রেসিপি ।। চিতল মাছ রান্না ।। ১০% বেনিফিশিয়ারী @shy-fox ।। ৫% @abb-school এর জন্য ।
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভাল আছি ।
চিংড়ী-চিতল বোয়াল-ফলই ধরছে যে যা পারে,
নলা মাছের গলা ধরে কেউবা তোলে পাড়ে।
আমি একজন ছোট পরিসরের মৎস চাষী । কিছুদিন পুর্বে আমার নিজের পুকুর থেকে কয়েকটি চিতল মাছ ধরেছিলাম । এতদিন রান্না করা হয়ে উঠেনি ।
আজ আমি চিতল মাছ অল্প অল্প ঝোল করে রান্না করার সিদ্ধান্ত নিলাম । সাথে ইচ্ছে হলো রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি । তাই এখন আমি আজকে বাড়িতে রান্না করা চিতল মাছের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
চিতল মাছ | ১টি ছয় টুকরে কাটা |
পেয়াজ | ২টি |
এলাচ | ২টি |
দারচিনি | ২টি |
জিরা | ১ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মত |
পাঁচ ফোড়ন | ১ চা চামচ |
রসুন | ২টি |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মত |
তেজ পাতা | ২ টি |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মত |
আদা | ১ টুকরা |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুড়া | ১ চা চামচ |
ধাপঃ০১
প্রথমে আদা, রসুন, পেয়াজ, খোসা ছাড়িয়ে বেটে নেব ।
কাঁচা মরিচ ও কড়াইয়ে দেওয়ার জন্য বেটে নেব।
ধাপঃ০২
মাছ গুলো কড়াইয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পুর্বে লবণ,গুড়া মরিচ, এবং হলুদ গুড়া মাখিয়ে রেখে দেব । এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিলে স্বাদটা আরো একটু বৃদ্ধি পাবে ।
ধাপঃ০৩
একটা কড়াই চুলাতে রেখে পর্যাপ্ত গরম করে নেব ।
এরপর পরিমাণ মত তেল ঢেলে দেব ।
ধাপঃ০৪
তেল ঢালার কিছুক্ষণ পরে মাছ গুলো একে একে কড়াইয়ে দিয়ে দেব ।
অল্প আচে কিছুক্ষণ ভেজে নেব । ভেজে একেবারে শক্ত করে নেওয়া যাবে না ।
খুব সাবধানে উল্টিয়ে দিতে হবে যেন ভেঙে না যায় ।
ভাজা হয়ে গেলে কড়াই থেকে তুলে রাখবো ।
ধাপঃ০৫
এরপর কড়াইয়ে যে তেল টুকু উদ্বৃত্ত ছিল তার ভিতরে আগে থেকে বেটে রাখা পেয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন দিয়ে দিলাম ।
কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর এলাচ, দারচিনি, পাঁচফোড়ন,লবণ, তেজপাতা এবং জিরা দিয়ে দিলাম ।
এভাবে অল্প আচে কিছুক্ষণ রান্না করে নিবো ।
ধাপঃ০৬
খেয়াল রখতে হবে যেন মসলা গুলো পুড়ে না যায় ।
কিছুক্ষণ ভেজে নেওয়ার পর কড়াইয়ে পানি দিয়ে দেব ।
পানি দেওয়ার ফলে সমস্ত মশলা সিদ্ধ হতে থাকবে ।
ধাপঃ০৭
এরপর একে একে কড়ায়ে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দেব ।
প্রথম দিকে নাড়াচাড়ার কোন প্রয়োজন হবে না ।
ধাপঃ০৮
মাছের ঝোল ঘন হোয়ে আসলে একটু উঠিয়ে লবণ টেস্ট করে নিতে হবে ।
আমি রান্নার প্রথমে যেহেতু লবণ একটু কম দিয়েছিলাম তাই এখন একটু দিয়ে দিলাম ।
আমার যতটুকু পরিমাণ ঝোল রাখার প্রয়োজন ছিল ততটুকু পরিমাণ হয়ে আসলে আমি নামিয়ে একটা পাত্রে ঢেলে নিলাম ।
এভাবেই আমার আজকের রান্না শেষ হলো । খুব সুঘ্রাণ পাচ্ছি । স্বাদটাও দারুণ হয়েছে ।
এমনি করে আপনারাও খুব সহজে রান্না করে নিতে পারবেন ।
ধন্যবাদ সবাইকে । ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি ।
নামঃ | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |
অনেকদিন পর চিতল মাছের রেসিপি দেখলাম। কারণ চিতল মাছ অনেকদিন ধরে খাওয়া হয়না। আপনি খুব সুন্দর করে চিতল মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপে বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। উপস্থাপনা করেছেন মাশাল্লাহ অনেক ভালো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
