||পুয়ের ডাটা দিয়ে কচু রান্না রেসিপি||১০%@shy-fox এর জন্য
আমি @mdemaislam00 বাংলাদেশ থেকে।আজ বুধবার, আগস্ট ০ ৯/২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করব ।আপনারা পুয়ের ডাটা অনেকে কালায়ের ডাল দিয়ে রান্না করে খেয়েছেন , অনেকেই আবার ভাজি করে খেয়েছেন ,আমার দেখা যায় অনেকে বিভিন্ন সবজি দিয়ে চচ্চড়ি করে খেয়ে থাকে। আজকে আমি ডাটা কচু দিয়ে রান্না করেছি ।অনেকে হয়তো রেসিপিটা দেখে ভাববেন ডাটা দিয়ে কচু রান্না খেতে কেমন? শুনতে ভালো না লাগলেও রেসিপিটা রান্না করে খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু লাগে ।আমি প্রথমে ভাবছিলাম জানিনা রেসিপিটা খেতে কেমন হবে। যখন রান্না করে রেসিপিটা খেয়ে দেখলাম তখন বুঝতে পারলাম আসলেই রেসিপিটা খেতে অনেক সুস্বাদ । আপনারা যদি রেসিপিটা তৈরি করতে চান তাহলে আমার ধাপ গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই রেসিপিটা তৈরি করতে পারবেন।
••••রেসিপি তে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কচু | পরিমাণমতো |
২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | রসুনকুচি | পরিমাণমতো |
৫ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
৭ | পুয়ের ডাটা | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি পুয়ের ডাটা অনেক সুন্দর ভাবে সাইজ করে কেটে নিয়ে পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিয়েছি।
এবার আমি কাচির সাহায্যে কচুর খোসা ছাড়িয়ে নিব ।খোসা ছাড়ানো হয়ে গেলে পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিবো। পানি দিয়ে ধোয়া হয়ে গেলে লবণ দিয়ে কচুগুলো অনেকবার চটকিয়ে চটকিয়ে ধুয়ে নিব তাহলে কচুর বিজলী থাকবে না।
এবার আমি পেঁয়াজকুচি ,রসুন কুচি, কাঁচা মরিচ, জিরা ,হলুদের গুড়া, পরিমাণমতো লবণ নিয়ে নিব।
এবার আমি পেঁয়াজকুচি ,রসুন কুচি, জিরা পাটা সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে বেটে নিব।
এবার আমি কাঁচামরিচ গুলো লবণ দিয়ে বেটে নিব
এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে সয়াবিন তেল দিয়ে তেলটা একটু গরম করে নিব ।গরম করা হয়ে গেলে পরিমাণমতো লবণ ,হলুদের গুঁড়া ,বেটে রাখা পেঁয়াজকুচি ,রসুন কুচি, জিরা ,কাঁচা মরিচ তেলের উপর দিয়ে দিব
এবার আমি কচুও পুয়ের ডাটা প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলোর সাথে কষিয়ে নিব।
এবার আমি সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি দিয়েছি।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর ভাবে কচু হয়ে গিয়েছে এবং পানির পরিমাণ অনেক কমে এসেছে
এবার আমি পেঁয়াজকুচি তেলের উপর দিয়ে দিব ভাজার জন্য।
দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দরভাবে পেঁয়াজকুচি ভাজা হয়ে গিয়েছে।
অবশেষে আমি পেঁয়াজ কুচির ভেতর পুয়ের ডাটা ও কচু দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে চামচের সাহায্যে নেড়ে নিব। যখন দেখবেন অনেক সুন্দর একটা কালার এসেছে এবং দেখে বোঝা যাবে যে রেসিপিটা রান্না হয়ে গিয়েছে তখন আপনারা চুলা থেকে রেসিপিটা নামিয়ে ফেলতে পারেন। সন্ধ্যার কারণে রেসিপিটার কালার তেমন একটা সুন্দর দেখাচ্ছে না কিন্তু রেসিপিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
ফটোগ্রাফার | @mdemaislam00 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | vivo12a |
নিরামিষ এর মধ্যে কচু এবং পুইশাকের তরকারি অসম্ভব ভাল লাগে।এর সাথে যদি গুরো চিংরি হতো স্বাদ দিগুন হয়ে যেতো খুবই চলমান একটি রেসিপি শেয়ার করেছেম ধন্যবাদ আপনাকে।
পুইশাকের ডাটা দিয়ে কচু রান্নার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই রেসিপিটা আমাদের এলাকাতে খুব বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। রেসিপিটা খেতেও আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
পুঁইশাকের ডাটা দিয়ে কচুর মজাদার একটি রেসিপি তুলে ধরেছেন আপ। রেসিপিটির প্রত্যেকটা ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।তরকারি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই সুস্বাদু হয়েছে।
পুয়ের ডাটা দিয়ে কচু রান্না রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে পুঁইশাক দিয়ে কচু রেসিপি। আপনার রেসিপি টা অসাধারন হয়েছে। রান্নার কালার দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।