্তু রঙিন সুতোয় করা হয়েছে। এজন্যই এর নাম করা হয়েছে রঙিন সুতোয় শারদীয়া উৎসব।
প্রধান গেটের সামনে মায়ের মূর্তি খানি খুব সুন্দরভাবে এখানকার শিল্পী তৈরি করেছেন।
হঠাৎ গেটের সামনে ঢুকে দেখি যে সেই ছোটবেলার হাতের চুড়ি দিয়ে মেইন প্রবেশদ্বারের উপরের অংশ সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।
আসলে দুই পাশে সুতো দিয়ে এত সুন্দর ভাবে এখানকার শিল্পীরা পুরো প্যান্ডেল ডিজাইন করেছে তা দেখলে আপনাদেরও খুব ভালো লাগলো বোধহয়।
এছাড়াও উপরের অংশ তারা সুতোর সাহায্যে চুরির মত জিনিস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে এবং এর মাধ্যমে পুরো প্যান্ডেলটি অসাধারণ মনে হয়েছে।
এছাড়াও প্যান্ডেলে ঠিক মাঝখানে একদম পদ্মের একটা ছোট্ট পুকুর তৈরি করেছে। যেটি প্যান্ডেল থেকে আলাদা ভাবে তুলে ধরেছে আমাদের সামনে।
একদম প্যান্ডেলের মাঝখানের উপরের অংশের ডিজাইন সুতো দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেটি আমার কাছে অনেকটা সৃজনশীল মনে হয়েছে।
এছাড়াও চারিপাশের প্রত্যেকটা ছবি কিন্তু শিল্পী তাদের মনের মাধুর্য মিলিয়ে এঁকেছেন।
আপনারা যে ছবির গ্যালারি দেখতে পাচ্ছেন এটি কিন্তু অসাধারণভাবে শিল্পী আমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আসলে এই প্যান্ডেলের সদস্যরা মায়ের মূর্তি খানি ঠিক অন্যভাবে আমাদের সামনে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। ছবিতে হয়তোবা আপনারা মায়ের এই সুন্দর মূর্তি দেখে আপনারা অবাক হয়ে গেছেন।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- সময়ের পরিক্রমা।
ঠিক পরবর্তী প্যান্ডেলটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটি হল কাঁচরাপাড়া অন্যতম একটি সুন্দর প্যান্ডেল। এটি এখানকার স্থানীয় মানুষেরা মিলে তৈরি করেছেন। আসলে এটি হলো সময়ের পরিক্রমা সম্পর্কিত একটি প্যান্ডেলের দৃশ্য।
আসলে গেটের দুই পাশে শিল্পী সুন্দরভাবে সময় সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের উদাহরণ আমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়াও যখন প্যান্ডেলে প্রবেশ করলাম তখন সুন্দর একটা গোল টাইম মেশিনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রবেশ করলাম।
ঠিক প্যান্ডেলের সামনে মহাদেব আমাদের সময়ের হিসাব নিয়ে বসে আছেন।
এছাড়াও দুই পাশের যেখানেই তাকাচ্ছি না কেন সেখানে কেমন যেন জীবনের ঘড়িটা চলতেই রয়েছে।
পুরো প্যান্ডেলটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন মানুষের জীবনটা ঠিক সেই ভাবে সময়ের মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপরের অংশে বড় একটা সময়ের পরিক্রমা আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
এরপর আমরা মায়ের মূর্তির সামনে চলে এলাম এবং ভক্তি ভরে মাকে প্রণাম করে পুনরায় এই প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে এলাম।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- অক্ষরধাম।
আসলে কাঁচরাপাড়া ১৬'র পল্লী কর্তৃক নিবেদিত এবারের প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে অক্ষরধাম। আসলে প্যান্ডেলের সামনের অংশ দেখে সত্যিই আমরা অবাক হয়ে গেলাম যে এত সুন্দর প্যান্ডেল কি করে তৈরি করা হয়েছে।
যেহেতু প্যান্ডেলের সামনে একটি বড় পুকুর রয়েছে তাই পুকুরের সামনে থেকে এই প্যান্ডেলটি দেখতে আরো অনেক বেশি ভালো লাগছিল আমাদের কাছে। তাই দুই দিক থেকে দুই অ্যাঙ্গেলে ছবিটি তুলে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
এর পরবর্তীতে একদম আমরা প্যান্ডেলের সামনে চলে এলাম। যেহেতু প্যান্ডেলের সামনে জায়গা না থাকায় আমরা ঠিকঠাক ভাবে ছবিটি হয়তোবা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারলাম না।
পর মুহূর্তে আমরা যখন প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করলাম তখন মানুষের ভিড়ে আমরা সঠিকভাবে ছবি তুলতে পারছিলাম না।
যাইহোক ভিড় ঢেলে একদম উপরের দুইপাশের অংশের ছবি তুলে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করলাম। আসলে দুই পাশে বৌদ্ধমূর্তির বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পেলাম।
আর ঠিক মাঝখানের উপরের অংশের ঝাড় বাতিটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে আমাদের কাছে।
এছাড়াও ঠিক গেটের উপরের অংশে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে বুদ্ধদেবের বিভিন্ন মূর্তি খুব সুন্দরভাবে সাজানো রয়েছে। যেটি দেখতে এক কথায় অসাধারণ মনে হয়েছিল।
আর পরবর্তীতে মায়ের সুন্দর মুখখানা দেখে আমাদের মনটা ভরে গেল। কেননা হলুদ বর্ণের এই মায়ের মুখখানা সম্পূর্ণ আলাদা লেগেছে আমার কাছে। তাই প্রণাম করে দ্রুত বেরিয়ে পড়লাম প্যান্ডেল থেকে।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- মুঘল সম্রাটের রাজপ্রাসাদ।
আসলে পরবর্তী যে প্যান্ডেল আমরা দেখতে পেলাম সেটি হল স্থানীয় একটি পাড়ার পুজো। যাইহোক এখানকার মানুষের চিন্তা ভাবনায় মুঘল সম্রাট এর রাজপ্রাসাদ উঠে এসেছে।
এর পরবর্তীতে গেট দিয়ে যখন আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম তখন সুন্দর একখানা রাজপ্রাসাদ দেখতে পেলাম যার চারিপাশে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য রয়েছে এবং সামনে বসে রয়েছে গণেশ ঠাকুর।
একদম মায়ের মূর্তির গেটে প্রবেশ করার আগের ছবিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যেখানে সুন্দরভাবে শিল্পী তাদের কারুকার্য দিয়ে একটা সুন্দর রাজপ্রাসাদ তৈরি করেছেন।
এছাড়াও ঠিক উপরের অংশে খুব সুন্দর ভাবে তারা কারুকার্য দিয়ে ভরে তোলার চেষ্টা করেছেন।
আর দুই পাশে রাজা মহা রাজাদের বিভিন্ন ছবি দিয়ে তারা খুব সুন্দরভাবে দুই পাশটা সাজিয়ে তুলেছেন।
একদম পরবর্তীতে মায়ের সামনে চলে এলাম এবং ভক্তি ভরে প্রণাম করে মায়ের সুন্দর মুখ খানা দেখে সত্যিই মনটা ভরে গেল।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- নারী কথা।
এর পরবর্তীতে পুনরায় আমরা চলে এলাম বিশ্বনাথ স্মৃতি সংঘের ক্লাবের সামনে। সেখানকার প্রধান আকর্ষণ হল নারী কথা।
এখানকার ক্লাবের সদস্যরা তাদের চিন্তাভাবনার দ্বারা খুব সুন্দরভাবে একটা প্যান্ডেল তৈরি করেছেন যেটি দেখে আপনাদের সবার অনেক বেশি ভালো লাগবে।
কেননা প্যান্ডেলের ঠিক দু'পাশে নারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিচ্ছবি তারা আমাদের সামনে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
ঠিক যেন মনে হচ্ছে ছোটবেলার সেই গল্প কাহিনীর পুতুলগুলো তারা তুলে এনে এখানে সাজিয়ে দিয়েছেন।
আসলে প্যান্ডেলের মূল গেটের সামনেও তারা খুব সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি দৃশ্য আমাদের সামনে এমনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন যা দেখলে আমাদের মনটা ভালো হয়ে যাবে।
মনে হচ্ছে যেন সবকিছু যেন আমাদের সাথে কিছু বলতে চাইছে। আর মিশে যেতে চেয়েছে আমাদের অন্তরে।
সুতরাং আমরা একদম ঠিক প্রধান গেটের ভেতর দিয়ে মায়ের সামনে প্রবেশ করার জন্য রওনা দিলাম।
আসলে গেটে ঢোকার ঠিক পরের মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের কাল্পনিক ছবি আমরা দেখতে পেলাম।
এছাড়াও মনে হচ্ছে যেন সেই চারুকলার বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছে এখানকার শিল্পীরা।
যতই দেখছি ততই যেন মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি এখানকার চারিদিকের দৃশ্য দেখে।
আপনারা ঠিক দুই পাশের বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন যেখানে নারীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে ছবির মাধ্যমে।
এছাড়া উপরের অংশে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে বিভিন্ন ধরনের আলপনা এবং ছবি দিয়ে পুরো মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
হঠাৎ করে কোন একজন ভিআইপি চলে আসার জন্য মায়ের মুখখানা ঠিক সঠিকভাবে আমরা দেখতে পেলাম না। যদিও কষ্ট করে একটা ছবি তুললাম কিন্তু প্রণাম করার আর সময় পেলাম না।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- ত্রিপর্ণ।
ত্রিপর্ণ কথাটির অর্থ হল তিন পাতা অথবা বটবৃক্ষ। আসলে এখানকার স্থানীয় লোকেরা মিলে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছেন।
যদিও প্রথমে আমি সঠিক ভাবে এই কথাটি বুঝতে পারিনি যেখানে বটবৃক্ষের মতো সবাই আমাদেরকে আগলে রেখেছেন।
