আমার স্কুল জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতি (১০% shy-fox এবং ৫% abb-school)
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামুয়ালাইকুম, আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের আমার স্কুল জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
Photo: Canva
আমাদের সবার জীবনে এমন কিছু স্মরণীয় দিন থাকে তা কখনো ভোলা যায় না, আমার জীবনে স্মরণীয় দিন গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্কুলের প্রথম দিন।এই দিনে আমার অনেক স্মরণীয় স্মৃতি কখনো ভোলার মতো নয়, মৃত্যু হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই স্মরণীয় স্মৃতি গুলো মনে থাকবে। মাঝে মাঝে এই স্মৃতি গুলো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগা কাজ করে মনের মধ্যে।
আমার স্কুল জীবনের প্রথম দিনের স্মৃতি গুলো খুব ভালো ভাবে আমার মনে রয়েছে,এ গুলো কখনো ভোলার মতো নয়। আমার যখন বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখন আমার বাবা আমাকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসে।স্কুলটি খুব বেশি দুরে নয়, আমাদের বাসা থেকে খুব কাছেই,এক কথায় আমাদের বাসা থেকে স্কুল টি দেখা যায়।তার পর প্রথমে আমার বাবা আমাকে স্কুলের অফিস কক্ষে নিয়ে যান, সেখানে দপ্তররী সাহেব আমাদের দুজনকে চেয়ারে বসতে দেন। তারপর আমরা সেখানে প্রায় আধাঘন্টা বসে থাকার পর একজন শিক্ষক আসে আমার বাবার কাছে, আমার বাবা সেই শিক্ষকের কাছে আমার ভর্তির ব্যাপারে কথা বলে,পরে তিনি আমার ভর্তির জন্য একটা ভর্তি ফরম বের করে পূরণ করতে দেন, কিন্তু আমার বাবা লিখতে না পারায়, শিক্ষক টি সব কিছু লিখে নেন। তারপর ভর্তি কনফার্ম করার জন্য আমার বাবার কাছে থেকে ১৫০ টাকা নেন। আমাকে তারা শিশু শ্রেণিতে ভর্তি করে নেয়।তার পর স্কুলের দপ্তরী সাহেব আমাকে চারটি বই এনে আমার হাতে তুলে দেন। তারপর আমার বাবা বাসায় চলে আসে। দপ্তরী সাহেব আমাকে আমার ক্লাসের সকল বন্ধু বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে চলে আসেন।
এর আগে আমি কোন দিন স্কুল যায়নি।তাই আমার খুব ভয় করতেছে। আমার পাশে দুজন ছেলে ছিল তারাও আমার অপরিচিত। পরে আমার টেবিলের তিনজনের সাথে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়।একটু পরে একটা মেডাম আমাদের ক্লাসে চলে আসে।মেডাম নতুন দেখতে পেয়ে আমাকে অনেক গুলো প্রশ্ন করে আমি সব প্রশ্নের উত্তর দেই। তারপর ক্লাসের সকল ছাত্র ছাত্রীদের কে বলে তোমাদের ক্লাসে নতুন একজন ছাত্র এসেছে, তোমরা সবাই তাকে হাত তালি দিয়ে বরণ করে নাও, তখন সবাই আমাকে হাত তালি দিয়ে বরণ করে নেয়। এটাই ছিল আমার স্কুলের প্রথম দিন।
স্কুলের পরিচিতি
স্কুলের নাম হলো বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল, এটা গার্লস স্কুল হলেও এখানে প্রাইমারি পর্যন্ত ছেলেরা পড়া লেখা করতে পারবে, কিন্তু হাই স্কুলে ছেলেদের পড়াশোনার কোন সুযোগ নেই। এই স্কুল টি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার এক নং খোড়াগাছ ইউনিয়ন এর তিন নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। এটি একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি আকিজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ হতে পরিচালিত।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার বাড়ি রংপুর জেনে ভালো লাগলো। আমার শ্বশুর বাড়ি রংপুর। আসলে ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার অনুভূতিগুলো আসলেই অন্যরকম থাকে। যদিও আমার ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিন খুব একটা মনে নেই। কিন্তু আপনার প্রথম দিনের অনুভূতিগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
জী আপু আমার বাড়ি রংপুর জেলায়। আমার শ্বশুর বাড়ি রংপুর জেলায় শুনে ভালো লাগলো।
আসলে আমাদের সবার জীবনে একটা স্মৃতিময় দিন রয়েছে বিশেষ করে স্কুল জীবনের প্রথম দিনটা সবার স্মৃতিময়। আপনার স্কুল জীবনের প্রথম দিন সম্পর্কে পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। ক্লাসে যাওয়ার পর যখন একটা ম্যাডাম আসে আপনি যেহেতু নতুন ছিলেন তাই আপনাকে অনেকগুলো প্রশ্ন করেছিলেন। এরপর সবাইকে বলেন আপনি যেহেতু নতুন তাই আপনাকে হাততালি দিয়ে বরণ করার জন্য। সম্পূর্ণটা ভালো লাগলো। অনুভূতিটা একেবারে অন্যরকম ছিল দেখে বুঝতে পারছি।
আপনার স্কুল জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতির পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার স্কুল জীবনের প্রথম দিনটা খুবই ভালো কেটেছে বুঝতে পারছি আপনার পোস্ট পড়ে। সত্যি কথা বলতে এমন কিছু স্মৃতিময়ী দিন থাকে যেগুলো সারা জীবন মনে থাকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই স্মৃতিগুলো মনে থাকে সবার। আপনার টিচার আপনাকে নতুন দেখে অনেক রকমের প্রশ্ন করেছিল। এমনিতেই স্কুলে নতুন কেউ গেলে টিচাররা তার পরিচয় নেই বিভিন্ন প্রশ্ন করে। এবং কি সকল শিক্ষার্থীকে বলে আপনাকে যেন বরণ করে নেই। ভালো লাগলো পড়ে।
একদম পুরনো স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিলে না আজ। হয়তো সেই দিনগুলো অনেক আগেই ফেলে এসেছি আমার জীবন থেকে যা আর ফিরে পাবো না। তবে আজকে আপনার পোস্ট এর মধ্য থেকে পুনরায় সেই স্মৃতি স্মরণ করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে আমার।