ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।🙏❤️
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
মানুষের কয়েকটি বিশেষ গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম হলো একটি কৃতজ্ঞতা।কৃতজ্ঞতা গুণটি সকলের মাঝে থাকা খুবই জরুরী। সবার মাঝে যদি এই কৃতজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে কিন্তু সমাজে মানুষের ভেদাভেদ থাকবে না।কেউ যদি আমাদের উপকার করে তাহলে আমরা সেটা যদি ভুলে যাই তাহলে কিন্তু কেউ কারো উপকার করতে উৎসাহী হবে না। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যে মানুষের কাছ থেকে উপকার পেয়েও উপকারীকে ধন্যবাদ জানানোর মতো প্রয়োজন বোধটুকু মনে করে না,আমি মনে করি তারা কোনোভাবেই মানুষের পর্যায়ে পড়ে না।আমি ছোটবেলা থেকে এতটুকু শিখে এসেছি যে কেউ যদি আমার একটা উপকার করে আমি তার দশটা উপকার করার মতো মনোভাব আমাকে রাখতে হবে এবং সেটা করারও চেষ্টা করি সবসময়।আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে @shapladatta কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
আমি বেশিরভাগ সময় অসুস্থতার মধ্য দিয়ে দিন পার করি তা হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা আছে। তার কারন আমি বেশিরভাগ সময় অসুস্থতার কারনে কাজ থেকে বিরতি নিয়ে থাকি এবং পরবর্তী সময়ে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার করি।আমার এমন এটা রোগ যে চোখে দেখলে মানুষ বিশ্বাস করে না আমি অসুস্থ কিন্তু এই রোগ কতটা যন্ত্রণাদায়ক তা শুধুই আমি জানি এবং যারা এই রোগে আক্রান্ত শুধু তারা আমার কষ্ট টা উপলব্ধি করতে পারে।যাইহোক,, আমি প্রতি মাসে একবার করে চেক-আপ করার জন্য বগুড়ায় ডাক্তার দেখাই এবং সেই অনুযায়ী ওষুধপত্র খেয়ে থাকি আর মাঝে মাঝে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে হয়।
শীত শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভাবছিলাম ঢাকায় যাবো কিন্তু মেয়ের পরীক্ষা পড়াশোনা এগুলোর কথা চিন্তা করে ঢাকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই পারছিলাম না।তারপর একদিন হঠাৎ মনে হলো যদি আমার মেয়েদের কে কেউ একজন দেখাশোনা করে তাহলে তো আমি একাই যেতে পারি!সেই চিন্তা থেকেই শাপলা বৌদিকে ফোন দিলাম এবং তাকে আমার বাসায় কয়দিন থেকে মেয়েদের দেখাশোনা করার কথা বললাম।এই কথা শোনার সাথে সাথেই ও রাজী হয়ে গেলো এবং আমাকে আশ্বস্ত করলো।আমি অনেকটাই নিশ্চিত হলাম এবং ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।আমরা দুজনেই রেডি এর মধ্যে শুরু হয়ে গেলো হরতাল অবরোধ তাই দুজনের যাওয়া আসা কোনোটাই সম্ভব না।মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো।
মাঝে পরিস্থিতি একটু শিথিল হলো তখন শাপলা বৌদি আমাকে ফোন করে বললো যে আমি যদি ঢাকা যাই তাহলে সে আসবে!কথাটা শুনে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।তারপর ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।মেয়েরা জানে মা অসুস্থ মাকে ডাক্তার দেখাতেই হবে তাই ওদের রেখে যাচ্ছি জন্য একটুও মন খারাপ করছে না।আমিও ওদের বলেছি তোমরা মন খারাপ করবা না তাহলে আমি তোমাদের রেখে যেতে পারবো না।২৫ তারিখ সকাল ১০ টায় আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যাই আর শাপলা বৌদি আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।আমি যাওয়ার সময় মেয়েদের বাসায় একা রেখে গেছি তার জন্য একটু চিন্তা হচ্ছিলো।কিছুদূর যেতেই দেখি শাপলা বৌদির ফোন থেকে কল আসলো এবং আমাকে জানালো সে আমার বাসায় পৌঁছাতে পেরেছে কথাটা শোনার সাথে সাথে আমিও খুবই চিন্তামুক্ত হলাম।
