এই সময়ে ১০ উপায়ে অর্থ সেইভ করুন // [১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য] //

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @joniprins বাংলাদেশে থেকে সবসময় আছি আপনাদের সাথে ।

💖সবাইকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সু-স্বাগতম 💖

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি.. সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমি এমন একটি পোষ্ট করবো যেটা আপনারা যদি আপনাদের জীবনে প্রয়োগ করেন তাহলে অনেক টাকা সেইভ করতে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক..

pexels-karolina-grabowska-4386339.jpg

source

গত কয়েক মাসে হু হু করে দুইবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারনে দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপন্য জিনিষের দাম। মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তরা সংসারের ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪ কোটির মত মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। কিন্তুু ব্যয় বৃদ্ধির কারনে নতুন করে আরো ৫ কোটির মত মানুষ দারিদ্রসীমার নিচের চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত ২০ বছরের মধ্যে গত মাসে সর্বউচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা খরচ কমাতে তিন বেলার পরিবর্তে
দুবেলা খাওয়ার চিন্তা করছে। বর্তমানে সবাই ব্যয় কমানোর চিন্তায় ব্যস্ত। সংসারের ব্যয় কিভাবে কমাতে হবে সে বিষয় কয়েকটি টিপস আপনাদের সাথে সেয়ার করবো।

০১/ একেবারে অসয্য পর্যায়ে না গেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

বাংলাদেশের ডাক্তার নামক কসাইয়েরা (সব ডাক্তার না) রোগীর থেকে ঐষধ কোম্পানির চিন্তা বেশি করে। আর কিছু হলেই ১০ থেকে ১২ টা টেষ্ট ধরিয়ে দিবে। ভিজিট নিবে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা আবার টেষ্ট থেকেও কমিশন খাওয়ার জন্য অতিরিক্ত কিছু টেষ্ট ধরিয়ে দিবে। বর্তমানের ডাক্তারদের কোন মায়া দয়া নাই। তাই যথা সম্ভব ডাক্তারের কাছে কম যাওয়াই ভাল।

০২/ বাইরে ঘুরাঘুরি ও রেস্টুরেন্টে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

বর্তমানে খুব দরকার না হলে বাহিরে ঘুরাঘুরি করে টাকা অপচয় করবেন না। এখানে সেখানে বিনোদন পার্কে অযথা ঘুরাঘুরি করা থেকে বিরত থাকুন। বাসায় খাবারের ব্যবস্থা থাকলে হোটেল রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা টোটালি অফ করে দিন। এমতেও ডাক্তাররা সবসময় বলে বাহিরের খাবার পরিহার করুন। বাহিরর খাবার স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। খাবার অপচয় রোধ করুন।

০৩/ হাটার অভ্যাস করুন।

ডাক্তারের ভাষ্যমতে সু্স্থ থাকতে হলে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ মিনিট হাটা খুব জরুরী। পরিবারের সবাইকে হাটার জন্য উৎসাহিত করুন, নিজে হাটার অভ্যাস করুন, সল্প দুরত্বের জায়গা অটো অথবা রিকসার পরিবর্তে হেটে যান। অথবা বাই সাইকেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে পরিবেশও ভাল থাকবে আপনিও ভাল থাকবেন।

০৪/ খুব দরকার না হলে প্রাইভেট টিচার বাদ দিয়ে দিন।

আপনার সন্তানের জন্য সব সাবজেক্টে আলাদা আলাদা টিাচার না রেখে কোচিং এ ভর্তি করে দিন। অথবা এক দুইজন টিচার দিয়ে সব সাবজেক্ট পড়ানোর ব্যবস্থা করে দিন। অথবা যদি পারেন আপনি অথবা আপনার ওয়াইফ সময় বের করে পড়াতে পারেন। পরিবারকে সন্তানকে সময় দিন। তাদের পড়াশোর ব্যবপারে সাহায্য করুন।

০৫/ বিদ্যুতের অপচয় রোধ করুন

খুব দারকার না হলে,এসি, টিভি, ফ্যান চালানো বন্ধ রাখুন। দিনের আলোতে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। রাইস কুকার,হিটার,আয়রন চালানো টোটালি বন্ধ করে দিন। সব দিক দিয়ে যথা সম্ভব বিদ্যুৎ সাশ্রয় করুন। তাতে আপনারও বিদ্যুৎ বিল কম আসবে দেশেরও উপকার হবে। মনে রাখবেন আপনি লাইট অফ করলে অন্যের ঘরে লাইট জ্বলবে।

