লাইফ স্টাইলঃ-স্বপ্ন শোরুম থেকে মেয়ের জন্য জন্মদিনের গিফট কেনার মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম,
সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগে। আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থভাবে দিন যাপন করতেছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরাও ভালো আছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ আছি। আজ পবিত্র সবে কদরে রাত। তাই আমরা অনেক ব্যস্ত আছি পরিবারের বিভিন্ন কাজ নিয়ে। যেহেতু রাতেই আমাদেরকে ইবাদত করতে হবে। আজকের দিন-রাত অনেক উত্তম এবং পবিত্র একটি রাত। আমরা সবাই চেষ্টা করবো ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের কে নিয়োজিত রাখার। বন্ধুরা আবার আমি হাজির হয়েছি নিত্য দিনের দৈনন্দিন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি কেনাকাটার মুহূর্ত নিয়ে। এই বছর বের হয়নি তাই কোন ধরনের ঈদ কেনাকাটার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারছি না। যেহেতু বের হলেই সবকিছু ফটোগ্রাফি আকারে সংগ্রহ করা সম্ভব।
তাই আমি আজকে আপনাদের সাথে যে মুহূর্তে শেয়ার করবো তা কিছুদিন আগের একটি মুহূর্ত কেনাকাটা মুহূর্ত। কেনাকাটার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে। কারণ সবাই চাই নিজের পছন্দের জিনিসগুলো কেনাকাটা করতে। স্বপ্ন শোরুম থেকে প্রায় সময় কেনাকাটা করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে আমার অনেক ভালো লাগে সেখানে নিজের পছন্দমত জিনিসগুলো পাওয়া যায়। কিন্তু বাইর থেকে যখন আমরা কিনতে যাই বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে সে কাঙ্খিত জিনিসটি পাওয়া হয় না। যদিও পাওয়া যায় কিন্তু পারফেক্ট কিংবা আসল জিনিস পাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যায়। এই ধরনের শোরুমে তারা রিয়েল জিনিস রাখার চেষ্টা করে থাকেন। যদিও দাম একটু বেশি হয়। স্বপ্ন শোরুমে গিয়েছিলাম মেয়ের জন্মদিনের জন্য কিছু গিফট কিনে দিতে। যদিও সেই বলেছিল তাকে কি কি জিনিস কিনে দিতে হবে।
সমস্যা হচ্ছে একজনের জন্মদিনের জন্য গিফট কিনতে গেলে দুইজনকে দিতে হয় সেটা হচ্ছে বিশাল ব্যাপার। বিশেষ করে আমার বড় মেয়ের তুলনায় ছোট মেয়ে একটু জেদি স্বভাবের। সেই এমন কিছু করে বসে তাকে না দিয়ে কোন উপায় থাকে না। কারণ অনেক সময় দেখা যায় একই জিনিস থাকার সত্ত্বেও তাকে দ্বিতীয়বার কিনে দিতে হয়। আমরা যেদিন স্বপ্ন শোরুমে গেছিলাম সেই দিন আমার বড় মেয়ের জন্মদিন ছিল। প্রথমে আমরা একটি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেছিলাম খাওয়া-দাওয়া করাবো বলে। ভাবছিলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শোরুমে প্রবেশ করব। কিন্তু মেয়ে কিছুতে মানতে চায় না তাকে আগে গিফট গুলো কিনে দিতে হবে।
এখন গিফট গুলো যখন কিনতে গেলাম তখন আজেবাজে অনেক কিছু পছন্দ করে নিয়েছিল তারা দুইজনে মিলে। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে ছোট মেয়ের অবস্থা দেখে কারণ সেই এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে হাবিজাবি জিনিসগুলো নেওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে দেই। কিন্তু মানুষের সামনে যদি এরকম করে তাহলে তো তাকে কিনে দিতে হয়। কারণ সে মন খারাপ করে ফেলবে সেজন্য। তাদের পছন্দের বেশ কিছু জিনিস ক্রয় করে দিয়েছিলেন সেই দিন। সেই সাথে আমারও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করেছিলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কোন ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে যে জিনিসটা আমরা নিতে চাই সে জিনিস পেয়ে যাই। কারণ এত সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয় জিনিসগুলো সেখানে পেতে খুব সহজ হয়ে যায়। আর আরো একটি জিনিস ভালো লাগে সেটা হচ্ছে তাদের জিনিসগুলোর ডেকোরেশন খুবই সুন্দর। তাছাড়া ভিতরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণেই সময় কাটাতে ভালো লাগে।
