রেসিপিঃমসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,১৪ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ, ২২ রমজান, ১৪৪৪ হিজরি। নতুন বছর সবার জন্য বয়ে আনুক সুখ,,শান্তি,সমৃদ্ধি ও আনন্দ এই কামনা করি। এই রোজায় প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক। পাট শাকে রয়েছে ভিটামিন এ,ই ও সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর মসুরের ডালে রয়েছে প্রোটিন ও খনিজ পাদার্থ যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। শাক আমরা সাধারনত ভাজি করে খেতে বেশি পছন্দ করি। তবে মাঝে মাঝে অন্যভাবে রান্না করে খেলে বেশ ভাল লাগে। তাই আমি আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক রেসিপি। আশাকরি আজকের উপস্থাপিত রেসিপিটি আপনাদের ভাল লাগবে। অনেক কথা হলো, আর কথা নয় , চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের রেসিপি মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক ,তা ধাপে ধাপে দেখে নেই।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মসুরের ডাল | ৫০ গ্রাম |
পাট শাক | দু আটি |
পিয়াজ কুচি | ২ টেঃ চামচ |
রসুন কুচি | ১ টেঃ চামচ |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
কাচা মরিচ | ৫-৬ট |
লবন | স্বাদ মতো |
তেল | ৩ টেঃ চামচ |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে মসুরের ডাল আধা ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ধাপ-২
এবং পাট শাক গুলো বেছে ধুয়ে নিতে হবে
ধাপ-৩
চুলায় আর একটি হাড়ি বসিয়ে দিতে হবে। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে রসুন ও পিয়াজকুচি দিতে হবে। এবং ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। এবং কাচা মরিচ দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৪
পিয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে একে একে সকল মশলা দিয়ে দিতে হবে । মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
মশলা যখন তেল থেকে ছেড়ে আসবে,তখন ধুয়ে রাখা মসুরের ডাল দিয়ে দিতে হবে এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে সামান্য পানি দিতে হবে ডাল সিদ্ধ হওইয়ার জন্য।
ধাপ-৬
ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে ধুয়ে রাখা পাট শাক দিয়ে দিতে হবে। এবং ডালের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবং ঢাকনা দিয়ে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। শাক ও ডাল মাখামাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিলেই হয়ে যাবে মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করতে হবে।
আশাকরি আজকের মজাদার মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি। শুভ নববর্ষ ১৪৩০।
মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক রেসিপিটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। পাট শাক আমার খুব পছন্দ। মসুরের ডাল টক আম দিয়ে রান্না করে সাথে পাট শাক ভাজি দিয়ে খেতে আমার দারুণ লাগে। তবে মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক রান্না করে কখনও খাওয়া হয়নি। রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধাপে ধাপে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বেশ পছন্দের রেসিপি এটা । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনারা পাট শাক খান। কিন্তু আমরা তো পার্টের শাক খাই না। আমি জানি অনেক এলাকার লোক এই পাটের শাক খেয়ে থাকে। তবে আমাদের এলাকার কোন মানুষের এই পাট শাক খায় না। তবে আপনি যে সুন্দর করে রান্না করেছেন রান্না দেখেই কিন্তু মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কেন ভাইয়া? আপনারা এলাকায় কেবল পাটের জনই কি পাট চাষ করে। খেয়ে দেখবেন বেশ ভাল খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মসুর ডাল দিয়ে পুঁইশাক খেয়েছিলাম তবে পাট শাক যেভাবে রান্না করা যায় তা জানা ছিল না আপু। সত্যি কথা বলতে এই রোজায় শাক ছাড়া একদমই চলে না। আর যদি হয় সাথে এরকম ডাল তাহলে তো আরো বেশি ভালো হয় খেতে। আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি সত্যিই দারুণ হয়েছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
একদিন করে খাবেন । আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
মসুরের ডাল দিয়ে কখনো পাট শাকের রেসিপি করে খাওয়া হয়নি। কেমন খেতে লাগে সেটাও জানা নেই আপনার রেসিপিটি দেখে খাওয়ার ইচ্ছেটা পোষণ হলো। এক সময় এভাবে রেসিপি করবো ভাবছি। অনেক ভালো লেগেছে আপনার রেসিপি তৈরি।
জি ভাইয়া করে খাবেন আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাট শাক ভাজি করে খেয়েছি। মুসুরের ডাল দিয়ে এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার খুব পছন্দ । তাই এ গরমে প্রায়ই খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপু।
পাট শাক ফরিদপুরের মানুষের খুবই পছন্দের এবং জনপ্রিয় একটি শাক।আমিও ফরিদপুর থাকি কিন্তু কখনও খাওয়া হয়নি আমার এই শাক।আপনার ডাল দিয়ে পাটশাক এর রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপা এ শাক খেতে বেশ মজা এবং শরীরের জন্য ও বেশ ভাল। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে মসুরের ডাল দিয়ে পাট রেসিপি করেছেন। তবে আমাদের এদিকে পাট শাককে নাচ্চার শাক বলে থাকে। এবং পাট শাক আমাদের এদিকে খাওয়ার জন্য অনেক বিখ্যাত। পাট শাক অনেক রকমের রান্না করা যায়। সত্যি আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। এবং অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জি আপু যারা শাক খেতে পছন্দ করে তাদের এ রেসিপি বেশ পছন্দ হবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
পাট শাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে তাও আপনি মসুর ডাল দিয়ে রান্না করেছেন মসুর ডালে তো আরো আমিষ বেশি। বেশ ভালোই হয়েছে দুইটা মিলে দারুণ একটি রেসিপি করেছেন। আমার কাছে পাট শাক খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এই বছরে এখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার শাক রান্না দেখে তো খেতে ইচ্ছে করতেছে।
জি আপু বেশ পুস্টিকর খাবার। ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও আপু আপনি আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মসুরের ডাল দিয়ে পাট শাক রেসিপি করেছেন। তবে আমাদের এদিকে পাট শাককে আমরা নাচ্ছার শাক বলে থাকি। এই শাকগুলো আমাদের এদিকে অনেক বিখ্যাত। পাট শাকগুলোকে বিভিন্নভাবে রান্না করা হয় আমাদের এদিকে। বিশেষ করে যে কোন ডাল দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক মজাই হয়। এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপিটি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া আমারও বেশ পছন্দ। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।