ছোটকালের স্মৃতিচারণ।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোটকালের স্মৃতিচারণ পোস্ট শেয়ার করব। ছোটকালে কিছু কিছু স্মৃতি থাকে যেগুলো সহজে ভুলা যায় না। আর এই স্মৃতিগুলো মজার এবং সুন্দর অনুভূতি হলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকে। আবার এসব স্মৃতিগুলো মনে পড়লে নীরবে বসে বসে হাসিও আসে। কারো ছোটকালে সবার কম বেশি মজার স্মৃতি থাকে। আর সেরকম একটি মজার স্মৃতি আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমরা যখন ছোট ছিলাম ওই সময় ঘুম থেকে উঠলে সকালবেলা আমরা আরবি পড়া শিখার জন্য মুক্তব যেতাম। আর যেখানে কোরআন শরীফ পড়ায় এবং আরবি পড়া পড়ায় ওই জায়গাকে আমরা মুক্তব বলি।
আর এলাকার মধ্যে এরকম জায়গা গুলো দুই একটা থাকতো। আর ওই সময় ছোট বাচ্চারা সবাই এসব জায়গাতে গিয়ে ইসলামী শিক্ষা শিখতেন। আর এই ধরনের মক্তব গুলোর মধ্যে আরবি হরফ থেকে শুরু করে সবকিছু পড়ানো হতো কোরআন শরীফে। আর ওই সময় আমরা ছোট অবস্থায় সবাই ঘুম থেকে উঠে সোজা চলে যেতাম পড়ার জন্য মুক্তবে। আর সকালে জলদি ওঠে আমরা মক্তব যেতাম জায়গা ধরার জন্য। কারণ একটু দেরিতে গেলে মুক্তব জায়গা পাওয়া যায় না সামনে। যদিও এখন আরবি শিক্ষা গুলো বাড়িতেই পড়ানো হয় মাদ্রাসায় পড়ানো হয়। আর এই মজার স্মৃতিটি এখনো আমার মনে পড়লে হাঁসি আসে।
কারণ আমি দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমালাম। ওই সময় আমার বয়স ৯ থেকে ১০ বছর হবে। খাওয়া-দাওয়া করে যখন ঘুমালাম সন্ধ্যার আগে আমার বড় বোন আমাকে ঘুম থেকে জাগালো। বলে ঘুম থেকে ওঠার জন্য। তখন আমি ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলাম। এরপরে আমি একটি বাসার বিছানা নিয়ে মক্তবে দিকে চলে যাচ্ছি। তখন আমার বড় বোন আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগল কোথায় যাচ্ছে এই সময়। ওই সময় আমি বললাম মুক্তব যাচ্ছি আরবি পড়ার জন্য। আর ওই সময় পিছন থেকে আমার বড় বোন আওয়াজ দিয়ে বলতে লাগলো এখন সন্ধ্যার সময়। এখন সকালবেলা না। এরপর আমি চারদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলাম সকাল না সন্ধ্যা।
যদিও আমার প্রথম বিশ্বাস হচ্ছে না পরে আমার খেয়াল হলো আমি দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমালাম। এরপর আবার বাড়ির দিকে চলে আসলাম। আসার পর আমার বড় বোন পরিবারের সবাইকে এবং বাড়ির সবাইকে বলতে লাগলো। আমি ঘুম থেকে সন্ধ্যা বেলা উঠে মক্তবে যাচ্ছি আরবি পড়ার জন্য। আসলে সবাই ওই সময় হাসাহাসি করলো আর আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। কারণ ওই লজ্জা বলতে একটা জিনিস আছে সেটি আমার গায়ে লাগতে লাগলো। আর এই কথা বলে আমাকে বাড়িতে অনেক জনে দুষ্টামি করতো ছোটকালে।
আসলে এই স্মৃতি এখনো পর্যন্ত আমার মনে পড়লে আমি নিরবে বসে বসে হাঁসি। কারণ ছোটকালের এই স্মৃতিটি আমার খুব মনে পড়ে। আর আমি বড় হয়েও কয়েকবার এই স্মৃতি কিছু বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করেছি। আসলে এইসব স্মৃতিগুলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলা যায় না। কারণ এইসব স্মৃতিগুলো মানুষকে সব সময় মনের ভিতর একটা আনন্দ দিয়ে থাকে। আর পিছন থেকে আমার বড় বোন আওয়াজ না দিলে আমি সত্যি ঐদিন মক্তবে চলে যেতাম পড়ার জন্য। আর আমার ছোটকালের এই স্মৃতি এখনো পর্যন্ত মনে পড়ে আমার কাছে। আজকের ছোটকালের এই স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1925082404471111792?t=wHuu3DVjzF2R-4L05uHElg&s=19
ভাইয়া, আপনার এই লেখাটা যেন এক মুঠো শৈশবের হাওয়া এনে দিল। মক্তব, আরবি পড়া, সকালে জায়গা দখলের লড়াই।সবই যেন চোখের সামনে ভেসে উঠল। কিন্তু দুপুরের ঘুম থেকে উঠে সন্ধ্যাকে সকাল ভেবে রওনা দেওয়ার ঘটনাটা তো একেবারে সিনেমার মতো। এমন মজার ভুল গুলোই জীবনের সেরা স্মৃতি হয়ে থাকে। লেখার প্রতিটি লাইনে আপনার ভালোবাসা, অনুভব আর নিখাদ শৈশব ছড়িয়ে ছিল। খুব ভালো লাগল পড়তে। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু কিছু কিছু স্মৃতি আছে ভুল এবং সঠিক এইগুলো সারা জীবন মনে থাকে। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
ছোটবেলার অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো মনে পড়লে আপনার মত আমি নিজেও নীরবে হাসি। আর ছোটকালে স্মৃতিগুলো হয় মধুর। যেমনটি আপনি ছোটকালে ঘুম থেকে বিকেল বেলা আরবি পড়ার জন্য মক্তবে যাচ্ছেন। আর এরকম মজার স্মৃতিগুলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকবে। আপনার স্মৃতিচারণ পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।।
ঠিক বলেছেন এরকম মজার স্মৃতিগুলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকবে। ভালো থাকবেন সব সময়।