শাহাবুদ্দিন পার্কে কিছু সময়||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি দুদিন আগে আছরের সালাত আদায় করার পর আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে গুলশান-২ এ হাটতে হাটতে শাহাবুদ্দিন পার্কে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এই সময়ের অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
গত পরশুদিন আমি ও আমার দুই বন্ধু মিলে একসাথে মসজিদে আছরের সালাত আদায় করি। বেশ কিছুদিন ধরে বাসায় একদম বোরিং লাগছিলো তাই আমরা ভাবলাম আজকে একটু হাটাহাটি করি নামাজ পরে। আছরের সালাত আদায় করার পর আমরা গুলশান-২ এর রাস্তা ধরে হাটাহাটি করতে থাকি।
আমি যেখানে থাকি অর্থাৎ নতুনবাজারে সেখান থেকে গুলশান-০২ অনেক কাছেই। নতুনবাজার থেকে শাহাবুদ্দিন পার্ক হেটে যেতে ১৫ মিনিট লাগে। আমরা নতুনবাজার থেকে হাটতে হাটতে গুলশান-০২ এর শাহাবুদ্দিন পার্কে যাই। নতুনবাজার থেকে শাহাবুদ্দিন পার্ক হেটে যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো লাগে। আমরা সবাই গল্প করতে করতে শাহাবুদ্দিন পার্কে চলে যাই।
শাহাবুদ্দিন পার্কে গিয়ে আমরা কিছুক্ষণ বসে আড্ডা দেই। এমনি দিনে শাহাবুদ্দিন পার্কে অনেক মানুষ থাকলেও রমজান মাস তাই সেরকম মানুষ ছিল না। পরশুদিন ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছিল বৃষ্টির পরের আবহাওয়া আমার অনেক প্রিয়। শাহাবুদ্দিন পার্কে বসে প্রকৃতির শীতল বাতাস যেন মনকে মুগ্ধ করে তুলছিল। আমিও আমার বন্ধুরা বেশ কিছুক্ষণ বসে গল্প করতে থাকি।
বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে পার্কের ভেতরে একটু হাটাহাটি করি। আমরা পার্কের ভেতরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করি গল্প গল্প করতে করতে। আমরা পার্কের পুরোটা একবার হাটি। বেশ কিছুক্ষণ পার্কের ভিতর সময় কাটানোর পর, এবং পার্কের ভেতর হাঁটাহাঁটি করার পর মন মেজাজ ভালো হয়ে যায়। পার্কের শীতল হাওয়া যেন মনকে মুগ্ধ করে তুলছিল। যেহেতু রমজান মাস তাই বেশি দেরি না করে পার্ক থেকে বের হয়ে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
আপনি আর আপনার বন্ধু মিলে বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন শাহাবুদ্দিন পার্কে। এইরকম নিরিবিলি জায়গা গুলি ভীষণ ভালো লাগে। দুইজন বন্ধু অনায়েসে বসে আড্ডা দেওয়া যায়। ওখানকার পরিবেশটা আমার ভীষণ ভালো লাগছিল। দেখে আমারও ইচ্ছা করতেছে যাইতে। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের মুহূর্তগুলোই পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
নাম শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। তবে যা হোক বা না হোক আপনার মাধ্যমে কিন্তু শাহাবুদ্দিন পার্কের কিছু দৃশ্য দেখার সুযোগ হলো। আর পাশাপাশি সুন্দরভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন বিস্তারিত এই থেকে অনেক কিছু জানতেও পারলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গুলশান তুই থেকে শাহাবুদ্দিন পার্ক এত কাছে আমি জানতাম না।বাসায় একাধারে বেশিক্ষণ থাকলে বোরিং হওয়াটা স্বাভাবিক।বন্ধুদের সাথে পার্কে ঘুরতে গিয়ে ভালোই করেছ মনটা প্রফুল্ল হয়েছে।
শাহাবুদ্দিন পার্কটা ঠিক কোনদিকে খেয়াল আসছে না আমার মনে হয় বাস থেকে দেখা যায়।যাই হোক বন্ধু দের সাথে পার্কে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আসলে রমজান মাস উপলক্ষে সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত তাই পার্কে মানুষ কম।যাই হোক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
শাহাবুদ্দিন পার্কে আপনার কাটানো মুহূর্তটুকু জানতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এরকম পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে পারলে মন বেশ সজীব থাকে। আর শাহাবুদ্দিন পার্কের পরিবেশ টা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।