মজাদার থাই স্যুপের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আর ভালো আছি বলেই আজ আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজ বিকেলে একটি মজাদার ও স্বসাদু হালকা নাস্তা বানিয়েছি। তাই ভাবলাম আমার প্রিয় পরিবারের সাথে এটি শেয়ার করি। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম যে রেসিপিটি বানাবো। দেখা যায় অনেক সময় মনেও থাকে না। আজ মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আজ বানাবোই। তাই সকাল বেলা সকল কিছু যোগার করে রেখেছিলাম। আর আজ এই রেসিপিটির আপনাদের সাথে শেয়ার করে দিলাম।
স্যুপ আমরা কেনা পছন্দ করি বলুনতো? আমি বা আমরা সবাই কিন্তু স্যুপ খেতে অনেক ভালোবাসি। আর সেটা যদি হয় পছন্দের ও খুব মজাদার শীতের গরম গরম স্যুপ। আমি কিন্তু শীত আসলেই বেশী বেশী স্যুপ রান্না করি।আর গরম গরম খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে থাই স্যুপটি আমার অনেক প্রিয়। হ্যাঁ আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা আজ আমি আমাদের সবার পছন্দের থাই স্যুপের রেসিপি নিয়ে এলাম । আশা করি সবার কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমি কিভাবে সহজে থাই স্যুপটি রান্না করলাম তার সম্পূর্ন প্রসেসটি দেখে আসি।
মজাদার থাই স্যুপের রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
প্রস্তুত প্রণালী ধাপ-১ প্রথমে একটি প্যানের মধ্যে ৪টি ডিম ভেঙ্গে নিলাম। ধাপ-২ এবার তার মধ্যে একে একে চিংড়ী মাছ, আদাকাটা,টমাটো সস, চিলিসস, থাইপাতা, গোলমরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে নিলাম। ধাপ-৩ এবার আবারও তার মধে দিয়ে দিলাম সয়াসস, চিনি,লেবুর রস, ও পরিমানমত পানি দিয়ে গুলে রাখা কনফ্লোয়ার আর মরিচগুড়া। ধাপ-৪ এবার সকল উপকরণগুলো একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিলাম। ধাপ-৫ এবার তার মধ্যে পরিমান মতো পানি দিয়ে পাত্রটি চুলায় বসাতে হবে। ধাপ-৬ এবার কিছুক্ষন পর পর স্যুপটি নেড়ে দিতে হবে। ধাপ-৭ এবার যখন পানিটা একটু শুকিয়ে আসবে তখন তার মধ্যে কাচাঁমরিচ গুলো দিয়ে কিছুক্ষন আবার জ্বাল দিতে হবে। ধাপ-৮ এবার আরও কিছুক্ষন স্যুপটি ঘন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শেষ ধাপ এবার যখন বুঝতে পারবো যে স্যুপটি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবংঘন হয়ে পানিটি শুকিয়ে গেছে তখন পরিবেশনের জন্য নামিয়ে ফেলতে হবে। আবার চাইলে কেউ একটু পাতলা করে খেতে পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে একটু একটু পাতলাটা নামাতে হবে। পরিবেশন এবার গরম গরম স্যুপটি সবাইকে পরিবেশন করলাম। সবাই খেয়ে আমাকে রিভিউ দিয়েছে ১০০/৯০। এবার আপনার সবাই বলেন তো কেমন হলো আমার আজকের মজাদার থাই স্যুপের রেসিপিটি? আমি আশা করবো আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আর আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের আশায় রইলাম।আজ তাহলে আপনাদের সকলের ভালোবাসা নিয়ে এখানেই আমার ব্লগটির শেষ করছি। আগামীতে আবারও নতুন কোন সুন্দর ব্লগ নিয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ্। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন। পরিচিতি আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমার পছন্দ খুব ঘোরাঘুরি ভ্রমন করা ,ছবি আঁকা, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে,ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও পেইন্টিং করতেও দারুণ পছন্দ করি। কোন নতুন নতুন কিছু দেখলে শিখতে পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে।
|
---|
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু আপনি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। আসলে আমরা নিজেরাই জানিনা থাই স্যুপ কিভাবে তৈরি করতে হয়। কখনো তৈরি করার চেষ্টা করিনি এবং তৈরি করা হয়নি। কিন্তু বাইরে গেলে খাওয়া হয়।আজকে আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিখতে পেরেছি কিভাবে থাই স্যুপ তৈরি করা যায়।
প্রথমে আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি খুব চমৎকার মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য। হ্যাঁ আপু আমিও আগে বাইরে যেয়ে খেতাম। এখন বাসাতেই সকল স্যুপ রান্না করে খাই। শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন আপু।
বাহ্ দারুন তো বেশ দারুন একটি রেসিপি আজ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তো। সত্যি কিন্তু আপনার করা আজকের স্যুপটি দারুন হয়েছিল। আমিও ফটোগ্রাফি করে রেখেছি। অন্য একদিন আপনার এমন রেসিপির রিভিউ করবো। এভাবেই এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
এত চমৎকার একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু । আমার রেসিপিটি আপনি ফটোগ্রাফি করে রেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আশা করি এভাবেই সব সময় পাশে থাকবেন।
শীতকালের বিকালে এরকম একবাটি গরম স্যুপ হলে আর কিছুই লাগে না। স্যুপ আমার কাছে খুবই পছন্দের। কিন্তু বাসায় কখনো বানানো হয়নি। সব সময় বাইরে থেকে কিনে খাওয়া হয়েছে। আপনার আজকে স্যুপ এর রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম। এভাবে বাসায় বানিয়ে খেতে হবে। মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
থাই স্যুপ আমার ও খুব পছন্দের। বিকেলবেলা গরম গরম খেতে বেশ ভালই লাগে। আপনার স্যুপ গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে নিজের তৈরি করে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু খুব সহজে রেসিপিটা তৈরি করা যায়
বেশি সময় লাগে না। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন।আর সুন্দর সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার থাই স্যুপ রেসিপির ডেকোরেশন টা জাস্ট দারুন লাগছে।খেতেও নিশ্চয় খুব ভালো ছিল।বেশ সুন্দর করে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খেতেও থাই সুপটি অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।