মনের তৃপ্তি
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
কিছু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো আমরা বাধ্য হয়ে করি। অর্থাৎ যেমন ধরুন আপনার পড়ার ইচ্ছা হলো মেডিকেলে, কিন্তু কোনো একটা অদ্ভুত কারণে আপনাকে ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তে হলো এবং আপনি সেখানে ভালো রেজাল্ট ও করছেন। কিন্তু সত্যি কথা হলো, সেখানে আপনি মনের তৃপ্তি পাবেন না এবং না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তার কারণ হলো আপনার আসলে ওখানে কোনো ইচ্ছে ছিল না এবং আপনার ইচ্ছে ছিলো সম্পূর্ণ আলাদা একটি জায়গায়। স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনের তৃপ্তিটা আসবে না।
এভাবে আমরা বেশিরভাগ কাজ আসলে সব সময় বাধ্য হয়ে করি। কারণ বর্তমান সমাজে চলতে গেলে নিজের মনের মতোন কোনো কিছু করে ওঠা অনেক বেশি কঠিন। কারণ যে খারাপ কাজ করছে তাকে মানুষ দোষারোপ না করলেও। কেউ যদি একটু নিজের মনের মতোন চেষ্টা করে। অর্থাৎ নিজের মনের কথা শুনে ভালো থাকার চেষ্টা করে। তাহলে দেখবেন তাকে শোনানোর জন্য কথা কোনো অভাব নাই এবং এভাবেই চলছে আমাদের এই সমাজ, আমাদের জীবন।
ব্যাপারটি অনেকটা এমন যে নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে হয় কোনো কাজের কারণে। কারণ ওই যে বললাম, সবকিছু ঠিক থাকলেও মনের তৃপ্তিটা কোনোভাবেই যেনো রাখা যায় না।আসলে নিজের মনের কথা শোনাটাকে অনেক মানুষ খারাপ ভাবেই দেখে। অর্থাৎ সবসময় তারা ভাবে যে আমাদের চারপাশে যে ১০ জন রয়েছে, আমরা সবসময় তাদের কথা শুনবো। কিন্তু মানুষ এটা বুঝতে পারে না যে, আমাদের মন বলে একটি ব্যাপার রয়েছে এবং আমাদের মনের কথা শোনাটাও একটা আসলে ব্যাপার। কিন্তু সমাজের একটি নিষ্ঠুরতা হলো যে, সমাজ কখনই চায় না আপনি আপনার নিজের মনের কথা শুনুন। যেহেতু আমাদের সমাজ চায় না। সেহেতু আমরাও আসলে আমাদের মনের কথা না শুনে সবসময় আমাদের চারপাশের মানুষের কথাই শুনি। কিন্তু আমি মনে করি এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত।