লাল শাড়ি 🥻🥻🥰❤️
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশাকরি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে!
প্রতিটি নারীর জীবনে লাল শাড়ি এক অপরিহার্য অংশ!যা বিশেষ দিনকে আরও বিশেষ করে তোলে।
আমার বিয়ের যাকিছু হয়েছে সব আমার পরিবারের মতো করেই হয়েছে।বিয়ে নিয়ে আমার কোনো আলাদা কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা কিছুই ছিলো না।তবে আমার বিয়ের গহনা ও শাড়ি এগুলো আমার ছোট পিসি আমাকে সাথে নিয়ে আমার পছন্দসই কেনাকাটা করেছে নাটোর থেকে।আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে লাল শাড়ি কেনা হয়েছিলো!তাই আমরা গোল্ডেন ও মেরুন কম্বিনেশন এর একটা সুন্দর শাড়ি কিনেছিলাম।যাতে সবসময় সব পরিবেশের অনুষ্ঠানে পড়া যায়।২০০৫ সালে কেনা শাড়ি এখনো যেকোনো অনুষ্ঠানে পড়া যাবে এবং এখনকার বেনারসি শাড়ির চেয়ে আমার সেই বেনারসি শাড়িটা এখনো যথেষ্ট মানসম্মত।আমার ছোট পিসির রুচিবোধ সবসময়ই অনেক ভালো এবং এখনো তাই আছে।
বিয়ের দিন আমাদের কেনা শাড়ি পড়ে বিয়ে হলো।পরের দিন যখন বাসিবিয়ে তখন বরের বাড়ির কেনা শাড়ি পড়েই বাসিবিয়ে হয়,এটাই প্রচলিত নিয়ম!বিয়েতে বসার আগে যখন আমাকে শাড়ি পড়ানো হচ্ছিলো তখন কোনোভাবেই শাড়িটা আমাকে পড়ানো যাচ্ছিলো না!তার কারণ হলো শাড়ির চেয়ে আমি লম্বা বেশি।😁 খুব কষ্ট করে আমাকে শাড়ি পড়ানো হয়েছিলো,শাড়ি পা থেকে বেশ খানিকটা উপরে উঠে ছিলো যা দেখতে খুবই খারাপ লাগছিলো।কিন্তু কিছু করার নেই!কোনো রকমে শাড়ি পড়ে বিয়েতে বসলাম।ওই সময় আসলে ভালো-মন্দ এগুলো নিয়ে ভাবার মতো আমার বোধবুদ্ধি ছিলো না তাই কিছু মনে হয়নি।
অনেক বছর পর একদিন হাসতে হাসতে আমার বরকে বলেছিলাম বিয়ের সময় এমন একটা শাড়ি দিয়েছিলে,যা পড়ে মানুষের সামনে বেরই হতে পারছিলাম না!তখন আমার বর বলেছিলো যাও সময় সুযোগ মতো তোমাকে বিয়ের শাড়ি কিনে দেবো তাও মন খারাপ করিও না।যদিওবা আমি মন খারাপ করে কিছু বলিনি এমনি হাসতে হাসতে বলেছিলাম।২০২১ সালে সে ঢাকা থেকে ছুটিতে আসার সময় আমাকে না জানিয়ে আমার জন্য দুইটা শাড়ি কিনে এনেছিলো।শাড়ি দুইটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো এই নাও তোমার বিয়ের শাড়ির ঋণ শোধ করলাম!একটা নয় দুই দুইটা দিলাম যাতে করে তোমার মনে আর কোনো আক্ষেপ না থাকে।
এসব বিষয় নিয়ে যদিও আমার কখনো মনে কোনো আক্ষেপ হয় না আমার যা কিছু আছে তাই নিয়ে আমি অনেক খুশি থাকার চেষ্টা করি।তবুও কেনো জানি সেদিন শাড়ি দুইটা হাতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছিলো শাড়ি দুইটার রং খুবই চমৎকার ছিলো!একটা গাঢ় রানী গোলাপী আর একটা গোল্ডেন দুইটাই খুব পছন্দ হয়েছিলো।আমার বেশিরভাগ শাড়ি তার পছন্দসই এবং ঢাকা থেকে কেনা তাই অপছন্দ হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
শাপলা দত্ত আর আমি জীবনের প্রথম পার্লার থেকে সেজেছিলাম দেখতে খুবই ভয়ংকর লাগছিলো 🤣তাই মুখ দেখানো সম্ভব নয়।😅
তারপরও কোথাও যেনো একটা খামতি থেকেই গেলো ওই যে সেই লাল শাড়ি।😅 মনে আক্ষেপ নেই কিন্তু মুখে আরেকদিন বলেছিলাম শাড়ি তো দিলা কিন্তু লাল শাড়ি তো পেলাম না!!তারপর সে আবার একটা লাল শাড়ি কিনে দিলো।লাল শাড়ি পাওয়ার পর তো আর কোনো অভিযোগ করার সুযোগ থাকলো না।😅মাত্র একদিন পড়েছিলাম লাল শাড়ি টা।জমকালো অতি রঙিন জামাকাপড় পড়ে আমি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না।সব সময় হালকা রঙের ও আরামদায়ক জামাকাপড় পড়তেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।আমার কাছে মনে হয় অতি চাকচিক্যময় পোশাকের চেয়ে আরামদায়ক হওয়াটা বেশি জরুরি।আরাম পাই বা না পাই মনের সেই অপূর্ণতা ঘুছিয়ে দিয়েছে আমার বর।😁
ধন্যবাদ।
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.