ছোটকালের স্মৃতিচারণ।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোটকালের একটি স্মৃতিচারণ পোস্ট শেয়ার করব। ছোটকালে অনেক ধরনের স্মৃতি থাকে। সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখনও নিরবে বসে বসে হাঁসি। আবার কিছু স্মৃতি আছে মানুষকে কাঁদায়। আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করতাম। তখন অনেক দুষ্টামি করতাম। অনেকে বলতো আমি অতিরিক্ত দুষ্টামি করি। ওই সময় প্রাইমারি স্কুল আমাদের বাড়ির সামনে একটি ছিল। এই কারণে ছাত্র-ছাত্রী অনেক ছিল স্কুলে। আর বাড়ির সামনে স্কুল বিদায় ছোট বাচ্চাদের সাথে এবং সমবয়সীর সাথে ঝগড়া করতাম।। তবে আমি যখন ক্লাস টু লেখাপড়া করতাম। সকালবেলা গিয়ে স্কুলের সামনে বেঞ্চে বসতাম।

এরপর যখন ছাত্রছাত্রীগুলো আসত আমাদের ক্লাসের। তখন তাদেরকে আমি বসতে দিতাম না। কারণ সামনের বেঞ্চে আমি বসেছি। এই কারণে অল্পতে ছাত্রছাত্রী কিছু বললে ঝগড়া লেগে যেতাম। তবে একবার আমার এক ক্লাসমেট ছাত্রী না বলে সামনে বসে গেল। তখন আমি তার সাথে ঝগড়া লেগে গেলাম। মেয়েটিও একটু বড় ছিল এই কারণে সে ও আমার সাথে ঝগড়া লেগেছে। এক পর্যায়ে আমরা দুজন হাতাহাতি করতে শুরু করে দিলাম। আর ওই সময় ঝগড়া লাগলে ছাত্র-ছাত্রীগুলো দেখতো কে কতটুকু ঝগড়া করতে পারলো। এবং কে কতবার আঘাত করেছে এইগুলো বলতো।

তবে মেয়েটি বড় ছিল বিধায় সে আমাকে শরীরে কয়েকবার আঘাত করেছে। আর সবাই আমাকে বলতে লাগলো আমি মেয়ের হাতে মার খেয়েছি আমার শরম নেই। এবং বাড়ির সামনে স্কুল বিদায় কথাগুলো আমার গায়ে লাগলো। তারপর আমি বাড়িতে গিয়ে একটি বেত নিয়ে আসলাম। ওই বেতের চিকন লাঠি দিয়ে মেয়েটির পিঠে অনেক জোরে একটি আঘাত করলাম। সাথে সাথে মেয়েটি কান্নাকাটি করতে লাগলো। তারপর আমি এক দৌড়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসলাম। এবং মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে নিয়ে আসলো। এবং স্কুলে শিক্ষকদের জানালেন। এবং কে আঘাত করেছে সেটি জিজ্ঞেস করল।

তারপর আমার নাম বলার সাথে সাথে ছাত্র-ছাত্রী পাঠালো আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি তো আগেই বাড়িতে পালিয়ে রইলাম। তারপর ছাত্র-ছাত্রী এসে আমাকে আর খুঁজে পেল না। আর মেয়েটিকে অনেক জোরে আঘাত করলাম বিদায় তার শরীরের উপর দাগ বসে হইল। এরপর মেয়েটির অভিভাবক আমার বাবাকে বলল। আপনার ছেলে স্কুলে এসে ঝগড়া করে এবং মানুষের গায়ে হাত তুলে। আর দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া যখন করতে বসবো এমন সময় আমার মাকে বলল বাবা। আজকে আমাকে সেই মারধোর করবে।

এই কথা শুনে আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম। আর আমি দুপুরে খাওয়া দাওয়া না করে একটু পরে খালাদের বাড়িতে চলে গেলাম। তবে আমার খালাদের বাড়ি নদীর ওপারে। এবং নদী পার হতে হলে টাকা লাগে। ওই সময় আমার হাতে কোন টাকাই ছিল না। এই কারণে নৌকার মাঝি আমাকে নদীর পার করছে না। এই কারণে আমি অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলাম। পরে নৌকার মাঝি আমাকে নদী পার করে দিল। এরপর আমি খালাদের বাড়িতে গিয়ে ঐদিন থেকে গেলাম। আর আমাদের বাড়িতে আমাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করল। ওই সময় হাতে মোবাইলে ছিল না কারো। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত দশটা বাজে খালাদের বাড়িতে আমাকে ফেলো। এই হচ্ছে ছোটকালের একটি স্মৃতিচারণ।