০৬/ খাবারের তালিকায় আমিষের পরিবর্তে নিরামিষ বেশি রাখুন।

প্রতিদিন মাছ মাংস খাওয়া কমিয়ে দিন। মাঝে মাঝে শাখ সবজি খাওয়ার অভ্যস গড়ে তুলুন। নিরামিষ শরীরের জন্য অনেক উপকার। শাখ সবজি খেলে আপনার শরীর ভাল থাকবে পাশাপাশি খরচও কম হবে।

০৭/ মটর সাইকেল ও প্রাইভেটকার কম ব্যবহার করুন।

অযথা মটরযানও প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরাঘুর করবেন না। শুধু শুধ টাকা নষ্ট করে এখানে সেখানে মটরযান নিয়ে চলাচল করবেন না। দরকার না হলে বাহিরে বের হবেন না। পরিবারকে সময় দিন, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

০৮/ অযথা কিনা কাটা পরিহার করুন।

খুব বেশি দরকার না হলে মার্কেটে যাওয়া বন্ধ করে দিন। অযথা কিনা কাটা করে টাকা অপচয় করবেন না। যে কাপড় আছে সে গুলো দিয়েই চালিয়ে দিন। অতিরিক্ত যে কোন পন্য কিনা থেকে বিরত থাকুন। যথা সম্ভব বিদেশি পন্য পরিহার করুন দেশি পন্য ব্যবহার করুন।

০৯/ ফেমিলি বাসা ছেড়ে মেস বেচে নিন।

যদি কোন সমস্যা না থাকে ফেমিলি গ্রামি পাঠিয়ে নিজে মেস মেম্বার হয়ে যান। ফেমিলি বাসায় খরচ অনেক বেশি সে তুলনায় মেসে খরচ অনেক কম হবে। যথা সম্ভব সব দিক দিয়ে খরচ কমিয়ে দিন।

১০/ উৎপাদনে মনযোগ দিন।

কৃষি বাংলাদেশের প্রান। কৃষি বাচলে দেশ বাচঁবে। কৃষিকে মূল্যয়ন করুন। কোথাও আবাদি জমি খালি ফেলে রাখবেন না। ঘরের চারপাশে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষ করুন। নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করার চেষ্টা করুন।

পরিষেশে একটা কথায় বলবো, প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথা সম্ভব সেইভ করুন। অতিরিক্ত খরচ,অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুন। প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমন বন্ধ করে দিন। বিদেশ থেকে অযথা পন্য আনা থেকে বিরত থাকুন। খুব হিসাব করে চলুন। দেশের অর্থ দেশে রাখুন,দেশকে ভালবাসুন, দেশকে দেওলিয়া হওয়া থেকে বাচাঁন।

108.png

বন্ধুরা কেমন হলো আজকের পোষ্টি। অবশ্যিই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোষ্টে। ততদিন পর্যন্ত ভাল থাকবেন, ভুল হলে ক্ষমা করবেন, নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন, চারপাশ পরিষ্কার রাখবেন। আল্লাহ হাফেজ।

103.png

111.png

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7jpbMNKdA1Swxiey857mvDu4v9YQGGGa7u8o3aSuH2T9hohoCpGA4xjXECnmqJUuaGBR4n9tutUQsJX8FzZckBvZL.png

Sort:  
 3 years ago 

বর্তমানে যা বাজারের অবস্থা তাতে আসলে যেভাবে খরচ কম হয় সেই চিন্তা নিয়েই থাকতে হবে। নাহলে আসলে হলে বর্তমান পৃথিবীতে বেঁচে থাকা খুবই খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আপনি আজকে কিভাবে এই সংসারের ব্যয় কমাতে পারি সেই বিষয়ে দারুন কিছু টিপস দিয়েছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

ভাইয়া আমি সাংসারিক ব্যয় নিয়ে অনেক টেনশনে আছি, তাই লিখলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

সুন্দর এবং সমসাময়িক একটি বিষয় নিয়ে দারুন আলোচনা করেছেন।এবং বিষয় গুল সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago (edited)

যথা সম্ভব চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।