চিতল মাছের অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। চিতল মাছ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। দেখেই মনে হচ্ছে এই রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার রেসিপি তৈরির সম্পূর্ণ পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি খুব সুন্দর ও সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপির কালার দেখতে অসাধারণ হয়েছে। তার মানে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। সবগুলো ধাপ সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিতল মাছ আমার একদমই পছন্দ না। এই মাছে এত কাঁটা থাকে যে খাওয়া যায় না। আপনি তো খুব সুন্দর করে রান্না করেছেন। ভেঁজে রান্না করার কারণে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে। যারা চিতল মাছ পছন্দ করে তাদের জন্য খুবই সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
মৎস চাষী তাহলে তো ভালোই হয়,আমরাও মাঝে মাঝে মাছ পাবো।যদিও আমি চিতল মাছ খাই না।অনেক কাটা থাকে।আপনার রেসিপি ও উপস্থাপনা বেশ ভালো হয়েছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আপনার তৈরি চিতল মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাই আমাদের মাঝে চিতল মাছের এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া যেহেতু আপনার নিজের পুকুরের চিতল মাছ সেহেতু এই মাছের স্বাদ অনেক বেশি পাবেন বলে আশা করছি। আজ আপনি আপনার নিজের পুকুরের চিতল মাছ রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এই চিতল মাছের রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক অনেক স্বাদ পাওয়া যাবে। তবে কি ভাইয়া আমি চিতল মাছ খেতে খুব বেশি একটা পছন্দ করি না। চিতল মাছ হিসেবে খুবই লোভনীয় কিন্তু প্রচুর কাটা থাকায় আমি এই মাছ কে এড়িয়ে চলি। কিন্তু আপনার তৈরি সুস্বাদু চিতল মাছের রেসিপি দেখে খুবই খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছেন তার প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
চিতল মাছের রেসিপি অনেক ভালো হয়েছে। অনেকদিন যাবত চিতল মাছ খাওয়া হয়নি ।তবে ইদানিং প্রায় চিতল মাছ বাজারে দেখা যায়। মাছটি অনেক সুস্বাদু। আগে নদীতে হলেও বর্তমানে পুকুরে এই মাছের চাষ করা হয় । আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো।
সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি যেহেতু লেভেল থ্রির স্টুডেন্ট সে ক্ষেত্রে আপনার পোস্টে মার্কডাউনের আরো সুন্দর ব্যবহার আশা করেছিলাম। কিন্তু সেটা দেখতে পাইনি। চেষ্টা করবেন আপনার পোস্টটি আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। প্রয়োজন হলে অন্য ভেরিফাইড মেম্বারদের ভালো পোস্ট গুলি দেখবেন। সেখান থেকে শেখার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক আছে ভাইয়া, আসলে কাল পরিস্থিতি একটু অন্যরকম ছিল বারবার কারেন্ট অফ হয়ে যাওয়া সহ আমি নিজেও ছিলাম ভীষণ ক্লান্ত। এর জন্য পোস্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধির বিষয়ে একটু ঘাটতি রয়ে গেছে। এরপর থেকে আরো বেশি যত্নশীল হতে পারবো এই আশা রাখছি।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার রেসিপি আমাদের কাছে শেয়ার করছেন এটা খুবই কাজ করছেন।এর মাধ্যমে আমরা আপনার রেসিপি সম্পর্কে জানলাম। চিতল মাছ খুবই মজাদার একটি মাছ, আপনি অনেক ভালো রান্না করছেন।দেখে বুজা জাচ্ছে স্বাদ ও ভালো ছিল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য