ঠ্যালার নাম বাবাজী। 10% to @shy-fox & 5% to @abb-school

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো সবাইকে।
আশা করি সবাই ভালো আছেন।

qstressful-workaholic-keeps-head-down-desk-feels-tired-overworked-has-much-work-prepares-upcoming-exam-writes-information-diary (1).jpg
Workload photo created by wayhomestudio - www.freepik.com

আমরা আসলে খুব কম সময়ই প্রয়োজন ছাড়া কোন কাজ করতে আগ্রহী । একটা বিষয় খেয়াল করবেন আমরা অনেক দিন কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকি কিন্তু কোন সফটওয়্যার শেখা হয় না। যখনই কোন চাকরীর জন্য দরকার পড়বে জানি তখনই বিভিন্ন মাইক্রোসফট কোর্সে ভর্তি হয়ে যাই। সারাজীবন ওত বেশি টাকা পয়সার নাম গন্ধ নাই, যখনই বিয়ে করার চিন্তা আসবে তখনই কিভাবে টাকা পয়সা কামানো যায় তার পিছনে ছুটি। এমনিতে কোন দৈনন্দিন রুটিনের তোয়াক্কা করি না সারাজীবন, যখনই শরীর আর নিতে পারে না বা অসুস্থ হয়ে যাই তখনই মনে হয় একটু রুটিনের আসা দরকার। এইটাই মূলত ঠ্যালার নাম বাবাজী।

আমরা লাইফে ঠ্যালা ছাড়া কোন কিছু ওইরকম ভাবে করি না। খুব কম মানুষই আছে এরকম যারা কোন দরকার না থাকা সত্ত্বেও নিজে থেকে অতিরিক্ত কিছু শিখে রাখে। বিষয়টা লক্ষ্য করবেন আপনি জীবনে যাই কিছু শিখে রাখুন না কেন কোন না কোন সময় তা আপনার কাজে আসবেই।

বিপদে না পড়লে সত্য কথা আমাদের তেমন কিছু শেখা হয় না। যেমন আমি যদি আমার কথাই বলি গত কয়েক বছর আমি বেশ অনিয়মের মধ্যে কাটিয়েছি। রাতে না ঘুমিয়ে, সকালে না খেয়ে, দিনের পর দিন খুব অল্প পরিমাণ পানি পান করে অনেক দিন কেটেছে আমার। গত কয়েকদিন আগে সকালবেলা হঠাৎ আমার প্রচন্ড পেট ব্যথা শুরু হয়। মেডিকেলে যাওয়ার পর ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন দেয়া হয় এবং বেশ কয়েকটা টেস্ট করাইতে বলে। সব কিছু করিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বলে ইউরিন ইনফেকশন। এখন ঠ্যালায় পড়ে দিনে আমার ৬ লিটারের বেশি পানি খাওয়া লাগে, রুটিন মেনে চলতে হয় এবং সাথে ওষুধতো আছেই।

তাই কোন কিছু শিখতে আমাদের ঠ্যালায় পড়তে হয়। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সব সময় ঠ্যালায় পড়ি না এটাই স্বাভাবিক। কালে-ভদ্রে হয়তো ঠ্যালায় পড়ে যাই। যখনই এমন ঠ্যালায় পড়ি, আমাদের অনেক কিছু শেখা হয়ে যায়। যেহেতু আমাদের ঠ্যালায় পড়া ছাড়া কিছু শেখা হয় না তাই ইচ্ছা করেও নিজের জন্য ঠ্যালার ব্যবস্থা করা যায়, যাকে আমরা এনকারিং হ্যাবিট বলি। যেমন ধরুণ আপনি সকালে উঠে একটু দৌড়ানোর অভ্যাস করতে চাচ্ছেন। এর জন্য আপনাকে দৈনন্দিন জীবনে যেসব কাজ করে যাচ্ছেন তার সাথে এই নতুন অভ্যাসটাকে জোড়া দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। বর্তমানে থাকা অভ্যাসটাকে ঠ্যালা হিসেবে কাজে লাগিয়ে আপনি হয়তো নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এখন সকালে আপনার দাঁত ব্রাশ করতে হয়। যখনই আপনার দাঁত ব্রাশ শেষ হবে তখনই আপনার দৌড়াইতে যাওয়ার প্যারাটা নিতে হবে। মানে দাঁত ব্রাশ টাকে ঠ্যালা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। দাঁত ব্রাশের পরই আপনার কাজ হবে দৌড়াতে যাওয়া। তো এইভাবে আমাদের বর্তমান জীবনে যেই সব অভ্যাস আছে তাকে রিমাইন্ডার হিসেবে ব্যবহার করে অন্য অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে। যেমন কয়েক দিন পর আমার পরীক্ষা। আমার পরীক্ষায় পাশ করার ঠ্যালা আছে। তাই পাশ করার ঠ্যালার জন্য আমার পড়তে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।
ভালো থাকবেন সবাই।
সবার জন্য শুভকামনা।