আগে তো স্বপ্ন শোরুমে কাঁচাবাজার পাওয়া যেত না কিন্তু এখন সবকিছু পাওয়া যায়। অর্থাৎ ফ্যামিলির যতসব প্রয়োজনীয় জিনিস আছে সবকিছু পাওয়া যায়। ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারবন এখন কিন্তু কাপড়-চোপড় ও পাওয়া যায়। বলতে গেলে একদম বের হতে হবে না যদি মন চায় সেখান থেকে সবকিছু কিনে নেওয়া যাবে। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দাম এদের জিনিসগুলো। তাছাড়া ভ্যাট দিতে হয় সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো মানের একটি প্রাইজ চলে আসে। বিশেষ করে বাচ্চাদের স্টিকার, বাচ্চাদের পড়ালেখার জিনিস এবং টুকটাক সরঞ্জাম সবকিছু ভালোমতো পাওয়া যায়। বেশ কিছু জিনিস ক্রয় করেছিল মেয়েরা যেগুলো প্যাকেট করে নিয়েছিলাম।
এখানে এমন একটি মুহূর্ত আপনারা দেখতে পাবেন কেনাকাটা করার পরে ছোট মেয়ে তার বড় বোনকে গিফট গুলো দিচ্ছেন। এমন সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমি সেখানে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম যেগুলো আজকে আমি আপনাদেরকে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। যদিও আহামরি কিছু নয় কিন্তু এমন সুন্দর ভাবে গিফট করতে পারলে খুবই ভালো লাগে বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দিত হয়। এইসব ছোটখাটো পছন্দের জিনিসগুলো পেলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। অবশেষে আমরা সেখান থেকে জিনিসগুলো কেনাকাটা করে পেমেন্ট গুলো দিয়ে দিলাম। আমার বড় মেয়ের হাতে গিফটগুলো দিয়ে দিলাম সেই মুহূর্তটি সেখানে সমাপ্তি করেছিলাম।
অবশেষে আমরা কেনাকাটা শেষ করে সেখান থেকে বের হয়ে আমাদের মূল উদ্দেশ্য আছে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সেখান থেকে একটি রেস্টুরেন্টে চলে যাই। সেই সন্ধ্যার মুহূর্তটি বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। কেনাকাটা করতে খুবই ভালো লাগে যদি হয় পছন্দের জিনিস। এমন সুন্দর মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগলো। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ডিভাইসের নাম | Wiko-T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Twitter Link
https://x.com/heranahar148614/status/1905210741986390363?t=Q_S8RzH-DqDHQl6AfmL-_g&s=19
https://x.com/heranahar148614/status/1905214671445234172?t=oxSXigCkBfdBhh9KiC0Kaw&s=19
https://x.com/heranahar148614/status/1905216827510390850?t=9OjEscnCDDr0udJHgTqwXA&s=19
https://x.com/heranahar148614/status/1905217593478427016?t=IeNWmCYrPnIVhcXTpgxLDQ&s=19
https://x.com/heranahar148614/status/1905218307881652501?t=i8AXCriWlxP0UOH-cWdKMw&s=19
https://x.com/heranahar148614/status/1905218841392914899?t=B85-BVICgn5c-r9S-fe8_A&s=19
https://x.com/heranahar148614/status/1905219888937095171?t=QBmCUU77FaBIKXd1KkgRHg&s=19
https://x.com/heranahar148614/status/1905220164767134109?t=ybCh3JXYM4k8NINE1P0i_Q&s=19
আপনার ব্লগটি অত্যন্ত সুন্দর এবং হৃদয়গ্রাহী। মেয়ের জন্মদিনের জন্য কেনাকাটার মুহূর্তটি শেয়ার করে আপনি একটি সাধারণ কিন্তু বিশেষ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। স্বপ্ন শোরুমের মতো জায়গায় কেনাকাটা করার অভিজ্ঞতা এবং সন্তানের পছন্দের বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন যা অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। আপনাদের মধ্যে এমন সুন্দর সম্পর্ক এবং মুহূর্তগুলো দেখতে পাওয়া সত্যিই ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি খুবই মনোমুগ্ধকর। ব্লগটি পড়তে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু ।
সেদিনের মুহূর্তটি খুবই ভালো লাগছিল আমার কাছে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম সুপার শপ গুলোতে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। এক ছাদের নিচে সবকিছু পাওয়া যায়। ছোটরা আসলে না বুঝে অনেক কিছুই কিনে ফেলে যেগুলোর কোন প্রয়োজন নেই। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে খুব সুন্দর গিফট কিনেছেন। গিফটের ব্যাগটা বেশ চমৎকার লাগছে দেখতে। কেনাকাটার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলছেন আপু একসাথে সব কিছু কিনা যায় এবং একসাথে পাওয়া যায় বলে সুপার শপে গেলে খুব ভালো লাগে।