দীর্ঘ দিন পর গিয়েছিলাম আমাদের ধান ক্ষেত দেখার জন্য

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে দীর্ঘ দিন পর গিয়েছিলাম আমাদের ধান ক্ষেত দেখতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

দীর্ঘ দিন পর গিয়েছিলাম আমাদের ধান ক্ষেত দেখতে। সেই পুরনো পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে কত যে স্মৃতি মনে পড়ছিল, তা বলে শেষ করা যাবে না। পথের ধারে নারকেল গাছগুলো এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, মাঝেমধ্যে বাতাসে দুলছে। ফাঁকা মাঠের ওপাশে দেখা যাচ্ছিল আকাশের সাথে মিশে থাকা সবুজ ধানের ঢেউ। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য একেবারেই অন্যরকম, যা শহরের ব্যস্ত জীবনে কখনো পাওয়া যায় না। আসলে শহরের থেকে গ্ৰামে চলাফেরা করার মাঝে একটু বেশি আনন্দ রয়েছে। যারা ইতিমধ্যে গ্ৰাম এলাকার মধ্যে বসবাস করছেন তারা এই বিষয়ে অবগত আছেন।

ধানক্ষেতে পৌঁছে মনে হচ্ছিল, যেন শৈশবের সেই চেনা জায়গায় ফিরেছি। পায়ের নিচে কাদার নরম স্পর্শ, ধানের গন্ধ মেশানো বাতাস, আর মাটির গন্ধ মিলিয়ে এক অদ্ভুত শান্তি ছড়িয়ে পড়ছিল চারপাশে। কোনো কাজের তাড়া ছিল না, কোনো ব্যস্ততা ছিল না শুধু প্রকৃতিকে নিজের করে পাওয়ার এক ছোট্ট মুহূর্ত। এক কোণে বসে কিছুক্ষণ শুধু তাকিয়ে রইলাম, পাখিদের ওড়াউড়ি দেখলাম, বাতাসের শব্দ শুনলাম। এমন অনুভূতি অনেক দিন পাইনি। আসলে এখন মাঠের মধ্যে তেমন একটা আসা হয় না। ছোট বেলায় খুবই ঘন ঘন এসেছিলাম আমাদের এই মাঠের মধ্যে।

মাঠের একপাশে কিছু কৃষক ব্যস্ত ছিলেন তাদের কাজ নিয়ে। দূর থেকে তাদের কথাবার্তার শব্দ আসছিল, যা এই নীরব প্রকৃতির মধ্যে একধরনের সঙ্গীতের মতো শোনাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, এই মাটির সাথেই আমার সমস্ত বন্ধন, সমস্ত শিকড়। সময় যেন আস্তে আস্তে গলে যাচ্ছিল, আর আমি নতুন করে উপলব্ধি করছিলাম প্রকৃতির সরল সৌন্দর্য কতটা গভীর হতে পারে। যখন ফিরছিলাম, মনটা বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছিল, আসলে আমাদের এই মাঠের সৌন্দর্য ছেড়ে বাসায় আসতে মন চাচ্ছিল না আমার। সেখানে থাকতে বেশ ভালো লাগছিলো আমার কাছে।

ধানক্ষেতের মাঝ দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ ধান ক্ষেতের মধ্যে কিছু ফুল চোখে পড়ল। সেই ফুল আকাশের প্রতিফলন আর শাপলার সাদা ফুলগুলো যেন এক অন্যরকম দৃশ্য তৈরি করছিল। পুকুরের ধারে বসে থাকতেই গ্রামের কয়েকজন শিশুর হাসি খেলা চোখে পড়ল। আসলে মাঠের সৌন্দর্য ছেড়ে বাসায় আসতে মন একদম নারাজ ছিল। বিশেষ করে যখন মন খারাপ থাকে তখন এই সব সুন্দর মাঠের মধ্যে ঘুরতে আসলে মন একদম ফ্রি হয়ে যায়। আপনাদের মন খারাপ হলে এরকম সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

একটু পর আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি সাঁঝের আলো ধীরে ধীরে নেমে আসছে। মাঠের ধানগাছগুলো তখন সোনালি রঙের ছোঁয়ায় ঝলমল করছিল। হাওয়ার ছোঁয়ায় ধানগাছের মাথা দুলছিল আর মনে হচ্ছিল তারা যেন বিদায় জানাচ্ছে দিনের। মনের মধ্যে একধরনের অদ্ভুত শান্তি আর তৃপ্তি নিয়ে ফিরতে শুরু করলাম বাড়ির পথে। এ এক নতুন করে বাঁচার রসদ জোগানোর মুহূর্তশুধু প্রকৃতি, স্মৃতি আর মনের গভীর থেকে আসা কিছু অব্যক্ত অনুভূতি নিয়ে। বেশ দারুন একটি সময় উপভোগ করেছিলাম আমি।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।