প্রতারকের প্রেম || শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

1000023298.jpg
সোর্স
হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।আমি প্রতারকের প্রেম গল্পটির প্রথম পর্ব কিছুদিন আগে শেয়ার করেছিলাম। আজ আপনাদের সাথে শেষ পর্ব শেয়ার করছি। আসলে ঘটনাগুলো এমন ভাবে ঘটে যা কখনোই লিখে শেষ করা যায় না। তাই আমি খুবই শর্টকাটে লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।এটি একটি বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া গল্প।

তখন সবাই বাধ্য হয়ে সাথে সাথে কবিরের বিয়ে দেয়। এভাবে চলে গিয়েছিল দুটি বছর। তাদের কোল আলো করে জন্ম নিল একটা ফুটফুটে ছেলে। এরপরে ঘনিয়ে আসে ঘন অন্ধকার তাদের সংসারে। একটা দমকা হাওয়া তাদের সেই সংসারটা তছনছ করে দেয়।আর সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

ছেলে স্বামী নিয়ে সাথীর বেশ ভালই সংসার চলছিল। হঠাৎ একদিন সাথীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কবি কাজে যাচ্ছে বলে সেই সকাল বেলা বেরিয়েছে কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে তাও বাসায় ফেরেনি। বারবার তাকে ফোনে ট্রাই করা হচ্ছে কিন্তু কোনভাবেই তাকে পাওয়া যাচ্ছে না ফোনে। সাথে তখন খুবই চিন্তায় পড়ে যায় এবং আশেপাশের খুঁজতে শুরু করে কিন্তু কোনভাবেই কবিরের দেখা পায় না। স্থানীয় বাজারে এক লোক সাথীকে অস্থির হতে দেখে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে। সাথে তখন অনায়াসে বলে যে তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সকালে বেরিয়েছে বাসা থেকে এখনো বাসায় ফেরেনি।

এরপর সাথী যে কথাটা ওই লোকের মুখে শুনলো সেটার জন্য সাথী মোটেই প্রস্তুত ছিল না। লোকটি বলল সন্ধ্যায় নাকি কবির বাসে করে কোথাও চলে গিয়েছে লোকটি দেখেছে। এদিকে রাত হয়ে গিয়েছে কোলে ছয় মাসের বাচ্চা সাথী কি করবে ভেবে উঠতে পারছে না।বাধ্য হয়ে বাসায় ফিরে। কিছুক্ষণ পরেই কবিরের ফোন আসে। কবির ফোনে জানিয়ে দেয় সে আর কখনোই সাথীর কাছে ফিরবে না। সাথী তখন দিশেহারা হয়ে যায় এই ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে এসে কি করবে তার মাথায় আসছে না।

অবশ্য এ ব্যাপারে সাথীকে সবাই দোষারোপ করছে। কেননা সবাই নিষেধ করেছিল যাতে কবিরকে বিয়েটা না করে। আসলে তার ব্যাপারে তো সঠিক তথ্য কেউ জানে না। এখন শোনা যাচ্ছে কবিরের নাকি বাসায় বউ বাচ্চা আছে।সাথী অনেকটা নিজেকে সামলে নিয়েছে। মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে প্রতারককে আর কখনোই বাসায় ফিরতে দেবে না। এখন বাচ্চাটার বয়স এক বছর হবে। বাহির থেকে দেখতে গেলে সে খুব ভালোই আছে কিন্তু ভেতর থেকে সে ক্ষত-বিক্ষত।

বিশ্বাস করে যখন আমরা কারো হাত ধরি আর মাঝপথে যদি সে হাতটা ছেড়ে ভালোবাসার মানুষ চলে যায় তাহলে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইবো সাথী আরো কঠিন হোক এবং সে তার ছেলেটাকে মানুষের মতো মানুষ করুক। একদিন না একদিন সে সুখী হবে এ বিশ্বাসটাই রাখি আমি। যাইহোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার গল্পের শেষ পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। সাথী ভালো মানুষের হাত ধরতে পারেনি তাই সে আজ এভাবে প্রতারিত হয়েছে। তবে সাথী যত বেশি কঠিন হবে ততই সে সুখের দেখা পাবে। তার বাচ্চাকে নিয়ে যাতে সুখী হয় এটাই চাওয়ার। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

এজন্যই কাউকে বিয়ে করার আগে তার পরিবারের খোঁজ নেওয়া উচিত। অনেকে ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে এরকম বিপদে পড়ে। সাথীর ক্ষেত্রে এরকমটি হয়েছিল। যদিও সে প্রতারক বাসায় তুলতে চাইছে না কিন্তু তার পক্ষে সারা জীবন কাটানো আসলেই বেশ মুশকিল হয়ে যাবে। যাই হোক খুব সুন্দর ভাবে গল্পটি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ।

 3 months ago 

ঠিক বলেছেন বিয়ের আগে খোঁজ খবর নেওয়া উচিত।যদি সাথীর পরিবার আগে থেকে খোঁজ নিত তাহলে এমনটা হয়তো হত না।যাইহোক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 months ago 

সাথীর ভাগ্যটা আসলেই খুব খারাপ। কবিরের মতো প্রতারকদের বিয়ে করলে জীবন বরবাদ হয়ে যায়। এমন প্রতারক এখন অহরহ দেখা যায়। যাইহোক সাথী তার সন্তানকে ভালোভাবে বড় করতে সক্ষম হবে সেই কামনা করছি। গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 months ago 

গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।