ফটোগ্রাফি করাটা দিন দিন কেমন জানি একটা নেশায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। যদিও ছোট বেলা থেকেই ফটোগ্রাফী করতে একটু আসক্ত ছিলাম, কিন্তু আমার বাংলা ব্লগে আসার পর থেকে সেই আসক্তিটা আরো দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে রাস্তা ঘাটের মধ্যে চলার পথে কখনো যদি কোন কিছুর সুন্দর দৃশ্য আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন আমি সেই দৃশ্য গুলো সাথে সাথে আমার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্ৰাফি করতে অনেক পছন্দ করি।যেহেতু আমি গ্ৰামে থাকি, তাই গ্ৰামের সৌন্দর্য গুলো একটু বেশি ধারণ করার চেষ্টা করি। আমি ছোট বেলা থেকেই গ্ৰামের মধ্যে বেড়ে উঠেছি। তাই গ্ৰামের সৌন্দর্যের সাথে আমি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। আর সেই ফটোগ্রাফি গুলি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আরও বেশি ভালো লাগে। সবথেকে বেশি ভালো লাগে যখন সেই ফটোগ্রাফি গুলি আপনাদেরও ভালো লাগে।

📸ফটোগ্রাফি📸:১

ফটোর বিবরণ:
ক্যাপশন: নয়নতারা ফুলের ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: মটোরোলা মটো জি ৩৪
ক্যামেরা: ৫২ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি:
লোকেশন: রংপুর

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি নয়নতারা ফুলের ফটোগ্রাফি। নয়নতারা ফুল একটি সুন্দর ও জনপ্রিয় ফুল যা সাধারণত বাগান, রাস্তার ধার বা পার্কে দেখা যায়। এটি সাদা, গোলাপি, লাল বা বেগুনি রঙের হতে পারে। নয়নতারা ফুলের পাতাগুলো সবুজ ও চকচকে হয়, আর ফুলগুলো পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট হয়।নয়নতারা ফুলের গাছের বিভিন্ন অংশ ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন। এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।নয়নতারা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর গুণাগুণও অনেক। এটি বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপকভাবে চাষ হয় এবং বাগানের শোভা বাড়ায়।

📸ফটোগ্রাফি:২📸

ফটোর বিবরণ:
ক্যাপশন: অলকানন্দা ফুলের ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: মটোরোলা মটো জি ৩৪
ক্যামেরা: ৫২ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি:
লোকেশন: রংপুর

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি অলকানন্দা ফুলের ফটোগ্রাফি। অলকানন্দা ফুল সাধারণত অলান্ডা নামে পরিচিত। এটি একটি সুন্দর, হলুদ বা বেগুনি রঙের ফুল যা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায়।সাধারণত উজ্জ্বল হলুদ, তবে কিছু প্রজাতিতে বেগুনি বা গোলাপি রঙেরও দেখা যায়।অলকানন্দা ফুল তার উজ্জ্বল রঙের জন্য খুবই আকর্ষণীয় এবং এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বাগানের একটি জনপ্রিয় উপাদান। 🌼

📸ফটোগ্রাফি:৩📸

ফটোর বিবরণ:
ক্যাপশন: কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: মটোরোলা মটো জি ৩৪
ক্যামেরা: ৫২ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি:
লোকেশন: রংপুর

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি কসমস ফুলের ফটোগ্রাফি।কসমস ফুল একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় ফুল, যা তার সৌন্দর্য ও সহজে চাষের জন্য পরিচিত। এটি মূলত মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় ফুল, তবে এখন বিশ্বজুড়ে এর চাষ হয়।কসমস ফুল গোলাপি, সাদা, বেগুনি, কমলা, লাল ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে।কসমস ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই এর চাষও খুব সহজ, তাই বাগান পছন্দ করেন এমন অনেকেই এটি লাগাতে পছন্দ করেন। 🌸

📸ফটোগ্রাফি:৪📸

ফটোর বিবরণ:
ক্যাপশন: ফুরুস ফুলের ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: মটোরোলা মটো জি ৩৪
ক্যামেরা: ৫২ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি:
লোকেশন: রংপুর

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি ফুরুস ফুলের ফটোগ্রাফি।ফুরুস ফুল হলো একটি আরবি শব্দগুচ্ছ, যার বাংলা অর্থ "ফুলের গন্ধ" বা "ফুলের সুবাস"। এটি প্রায়ই কবিতা, গান বা সাহিত্যে ফুলের সৌন্দর্য ও সুগন্ধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এই ফুলের নাম যদিও আমার জানা ছিল না,আমি গুগল থেকে সার্চ করে জানতে পেরেছি।

📸ফটোগ্রাফি:৫📸

ফটোর বিবরণ:
ক্যাপশন: ডেইজি ফুলের ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: মটোরোলা মটো জি ৩৪
ক্যামেরা: ৫২ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি:
লোকেশন: রংপুর

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি ডেইজি ফুলের ফটোগ্রাফি।ডেইজি ফুল একটি সুন্দর ও জনপ্রিয় ফুল, যা তার সাদা পাপড়ি ও হলুদ কেন্দ্রের জন্য পরিচিত। এটি সাধারণত বন্য ফুল হিসেবে জন্মায় এবং বাগানেও চাষ করা হয়।সাধারণত সাদা, তবে গোলাপি, বেগুনি বা লাল রঙেরও হতে পারে।ডেইজি ফুল দিয়ে মালা, বুকেট বা বাগানের সাজসজ্জা করা হয়। এটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং সহজে যত্ন নেওয়া যায় বলে বাগানপ্রেমীদের কাছে খুবই প্রিয়।

📸ফটোগ্রাফি:৬📸

ফটোর বিবরণ:
ক্যাপশন: জবা ফুলের ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: মটোরোলা মটো জি ৩৪
ক্যামেরা: ৫২ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি:
লোকেশন: রংপুর

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি সবার পরিচিত একটি ফুল যাঁর নাম জবা ফুল। জবা ফুল একটি জনপ্রিয় ও সুন্দর ফুল যা তার উজ্জ্বল রঙ এবং চিত্তাকর্ষক আকৃতির জন্য পরিচিত। এটি পরিবারের অন্তর্গত। জবা ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে, যেমন লাল, গোলাপি, হলুদ, সাদা এবং কমলা। এই ফুলটি নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায় এবং এটি শোভা বর্ধন, ঔষধি গুণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।

📸ফটোগ্রাফি:৭📸

ফটোর বিবরণ:
ক্যাপশন: রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: মটোরোলা মটো জি ৩৪
ক্যামেরা: ৫২ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি:
লোকেশন: রংপুর

আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি। রঙ্গন ফুল একটি জনপ্রিয় সাদা, লাল, গোলাপি বা হলুদ রঙের ফুলের গাছ, যা প্রধানত এর উজ্জ্বল রঙের ঘন গুচ্ছফুলের জন্য পরিচিত। এটি এশিয়া, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ব্যাপকভাবে চাষ হয়। এটিকে জঙ্গল অফ ফ্লেম, জঙ্গল জেরানিয়াম বা রক্তকাঞ্চন নামেও ডাকা হয়।রঙ্গন ফুল প্রজাপতি ও মৌমাছিকে আকর্ষণ করে, যা বাগানের ইকোসিস্টেমে সাহায্য করে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।