||রেসিপি : টক দই এর আইসক্রিম ||

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি একটি রেসিপি পোস্ট করব। প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেইমতো আজকেও একটি সহজ রেসিপি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এর আগে আমি আপনাদের মাঝে দুই ধরনের আইসক্রিমের রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আর আজ আরও একটা আইসক্রিম এর রেসিপি শেয়ার করবো। আজকে আমি টক দই দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করে দেখাবো। প্রথমে ভাবলাম টক দই আইসক্রিম হয়তো খুব একটা ভালো লাগবে না। তারপর ভাবলাম টক দই দিয়ে লস্যি তৈরি করলে যেহেতু ভালো লাগে খেতে এটাও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। এর ফলে দই ও খাওয়া হবে আর আইসক্রিমও। টক দই আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই বাড়িতে সবসময়ই টক দই থাকে। তাই ভাবলাম আইসক্রিম তৈরি করে দেখি কেমন লাগে খেতে। ভালোই লাগছিল আইসক্রিম গুলো খেতে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।


1000067989.jpg

1000067990.jpg


প্রয়োজনীয় উপকরণ :


উপকরণপরিমাণ
টক দই১ কেজি
চিনি১০ চামচ
আমুল দুধ২৫ গ্রাম
এলাচ গুঁড়ো১ চামচ
কাজু বাদাম১০ থেকে ১৫ টি
কিসমিস১০ থেকে ১৫ টি

প্রস্তুত প্রণালী :


1000067983.jpg

প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - টক দই, এলাচ গুঁড়ো, চিনি, কাজুবাদাম, কিসমিস, আমুল দুধ।

1000067982.jpg

কিসমিস আর কাজুবাদাম গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিলাম।

1000067984.jpg

একটি পাত্রে চিনি নিয়ে, তার মধ্যে দিয়ে দিলাম টক দই। এরপর উপর থেকে দিয়ে দিলাম ছোট ছোট টুকরো করে রাখা কিসমিস আর কাজুবাদাম।

1000067985.jpg

এরপর উপর থেকে দিয়ে দিলাম এলাচ গুঁড়ো আর আমুল দুধ। এরপর সমস্ত উপকরণ গুলোকে ভালোভাবে টক দই এর সাথে মিশিয়ে নিলাম। আর এভাবেই আইসক্রিমের জন্য একটি ক্রিমি ব্যাটার তৈরি হয়ে গেল।

1000067986.jpg

এরপর এগুলোকে জমানোর জন্য আইসক্রিমের মোল্ডের মধ্যে আর কয়েকটি কাপের মধ্যে ব্যাটারটা ঢেলে দিলাম।

1000067987.jpg

আইসক্রিমের মোল্ড গুলোকে কাঠি দিয়ে ঢেকে দিলাম আর কাপ গুলোকে ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিয়ে তার মধ্যে চামচ দিয়ে ১৮ ঘণ্টা ডিপ ফ্রীজে জমতে দিলাম।

1000067988.jpg

১৮ ঘন্টা পর সেগুলোকে বার করে দেখলাম , আইসক্রিম একদম রেডি। তাই ঝটপট তার কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়ে টেস্ট করে দেখলাম দারুন হয়েছে খেতে।


পোস্ট বিবরণরেসিপি
ডিভাইসpoco m6 pro
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

টক দইয়ের আইসক্রিম রেসিপিটি দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। রেসিপিটি আসলে অনেক ইউনিক। এই গরমে এভাবে ঘরোয়া আইসক্রিম হলে তো জমে যায়। কিসমিস ও বাদাম দেওয়ার কারণে খেতে নিশ্চয় অনেক ভালো হয়েছিল ।এগুলো যখন মুখে পড়বে তখন খুবই ভালো লাগবে খেতে। খুব সুন্দর ভাবে উপকরণ এবং ধাপগুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু, কিসমিস আর বাদাম দেওয়ার কারণে এটা খেতে আরও বেশি ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আইসক্রিম আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। তবে অতিরিক্ত আইসক্রিম খেলে গলার সমস্যা হয়ে যায়। আপনি দেখছি আজকে টক দই এর আইসক্রিম রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে আইসক্রিম রেসিপি তৈরি করেছেন।

 last year 

হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন,যে কোনো ঠাণ্ডা জিনিস অতিরিক্ত খেলে গলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমার তৈরি আইসক্রিমের রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপু অনেক দিন পর আপনার পোস্ট আমি দেখতে পেলাম।যাই হোক এই গরমে আইসক্রিম এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে,তবে টকদই দিয়ে কখনও আইসক্রিম খাওয়া হয়নি।মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালই হবে। ধন্যবাদ

 last year 

হ্যাঁ আপু,গরমে আইসক্রিমই সবচেয়ে ভালো লাগে খেতে। টক দই এর তৈরি আইসক্রিমটা খেতে ভালোই হয়েছিল আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

এই গরমের সময় আইসক্রিম পেলে তো বেশ জমিয়ে খেতে পারতাম। আপনি টক দইয়ের আইসক্রিম তৈরি করেছেন। যা দেখেই তো মনে হচ্ছে অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল এই আইসক্রিম। এই গরমে কিন্তু একেবারে জমিয়ে খাওয়া যাবে। আপনার তৈরি করা আইসক্রিম দেখলে যে কেউ সহজেই এগুলো তৈরি করতে পারবে। কারণ আপনি আইসক্রিম তৈরি করার পদ্ধতি অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে এই আইসক্রিম বেশ মজা করে খেয়েছেন।

 last year 

আইসক্রিম তৈরির পদ্ধতিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

 last year 

এই গরমে আইসক্রিম খেতে কার না ভালো লাগে। আইসক্রিম খেতে এখন সবাই পছন্দ করে আমারও খুব ভালো লাগে আইসক্রিম খেতে কিন্তু টক দই আইসক্রিম এই প্রথমবার দেখলাম। কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম টক দই দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হ্যাঁ আপু, টক দই দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করা যায়। আর সেটা খেতেও বেশ ভালো লাগে। আপনিও আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

টক দই দিয়ে উপকারী ও মজাদার আইসক্রিম রেসিপিটি ভীষণ চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু হয়েছে তা বুঝতে বাকি নেই।আমার তো রিতিমতো খেতে মন চাচ্ছে দই আইসক্রিম দেখে।আইসক্রিম তৈরি পদ্ধতি দারুণ হয়েছে দিদি। আইসক্রিমে কাজু বাদাম ও কিসমিস ব্যাবহারের ফলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। ধাপে ধাপে টক দই আইসক্রিম পদ্ধতি চমৎকার সুন্দরভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।

 last year 

ঠিক বলেছেন দিদি, কাজুবাদাম আর কিসমিস ব্যবহারের ফলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। আমার তৈরি আইসক্রিম এর রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আমাকে বাড়িতে আইসক্রিম তৈরি করতে দেয় না। এটা আমার এতোটাই পছন্দের যে একদিনে সব শেষ করে দেয়। টক দই দিয়ে এভাবে কখনো আইসক্রিম তৈরি করে খাইনি। এটা বেশ অসাধারণ লাগল আপু। টক দই দিয়ে আইসক্রিম টা দারুণ তৈরি করেছেন। এবং সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 last year 

আপনার তো তাহলে আইসক্রিম ভীষণ পছন্দের দেখছি, আপনি যখন এক দিনে সব শেষ করে দেন। আমার তৈরি আইসক্রিমের রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।