ছোটকালের স্মৃতিচারণ।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ছোটকালে ঈদ নিয়ে স্মৃতিচারণ। ছোটকালের ঈদগুলো এতই মজা যা বলে বোঝানো যাবে না। আপনারা সবাই ছোটকালে ঈদ করে আসলেন। আর ঈদের সময় অনুভূতি থাকা অন্যরকম। বিশেষ করে ছোটকালে ঈদের সালামি নিয়ে সবার মাথাব্যথা থাকে। আমি কিন্তু আমাদের পরিবারের ছোট মেয়ে। আমার ভাই শুধু একজন। আর আমরা তিন বোনের মধ্যে আমি ছোট। তাই পরিবারে আমার আবদার থাকে বেশি। এবং কি অল্প কিছুতে আমার মাথা গরম হয়ে যায়। তাই ঈদের সময় আমি আমার মেজো আপু সাথে যে কোন কিছু ভাগ করতাম। কারণ তাকে ঈদের সময় সালামী দিলে আমাকেও সমান দিতে হবে।
আর বেশি দিলে তো আরো খুশি হয়ে যায়। একবার আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা আমার মেজো আপুকে টাকা বেশি দিয়েছে। তখন আমি অনেক গরম হয়ে গেলাম আমার বাবার উপর। এবং আমাকে যে টাকা দিয়েছে আমি সাথে সাথে টাকাগুলো ফেলে দিলাম। কারণ আমার মেজো আপুকে আমার বাবা ৫০ টাকা দিয়েছেন। আর ওই সময় ৫০ টাকার অনেক দাম ছিল। আর আমি ছোট বিদায় আমাকে ২০ টাকা দিয়েছে। এই কারণ আমি অনেক গরম হয়ে গেলাম। কারণ মেজো আপু তাদের মেয়ে আর আমি বাইরের মেয়ে নাকি। তাকে ৫০ টাকা দেওয়া হল কেন আমাকে ২০ টাকা দিল। এই নিয়ে আমি যখন গরম হয়ে গেলাম।
তখন আমার বাবা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করল। এরপর আমার মা আরো ৩০ টাকা দিল আমাকে। ৫০ টাকা হওয়ার পরও আমি মাথা ঠান্ডা করতে পারি নাই। এরপর অনেক চেষ্টা করার পরও আমি আর টাকাগুলো নিই নাই। এবং অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলাম। কারণ আমার বাবা আমাদের দুইজনকে একসাথে ঈদের নামাজে নিয়ে যায়। এবং অনেক কিছু কিনে দেই পছন্দ মত। আর ওই সময় আমার মাথায় এতই গরম হলো অনেক বুঝানোর পরও আমি ঈদে যাচ্ছিলাম না। আমার বাবা অনেক করে বলল ঈদে গেলে আরও টাকা দেবে এবং অনেক কিছু কিনে দেবে। তারপরও আমি ঈদগায়ে যেতে রাজি হলাম না।
এরপর আমি রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে কান্নাকাটি করতে লাগলাম। আমার বাবা অনেকক্ষণ দাঁড়ানোর পর দেখতে লাগলো নামাজের টাইম হয়ে যাচ্ছে ঈদের। এরপর আমার বাবা অনেক গরম হয়ে গেল আমার উপর এবং মায়ের উপর। তখন আমার মা বলতে লাগলো তুমি মেজো মেয়েকে যখন ৫০ টাকা দিয়েছো। তাহলে ছোট মেয়েকেও ৫০ টাকা দিতে। তাহলে তো আর কোন সমস্যাই হতো না। তুমি প্রথমে ভুল করেছো আর এখন গরম হচ্ছ। তখন আমার বাবা বলতে লাগলো ও ছোট এই কারণ আমি তাকে ২০ টাকা দিয়েছি। আমি কি জানতাম সে বিশ টাকা এবং ৫০ টাকার মধ্যে ব্যবধান দরে কান্নাকাটি করবে।
তারপরও অনেক চেষ্টা করল আমাকেই ঈদের নামাজে নিয়ে যেতে এবং অনেক কিছু কিনে দিবো বলে। আমি কিন্তু ওই বছর ঈদ গায়ে গেলাম না এবং কিছু কিনা কাটাও পারলাম না। এবং ঈদের কাপড় ও ওই বছর আমি ঈদের দিন পড়ে নিই। আর ওই বছর আমার কারণে আমাদের পরিবারের সবার ঈদ মন্দা গেল। ঈদের নামাজ শেষ করার পর আমার বাবা এসে আবারো বুঝালো। আমি কোনমতে বুঝতে রাজি না। এরপর আমার বাবা আমাকে ১০০ টাকা দিল আরো। তখন আমার মাথা ঠান্ডা হয়েছে। কিন্তু সকালবেলা ঈদ তো চলেই গেল। টাকাগুলো দিল ঈদের নামাজের পর। আর ওই ঈদ ছিল রমজান মাসের। সত্যি বলতে এই কথাগুলো এখনো মনে পড়লে নিজের কাছে খারাপ লাগে। কারণ নিজে মাথা গরম করে বাবাকেও কষ্ট দিলাম। এই হচ্ছে ঈদের সময় আমার ছোটবেলার ছোট্ট একটা স্মৃতিচারণ। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/bdwomen2/status/1932059951595405413?t=7vOVIZ_8IGbIJgqsw4E5wg&s=19
ছোটকালের অনেকের স্মৃতি থাকে যেগুলো সারা জীবন মনে থাকে। যেমনটি আপনি ঈদের সময় মেজো বোনকে ৫০ টাকা দিয়েছেন এবং আপনাকে ২০ টাকা দিল এই নিয়ে ঝগড়া লেগে গেলেন। আর পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েরা একটু এমনিতে রাগ বেশি করে। তবে আপনার রাগের কারণে ওই সময় আপনাদের পরিবারের সবাই ঈদ মন্দা গেল। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
https://x.com/bdwomen2/status/1932265139769901222?t=r0SReBaP6e8bE4dmsPYIfA&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1932266657902379075?t=_jnx-9bcMTMEz559Xk7COw&s=19