এরপর যখন আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম তখন দুই পাশের সুন্দর দৃশ্য দেখে আমরা সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম যেখানে একটি বৃক্ষ তার সৃষ্টির সকল জীবকে কি করে আগলে রেখেছেন।
এছাড়াও চারিদিকের সৌন্দর্য সত্যিই আমাদেরকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করে তুলেছে। যেটি আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
আর দু'পাশের মূর্তির মধ্যে বটবৃক্ষের আসল প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে এই মূর্তির মাধ্যমে।
আসলে পুরো প্যান্ডেলটি যার উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে সেটি হল এই ছবির দৃশ্য।
এরপর আমরা দেখতে পেলাম দুই পাশে পরীর মত দুটো প্রতিচ্ছবি বা মূর্তি আমাদেরকে কাছে ডাকার চেষ্টা করছে।
আর সবশেষে দেখতে পেলাম মায়ের সেই সুন্দর মুখ খানা যেখানে মনে হয়েছে মা কোন প্রকৃতির মাঝে লুকিয়ে রয়েছেন যেখান থেকে সবসময় আমাদের আশীর্বাদ করার চেষ্টা করছেন।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- নবাঙ্কুর।
কাঁচরাপাড়া কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে। আসলে এটি নবাঙ্কুর নাম অনুসারে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে।
যদিও প্যান্ডেলের সামনে রাস্তা থাকায় ঠিক ভালোভাবে আমি পুরো প্যান্ডেলের ছবিটি আপনাদের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরতে পারলাম না।
এর পরবর্তীতে ঠিক আমরা একদম প্যান্ডেলের সামনে চলে এলাম যেখান থেকে একটি ছবি আপনাদের সামনে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।
হঠাৎ করে ঠিক প্রথম দারের মধ্যে যখন আমরা প্রবেশ করলাম তখন দুই পাশের আলোর ঝলকানি দেখে আমার চোখটা জুড়িয়ে গেল।
এর পরবর্তীতে যখন প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করলাম তখন আমি আরো বেশি অবাক হয়ে গেলাম চারিদিকের সৌন্দর্য দেখে।
ঠিক উপরের অংশটি অর্থাৎ ঝাড় বাতির মত যে অংশটি আপনি দেখতে পাচ্ছেন সেটি কিন্তু নারকেলের দড়ি দিয়ে তৈরি করা। যেটি দেখে খুব সহজে বোঝা যাচ্ছে না।
এছাড়াও দুই পাশে শিল্পী তাদের কারুকার্য দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে চারিদিকে দৃশ্যটি আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আর মাঝখানে বসে রয়েছেন স্বয়ং সিদ্ধিদাতা গণেশ।
এছাড়াও এই পুরো প্যান্ডেলের চারিদিকের অংশটি আমি এই ছবির মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম যাতে করে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারেন কত সুন্দরভাবে ভিতরে অংশ সাজানো হয়েছে।
এছাড়াও এখানে বিভিন্ন পুরাণের কথা ছবির মাধ্যমে আমাদের সামনে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন শিল্পী।
এর পরবর্তীতে মায়ের সুন্দর মুখ খান আমরা দেখতে পেলাম এবং মায়ের সামনে গিয়ে দুহাত জুড়ে প্রণাম করে প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে গেলাম।
* সপ্তমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 29/09/2025
লোকেশন
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বাহ @nilaymajumder, আপনার সপ্তমী ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে মনটা আনন্দে ভরে গেল! "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের সাথে আপনার উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়াটা সত্যিই দারুণ। থিমের অসাধারণ উপস্থাপনা, বিশেষ করে "কৈলাসের রাজপ্রাসাদ" এবং "রঙিন সুতোয় শারদীয়া" প্যান্ডেলগুলোর কারুকার্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।
আপনার ফটোগ্রাফি দক্ষতা অসাধারণ! ভিড়ের মধ্যেও আপনি এত সুন্দর ছবি তুলেছেন, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। প্রতিটি প্যান্ডেলের থিম এবং শিল্পকলার ডিটেইলসগুলো খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে "নারী কথা" থিমের প্যান্ডেলটির উপস্থাপনা হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
এইরকম সুন্দর পোস্ট "আমার বাংলা ব্লগ" কে আরও সমৃদ্ধ করবে। আপনার এই প্রচেষ্টা যেন সবসময় অব্যাহত থাকে, সেই কামনা করি। অন্যান্য বন্ধুদেরও এই পোস্টে মন্তব্য করে আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত করছি। দুর্গাপূজার এই আনন্দ আরও ছড়িয়ে পড়ুক!