আমি ভালোভাবে ঢাকায় পৌঁছে গেলাম চারদিন খুব নিশ্চিতেই সময় কাটালাম।মেয়েরা তার মামির সাথে বেশ ভালোই ছিলো।শাপলা বৌদি ওদের সময়মতো খাওয়াদাওয়া করানো এবং ছোট মেয়েকে প্রতিদিন কোচিং এ নিয়ে গিয়ে বসে থেকে আবার বাসায় আনা সবকিছুই খুবই দায়িত্বের সাথে পালন করেছে। যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে একজন মা সবসময়ই চায় তার সন্তানরা যেনো নিরাপদে থাকে। শাপলা বৌদির কাছে আমার মেয়েরা খুবই ভালো এবং নিরাপদে ছিলো যা আমার কাছে খুবই স্বস্তির একটা বিষয়।
শাপলা বৌদি না আসলে হয়তো আমার এখন ঢাকা যাওয়া হতো না মেয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।তার কারনে আমি আমার কাজ সুন্দরভাবে করে বাসায় ফিরে আসতে পেরেছি।আমার ঢাকা যাওয়া,মেয়েদের কে দেখে রাখা,তাদের পড়াশোনা ঠিক রাখা এবং ভালো সময় উপহার দেওয়ার জন্য @shapladatta কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও মন থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।🙏❤️
পৃথিবীর সকল সম্পর্ক গুলো নির্ভরযোগ্য ও আন্তরিক হোক এই প্রত্যাশা রেখে আজ আমি এখানেই শেষ করছি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
OR
আসলে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে আর সেই দায়িত্ববোধ থেকেই গোবিন্দগঞ্জ যাওয়া।সত্যি হরতাল, অবোরেধের জন্য অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যাওয়া। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাবো না আর কিন্তুু যখন গভীর ভাবে চিন্তা করলাম যে আপনার এখন ঢাকায় যাওয়াটা আসলেই খুব দরকারি তাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।বাচ্চারা খুব ভালো সময় পার করেছে আনন্দেই ছিলো।আসলে সময় তার গতিতে চলে কিন্তুু কথাগুলো বেঁচে থাকে সারাজিবন। ধন্যবাদ এত্তো সুন্দর একটা পোস্ট তাও আবার আমাকে নিয়ে 😊😊।
তুমি ছিলে বলেই সবকিছু সুন্দর মতো হয়েছে।এখন থেকে তোমাকে রেখেই সবখানে একা একা ঘুরতে হবে 😁😁আবারও তোমাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।❤️
আসলেই আপু কৃতজ্ঞতা বোধ না থাকলে সে প্রকৃতপক্ষে মানুষই না। কারণ মানুষের উপকারে মানুষ, আর সে উপকার পাওয়ার পরে যদি সে অকৃতজ্ঞতার মত থাকে তাহলে তাকে মানুষ বলতেও লজ্জা লাগবে। যাই হোক শাপলা দত্ত আপুর মানবিক এই গুণের কথা জেনে খুব ভালো লাগলো। আর উনি আপনার বাসাতে আসার কারণে এবং আপনার মেয়েদের দেখাশোনার কারণে আপনার চিন্তাটা অনেকটা কমে গেল। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারে না সে মানুষ হতে পারে না।শাপলা বৌদি আসাতে আমি অনেক টাই নিশ্চিত ছিলাম।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জি আপু আমিও তা মনে করি যে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারে না সে মানুষ হতে পারে না।
