রেসিপিঃপুর ভরা ম্যারা পিঠা।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সব সময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২৮শে ফাল্গুন,বসন্তকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৩ই মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ । আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

r1.jpg

বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে রেসিপি ব্লগ।আজ একটি পিঠার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই পিঠা কুমিল্লা অঞ্চলের পিঠা। পিঠাটি মিষ্টি ও নোনতা দু'ভাবেই বানানো হয়।খেতে বেশ মজা লাগে। অনেকেই এই পিঠা পরের দিন তাওয়ায় ভেজে খায়। সেটায় বেশ লাগে। আর নোনতা পিঠাটি মাংসের সাথে খায়। তবে এই পিঠার মধ্যে একটু নতুনত্ব আনার জন্য আমি এই পিঠাটি পুর দিয়ে বানিয়েছি । খেতে বেশ লেগেছে।যেহেতু আমি বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে পছন্দ করি। তাই আমি চেস্টা করি সব ধরনের পিঠা তৈরি করতে।বেশ কম উপকণ ব্যবহার করেই এই পিঠাটি বানানো যায়। আর বেশি সময়ও লাগে না। যে কেউ সহজেই বানিয়ে নিতে পারবেন আমার ব্লগটি দেখে। এই পিঠা বানাতে আমি উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি চালের গুড়া সহ আরও কিছু উপকরণ। বন্ধুরা তাহলে আর দেরী না করে চলুন দেখে নেয়া যাক,রেসিপি বানানোর ধাপ সমূহ। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

r14.jpg

r20.jpg

r19.jpg

চালের গুড়া২কাপ
গুড়প্রয়োজন অনুসারে
কুড়ানো নারিকেলপ্রয়োজন মতো
লবনস্বাদ মতো
নলেন গুড়প্রয়োজন মতো

পুর ভরা ম্যারা পিঠা তৈরির ধাপ সমূহ

ধাপ - ১

r18.jpg

প্রথমে গুড় ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।

ধাপ - ২

r17.jpg

r16.jpg

r15.jpg

কাটা গুড় ও কুড়ানো নারিকেল একটি পাতিলে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। এবং জ্বাল দিয়ে পুর বানিয়ে নিয়েছি। এবং একটি প্লেটে ঢেলে নিয়েছি।

ধাপ - ৩

r13.jpg

এবার পিঠার কাই বানানোর জন্য একটি পাতিলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। এবং তাতে স্বাদ মতো লবন দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ - ৪

r12.jpg

r11.jpg

এবার সেই লবন পানিতে চালের গুড়া দিয়ে পিঠার কাই বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ - ৫

r10.jpg

এবার কাইগুলো হাতের সাহায্যে মথে একটি মসৃন ডো বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৬

r9.jpg

r8.jpg

r7.jpg

r6.jpg

এবার চালের ডো থেকে সামান্য কিছুটা ডো নিয়ে বাটির মতো বানিয়ে নিয়েছি। তাতে পরিমাণ মতো পুর দিয়ে হাতের সাহায্যে ঘুরিতে ঘুরিয়ে গোল করে পিঠাগুলো বানিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৭

r5.jpg

r4.jpg

r3.jpg

r2.jpg

পিঠাগুলো যেহেতু ভাপে সিদ্ধ করে নিবো সেজন্য চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে। পাতিলের মুখে একটি কাপড় বেঁধে দিয়েছি। যখন পানি ফুটে উঠবে তখন পিঠাগুলো দিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে ঢাকনা দিয়ে দিয়েছি। পিঠাগুলো সিদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নিয়েছি।

পরিবেশন

r21.jpg

r22.jpg

r23.jpg

r24.jpg

এবার একটি প্লেটে তুলে নিয়ে নলেন গুড়ের সাথে পরিবেশনের করেছি। সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আশাকরি, আজকের পুর ভরা ম্যারা পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টা করি সব সময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে। এবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।শুভ রাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণিরেসিপি
ক্যামেরাSamsung A-10
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ১৩ই মার্চ, ২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

image.png

Sort:  
 last month 

এই পিঠাটির সাথে আজকেই প্রথম পরিচিত হলাম অর্থাৎ এটা আমার কাছে একদম ইউনিক একটা রেসিপি যদিও কুমিল্লা অঞ্চলে এই রেসিপিটা চলমান আছে তবে আগে কখনো দেখা হয়নি। রেসিপিটা কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last month 

খেতে বেশ লাগে পিঠাটি।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

Daily task

dt1.png

dt2.png

 last month 

আপনার এই রেসিপি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে আপু। এর আগে কোনদিন এভাবে এমন রেসিপি তৈরি করা হয়নি। ভিন্ন স্বাদের এক ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করা আপনার রেসিপি দেখে মুগ্ধ হলাম।

 last month 

ধন্যবাদ আপু।

 last month 

পুরভরা ম্যারা পিঠার রেসিপিটি দারুণ লাগলো! বিশেষ করে মিষ্টি ও নোনতা দুইভাবেই বানানো যায়, এটা বেশ মজার ব্যাপার। নলেন গুড় আর নারিকেলের পুর দেওয়ায় পিঠার স্বাদ নিশ্চয়ই অসাধারণ হয়েছে। ভাপে রান্না করার কারণে এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। সহজ উপকরণ আর পরিষ্কার ধাপে ধাপে বর্ণনা দেখে যে কেউ চটজলদি বানিয়ে নিতে পারবে। এমন নতুনত্ব এনে ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ! নিশ্চয়ই একদিন এই রেসিপিটি ট্রাই করবো।

 last month 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last month 

পুরে ভরা ম্যারা পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। পিঠাগুলো আমার খুব একটা ভালো লাগে না খেতে তবে এভাবে পুর দিয়ে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। এভাবে খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু লাগবে। সম্ভব হলে একদিন রেসিপিটা ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আমি একটু অন্য রকমভাবে বানালাম। যাতে খেতে ভালো লাগে।

 last month 

পুর ভরা ম্যারা পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন।পুর ভরা ম্যারা পিঠার রেসিপিটি খুবই সুন্দর এবং সহজভাবে বর্ণনা করেছেন। এটি দেখেই বানানোর ইচ্ছা হচ্ছে।আপনি যদি পুরের মধ্যে খেজুরের গুড় ব্যবহার করেন, তাহলে স্বাদ আরও ঐতিহ্যবাহী হতে পারে। এটা একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি আগামী ঈদে এই পিঠা বানানোর পরিকল্পনা করছি।

 last month 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last month 

পুলি পিঠের মতোই শুধু গোল শেপে। এতে মনে হয় চালের খোলাটা বেশ মোটা আর ভেতরে পুরও কম। পুরপিঠার খোল পাতলা হয়৷ দক্ষিণে এই নারকেলের পুরের জায়গায় আলুর তরকারি দেয়। তাকে বলে আলু বুন্ডা।

 last month 

অনেকটা পুলি পিঠার মতো। ধন্যবাদ আপু।

 last month 

ম্যারা পিঠা আমার খুবই প্রিয়। শীতের সকালে এই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন ভাবে ম্যারা পিঠা তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last month 

এই পিঠা বাসি খেতেও বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু।