রেসিপি: সেদ্ধ ছোলা মাখা
নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আর আমার সকল মুসলিম ভাই বোনেরা নিশ্চয়ই খুব নিষ্ঠার সাথে প্রতিটি রোজা পালন করছেন।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আবারও নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। রেসিপিটি হলো সেদ্ধ ছোলা মাখা। এটি সাধারণত সন্ধ্যাবেলার স্ন্যাক্স হিসাবে খাওয়া যায়। আমিও আজ সন্ধ্যায় এটাকে স্ন্যাক্স হিসাবে ব্যবহার করেছি। ছোলা মাখা খেতে আমি আর আমার মা খুব ভালোবাসি। একসাথে ট্রেনে করে কোথাও গেলে খাওয়া হয়। কিন্তু অনেকদিন একসাথে কোথাও বেরোনো হয়নি তাই আজ বাড়িতেই বানালাম। আর তারপর আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এলাম।
চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
এটি হলো আমার আজকের তৈরি রেসিপি সেদ্ধ ছোলা মাখা।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ছোলা | ১৫০ গ্রাম |
পেয়াঁজ | ১টি |
টমেটো | ২টি |
কাঁচা লঙ্কা | ৫টি |
আলু | ১টি |
জিরে গুঁড়ো | ১চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
চাট মশলা | ১চামচ |
ধোনে পাতা | ৫ টি |
শসা | ১টি |
গন্ধরাজ লেবু | ১টি |
তেঁতুল | ১টি |
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমেই নিয়ে নিয়েছি আমার প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি - ছোলা, পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা , তেঁতুল ,শসা ,চাট মশলা,জিরে গুঁড়ো ,লবণ ,গন্ধরাজ লেবু, আলু আর ধোনে পাতা।
এবার ছোলা গুলোকে কড়াইতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ করতে দিলাম । সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিলাম।
ছোলা সেদ্ধ হতে হতে আমি কেটে নিয়েছি টুকরো টুকরো করে আলু ,টমেটো , শসা ,কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু , পেয়াঁজ আর ধনেপাতা ।আর তেঁতুল টাকে সামান্য একটু জলের মধ্যে দিয়ে গুলে নিয়ে বানিয়ে নিতাম তেঁতুল গোলা জল।
এবার কড়াইতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে আলু সেদ্ধ করে নিয়েছি।
আলু সেদ্ধ করা হয়ে গেলে সেগুলোকে সেদ্ধ করে রাখা ছোলার উপরে নামিয়ে নিলাম।
এবার দিয়ে দিলাম টুকরো টুকরো করে কেটে রাখা টমেটো কুচি।
এরপর দিয়ে দিলাম ছোট ছোট করে কেটে রাখা ধনেপাতা।
এবার দিয়ে দিলাম কুঁচানো লঙ্কা।
দিয়ে দিলাম ছোট ছোট করে কেটে রাখা শসার টুকরো গুলো।
এবার এর মধ্যে দিয়ে দিলাম জিরের গুঁড়ো ,চাট মশলা আর পরিমাণ মতো লবণ।
এবারের মধ্যে তেঁতুল গোলা জলটাকে ঢেলে দিলাম।
দিয়ে দিলাম গন্ধরাজ লেবুর রস।
এবার একটি চামচের সাহায্যে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
সব উপকরণ মেশানো হয়ে গেলে তার ওপর দিয়ে দিয়ে দিলাম কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ । তারপর আর একবার সেটাকে ভালো করে মেখে নিলাম।
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি সেদ্ধ ছোলা মাখা।
এরপর একটি প্লেটে নামিয়ে নিয়ে সেটাকে পরিবেশন করে দিলাম।
আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। সকলে খুব ভালো থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে,আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
লোকেশন | বনগাঁ |
যা বানিয়েছেন দিদি দেখে তো লোভ সামলানো মুস্কিল হয়ে যাচ্ছে🤗।
আর রেসিপিটি তৈরীর প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর করে তৈরি করেছেন যে দেখেই ভালো লাগছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোলা রান্না করে খেয়েছি। তবে এত সব উপাদান দিয়ে মেখে খাওয়া কখনও হয়নি। রেসিপিটি বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতে বেশ মজার হবে বুঝতে পারছি। আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ আপু খেতে বেশ মজার হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে সেদ্ধ ছোলা মাখা আপনি এবং আপনার মা অনেক বেশি পছন্দ করেন বিশেষ করে কোথাও ঘুরতে গেলে ট্রেনের মধ্যে থেকে মাঝে মাঝেই খেয়ে থাকেন। ছোলা মাখা বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে তবে বাহিরের ছোলা মাখা তেমন একটা খেতে ইচ্ছে করেনা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুবই ভাল লাগলো আপনার মা ও আপনি অনেক বেশি পছন্দ করেন দিদি।প্রতিটা ধাপ আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে উল্লেখ করেছেন।ফটোগ্রাফি খুব দারুন হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সেদ্ধ ছোলা মাখা বিভিন্ন জায়গায় যেতে কিনে খাওয়া হয়েছে। । নিজে এভাবে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। নিজে তৈরি করার চিন্তাও কখনো আসেনি। আপনার রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভবত তৈরি করে ঘরে বানিয়ে খাব। তৈরি করার দাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই তৈরি করবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সিদ্ধ ছোলা আমার খুবই প্রিয় আর প্রতিদিন ইফতারের ছোলা খেয়ে থাকি। আজকে আপনার রেসিপির ধাপগুলো দেখে খুব সহজেই শিখে নিলাম,আর রেসিপি দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
সেদ্ধ ছোলা মাখা রেসিপিটা দেখে তো জিভে জল চলে এলো আপু। সত্যি বলতে রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছে। ইফতারের সময় তো ছোলা না থাকলে ইফতার জমেই না। রেসিপির পরিবেশনা তো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক ধাপে ধাপে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি। অনেক উৎসাহ পেলাম।