আসলে একটা মানুষ আমাদেরকে যে কোন রকম ভাবে সাহায্য করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো অনেক বেশি প্রয়োজন। অসুস্থতার কারণে আপনাকে সব সময় ডাক্তার দেখানো লাগে এটা আগে থেকেই জানা রয়েছে দিদি। মেয়েদের জন্য আপনি ঢাকায় যেতে পারছিলেন না বলে অনেক চিন্তা করছিলেন। আর আপনার বৌদিকে ডেকে নিয়ে ভালোই করেছিলেন। তিনি খেয়াল রেখেছিলেন আপনার মেয়েদের প্রতি। এভাবে যেন আপনাদের সবার সম্পর্ক ভালো থাকে এরকমটাই কামনা করি।
হ্যাঁ আমাদের কে যে সাহায্য করবে তাকে অবশ্যই আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানো দরকার।আমার মেয়েরা খুব যত্নে ছিলো বলেই আমি নিশ্চিত মনে ঢাকা ঘুরে আসতে পেরেছি।দোয়া করবেন আপু সবসময়ই যেনো আমরা এরকম থাকতে পারি।ধন্যবাদ আপু।
শাপলা বৌদি যা করেছে, তা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য 😍 😍 😍 😍 😍 😍
শাপলা বৌদি বেশ ভালো ভাবেই এবং আন্তরিকতার সাথে তোমার অনুপস্থিতিতে তোমার মেয়েদের সামলিয়েছে। সেকারণেই তুমিও এবারে একটু কম চিন্তায় ছিলে মেয়েদের নিয়ে। আসলে শেষের কথাটা খুবই ভালো লেগেছে, পৃথিবীর সকল সম্পর্ক গুলো যদি এমন নির্ভরযোগ্য ও আন্তরিক হতো, তবে তো পৃথিবীর চেহারাই বদলে যেতো দিদিভাই!
আমাদের সবার সম্পর্কে গুলো যেনো চিরদিন একইরকম থাকে এটাই সবসময়ই প্রত্যাশা করি মনা।পরিবার ছাড়া কখনোই ভালো থাকা সম্ভব নয়।❤️❤️
ভীষণ দামী একটা পোস্ট করেছেন আপু। অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কৃপনতা প্রকাশ করে, যা শুধু ভুল নয় এটা অন্যায়। তাই উপকার করেছেন যিনি সবসময়ই তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আপনি শাপলা বৌদির কাছে চমৎকার একটি পোস্টের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তিনি যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তা এখনকার সময়ে নজিরবিহীন ঘটনা। দুজনকে সাধুবাদ জানাই। ❤️
বর্তমান সময়ে মানুষ কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করে এরকম মনে হয়।কিন্তু একজন মানুষ সহযোগিতা করলে তাকে কিছু না হোক অন্তত একটা ধন্যবাদ জানানো উচিত বলে আমি মনে করি।শাপলা বৌদি ছিলো বলেই আমি আমার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি খুবই সুন্দরভাবে করতে পেরেছিলাম তাই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করাটা অকৃতজ্ঞের মতো হয়ে যায়।দোয়া করবেন ভাইয়া সারাজীবন যেনো মানুষ কে তার যোগ্য সন্মান টুকু দিতে পারি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কেউ আমাদেরকে যদি এরকম কাজ করাতে সাহায্য করে, তাহলে তাকে কৃতজ্ঞতা বেশি করে জানানো উচিত। আর এটা আমাদের মনের ভেতর রাখতে হবে যে, সে আমাদের একটা উপকার করেছে। আমরা যদি পারি তাহলে তার দশটা উপকার করবো। এরকম কাজগুলো করলে কিন্তু সব মানুষের প্রতি একটা বিশ্বাস থাকে। আর সবাই এরকম হলে কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ সবকিছু নিশ্চিন্তে করতে পারবে। আর সবার সম্পর্ক ও অনেক বেশি গভীর হবে। শাপলা বৌদির এরকম কাজে আপনি তাকে এরকম ভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
জ্বি ভাইয়া একজন যদি উপকার করে তাহলে তাকেও বিপদের সময় সহযোগিতা করা এবং তার প্রতি সবসময়ই কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত বলে মনে করি।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।