"বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন দেখে আসলাম"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৯ ই মার্চ, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গত বছরে আমার ভাই অর্ঘ্য ঢাকাতে আসার পরে গাজীপুরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের এলাকার পরিচিত এক দাদা চাকরি করে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে সেখানে ঘোরার পরে আমরা তার সাথেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দেখতে গিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে অনেক আগে থেকেই মনে ভীষণ কৌতুহল ছিলো। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব ও পরিচালিত কৃত্রিম স্যাটেলাইট
আমরা ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঘোরাঘুরির পর বিকালের দিকে দুটি রিক্সা ভাড়া করে রওনা দিলাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের উদ্দেশ্যে। ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের দূরত্ব মোটামুটি তিন থেকে চার কিলোমিটার মত। আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য একটি রিক্সাতে ছিলাম আর বিমল দাদা ও তার সহকর্মী আরেকটি রিক্সাতে ছিল। আমরা মোটামুটি বিশ মিনিটের ভেতরেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের সামনে চলে আসলাম। বঙ্গবন্ধু গ্রাউন্ড স্টেশনের সামনে সুন্দর একটি তেঁতুল গাছ আছে আমি ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলাম।
বঙ্গবন্ধু গ্রাউন্ড স্টেশনের সামনে উন্মুক্ত একটি মাঠ আছে সেখানে এখানকার স্থানীয় ছেলেপেলেরা খেলাধুলা করে থাকে। আমরা রিক্সা থেকে খেলার মাঠের পাশে এই নামলাম তারপর সবুজ মাঠে যারা ক্রিকেট খেলছিল কিছু সময় দাঁড়িয়ে তাদের ক্রিকেট খেলা উপভোগ করলাম। ক্রিকেট খেলাটা আমি ভীষণ পছন্দ করি। ক্রিকেট খেলার মাঠ থেকে একটু হেঁটে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের সামনে গেলাম।
আমি অবশ্য প্রথমে ভেবেছিলাম যে, হয়তো আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে দেবে। কিন্তু এখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থা দেখে বুঝতে পারলাম যে, আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে না। আসলে এসব জায়গায় ঢুকতে না দেওয়াটাই স্বাভাবিক বড় ঢুকতে দেয়াটাই অস্বাভাবিক। তারপরেও বঙ্গবন্ধু গ্রাউন্ড স্টেশনের গেটের একজন আনসার সদস্যের কাছে শুনলাম যে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে কিনা!
আনসার সদস্য তখনই আমাদেরকে জানালো যে, বাইরের যেকোনো ব্যক্তিকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। যাইহোক তখন বিমল দাদা আমাদেরকে বলল যে, আমরা তো ভিতরে ঢুকতে পারবো না তাই বাইরেই ঘোরাফেরা করি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের চারপাশে খোলামেলা সবুজ মাঠ। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্যটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। তবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের ভিতরে ঢুকে দেখতে পারলে মনের অনেক কৌতুহল দূর হতো।
আমরা আশেপাশেই বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করতে থাকলাম আর গল্প করলাম। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনের সামনে এই বিমল দাদা আর অর্ঘ্যর একসাথে কয়েকটি ছবি তুলে দিলাম। তারপর আমরা সবাই মিলে বেশ কয়েকটি ছবি উঠলাম। আমি যেখানে ঘুরতে যায় না কেন সেখানকার কাটানো সুন্দর মুহূর্তের ছবি নিজের ফোনে তুলে রাখার চেষ্টা করি। আর অবসর টাইমে ফোনের গ্যালারিতে গিয়ে পুরনো স্মৃতিময় ছবিগুলো দেখি।
আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন দেখা শেষ করে পদ্ম পুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এখানে অবশ্য সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৪ ই এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনের ভিতরে ঢুকতে না পারলেও আপনারা চারজন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন,খোলামেলা জায়গাটিতে। এধরণের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে হলে আগে থেকেই অনুমতি নিয়ে যেতে হয়। তেতুল গাছের ছবি সহ প্রতিটি ছবি সুন্দর হয়েছে। ভালো হয়েছে পোস্টটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কখনো দেখা হয়নি কাছে গিয়ে। আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। গাজিপুর ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ঘুরতে আপনি পছন্দ করেন সেটা আমি আগে থেকেই জানি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ ভাই ঘুরতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি যে কোন জায়গায় ভ্রমন করে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের দেশের একটি গর্ব আসলে ভাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। আপনারা সবাই খুবই ভালো একটা সময় কাটিয়ে ছিলেন। আসলে আমার নিজেরও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো। আপনি যখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রাইমারি সাউন্ড স্টেশন ঘুরতে গিয়েছেন। ভিতরে ঢুকতে না পারলেও ভীষণ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলেন। জায়গাটা দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। জায়গাটা অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। এ বিষয়টা আমার মন কেড়েছিল ভাই।
হ্যাঁ ভাই অনেক সিকিউরিটির ব্যাপার ছিল তাই আমরা ভেতরে ঢুকতে পারি নাই। তবে বাইরে বেশ ঘুরে ছিলাম অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সবার সাথে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
ভাই ব্রাদারের সাথে এত সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে ছিলেন যেটা সবাই প্রত্যাশা করে। আসলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গ্রাউন্ডে যাওয়ার আমার খুবই শখ। জায়গাটি অনেক সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল। এরকম মুহূর্ত সত্যিই অনেক সুন্দর কাটে ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই বন্ধু আবার ঢাকাতে আসো আমরা সব জায়গাতে ঘুরে ঘুরে দেখব। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়৷ প্রতিনিয়তই আমরা এর সুবিধা ভোগ করে আসছি৷ তবে কখনো এই গ্রাউন্ড স্টেশনে যাওয়া হয়নি৷ আপনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এ গিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন যা আপনার কাছ থেকে দেখে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আসলেই ভাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের দেশের জন্য গর্বের বিষয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন৷ আমরা প্রতিনিয়ত এটিকে নিয়ে গর্ব করি৷ আপনি এরকম সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