রেসিপিঃ সবজি খিচুড়ি || ছুটির দিনে গ্রামের ছেলেমেয়েদের চড়ুইভাতি সবজি খিচুড়ি দিয়ে
হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি পোস্টে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সবজি খিচুড়ির রেসিপি। খিচুড়ি আমার খুব খুব পছন্দের। আমাকে তিন বেলা খিচুড়ি খেতে দিলেও কোন অভিযোগ থাকবে না। গ্রামে বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হলেই তারা অনেকে মিলে পিকনিকের আয়োজন করে থাকে। যাকে বলা হয় চরুইভাতি। প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে চাল, ডাল, মসলা সংগ্রহ করে এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়। কিছুদিন আগে আমার ছোট বোনের স্কুল বন্ধ ছিল। দুপুরবেলা দেখলাম সবজি কাটাকুটি করছে। জিজ্ঞেস করলাম কি হবে।ওরা বলল ওরা কয়েকজন মিলে পিকনিকের আয়োজন করেছে সবজি খিচুড়ি দিয়ে।
আমি ভাবলাম এই সুযোগ কেন হাতছাড়া করবো। আপনাদের সাথে রেসিপিটা শেয়ার করে ফেলি। এজন্য প্রত্যেকটা ধাপে ধাপে ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম এবং একটি ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম আর সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি ভাল লাগবে। তো চলুন রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরণ |
---|
চাল |
বাঁধাকপি |
আলু |
টমেটো |
গাজর |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ কুচি |
পেঁয়াজকলি |
আদা রসুন বাটা |
জিরা বাটা |
হলুদ গুঁড়া |
গরম মসলা |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে সব উপকরণ কেটে ধুয়ে রেডি করে নেওয়া হয়েছে। চাল ধুয়ে নিয়ে চালগুলো একটি পাতিলে নিতে হবে।
ধাপ-২
চালের মধ্যে বাঁধাকপি, পেঁয়াজকুচি, কাঁচা মরিচ, গুঁড়া মসলা, বাটা মসলা এবং পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৪
ভালোভাবে মাখানো হয়ে গেলে এ পর্যায়ে কেটে ধুয়ে রাখা আলু, টমেটো এবং গজর দিয়ে আবারো মাখিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি রান্নার জন্য। রান্না হয়ে গেলে কিছুক্ষণ চলেই তো আমি রেখে দিয়েছি।
ধাপ-৬
একটি বাটিতে তুলে নিয়ে বাচ্চাদের পরিবেশন করেছি।
রেসিপি ভিডিও
সবাই আনন্দ করে খেয়েছিল। ওদের সাথে আমরা বড়রাও খেয়েছিলাম। ভীষণ মজার হয়েছিল এই সবজি খিচুড়ি। তাছাড়া শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে রেসিপিটি অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আপু ছোট বেলায় এমন চড়ুইপাতি অনেক করেছি।কিন্তু এখন এগুলো তেমন পাওয়া যায় না। আপনারা নিশ্চয় অনেক আমন্দ করেছেন। সত্যি এমন চড়ুইপাতি মাঝে মাঝে দেখলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় আমরা তো প্রত্যেক সপ্তাহে চড়ুইভাতী করেছি আপু। এখনকার বাচ্চারা তো সেই আগের আনন্দগুলো বোঝেই না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রামের দিকে এগুলো অনেক বেশি দেখা যায়। কয়েকদিন আগে আমাদের আশেপাশের ছোট ছোট বাচ্চারাও চড়ুইভাতি করেছিল। যা আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। সবজি খিচুড়ির রেসিপি টা আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এটা দেখেই তো আমার খুব ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া গ্রামের বাচ্চারা মাঝে মাঝে এই চড়ুইভাতির আয়োজন করে। আমারও খুবই ভালো লাগে এই বিষয়গুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি তাহলে খিচুড়ি প্রেমি মানুষ। অবশ্য খিচুড়ি আমার কাছেও ভীষণ পছন্দের। আপনার ছোট বোনসহ গ্রামের বাচ্চাদের করা চড়ুইভাতি উপলক্ষে সবজি খিচুড়ির মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। বাঁধাকপি আলু টমেটো গাজরের সমন্বয়ে লোভনীয় সবজি খিচুড়ির রেসিপিটি আমাদের সাথে ধাপে ধাপে সুন্দর বর্ণনা সহকারে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
একদম ভাইয়া খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় এরকম সবাই মিলে চড়ুইভাতী করা হতো। এখন আর এগুলো করা হয় না। গ্রামের ছেলে মেয়েদের সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সবাই মিলে সবজি খিচুড়ি তৈরি করেছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে। শীতকালে সবজি খিচুড়িটা ভালোই লাগে খেতে। রেসিপি কালারটা বেশ লোভনীয় লাগছে। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সবজি খিচুড়ি আমারও খুবই পছন্দের আপু। তাইতো বাচ্চাদের সাথে যোগ দিয়েছিলাম। খেতেও বেশ মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1888301426159620582?t=CtNiF9OQPkYAfJlgMC9KfQ&s=19
আগে শৈশবে আমরা বাড়ির সবাই মিলে চড়ুইভাতি তৈরি করতাম। চড়ুইভাতি তৈরি করার আনন্দটাই সত্যি অন্য রকম ছিলো। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে খিচুড়ি তৈরি করেছেন আপু দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করতেছে। আপনার খিচুড়ি তৈরি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় গ্রামের বাচ্চাদের সঙ্গে চড়ুইভাতির আনন্দটাই ছিলো অন্যরকম। সবাই মিলে কাঠ কুটো জোগাড় করে, হাসি আনন্দে মিশে গরম গরম খিচুড়ি রান্নার সেই মুহূর্তগুলো এখনো মনে পড়ে। শীতের বিকেলে বাঁধাকপি, গাজর, আলু, টমেটো দিয়ে তৈরি সুস্বাদু সবজি খিচুড়ির স্বাদ যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে সেই পুরোনো দিনের স্মৃতি আবার চোখের সামনে ভেসে উঠল। সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যি ই আপু ছোটবেলায় ফেলে আসা দিনগুলো কতটা মধুর ছিল।এখন সেই দিনগুলো খুবই মিস করি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাচ্চাদের এরকম সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখলে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। আপনিও বাচ্চাদের সাথে যোগ দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আর খিচুড়ির রেসিপি টা খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। গরম গরম মজাদার খিচুড়ি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। ইচ্ছে তো করছে এখনি চলে যাই, আর আপনাদের সাথে বসে খাই।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ওদের আনন্দ দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। আর সত্যিই খিচুড়ি খেতে বেশ মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আপু যখন আমাদের স্কুল ছুটি পেতাম তখন সবাই মিলে এদিক সেদিক থেকে সবজি খুঁজে নিয়ে এসে, ঘর থেকে চাল ডাল বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে যেতাম। সবাই মিলে খিচুড়ি রান্না করতাম। সেই দিনগুলো আসলে অনেক বেশি আনন্দের। আপনার ছোট বোন এবং তার বাকি বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে এত আনন্দ করে খিচুড়ি রান্না করেছে সেটা দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনারা বড়রাও কিন্তু বিষয়টা উপভোগ করেছেন এটাই তো বড় কিছু।
সে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আজ শুধুই স্মৃতি। যে স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝে নাড়া দেয় মনে। এটা ঠিক ওদের খিচুড়ি রান্নাটা এবং ওদের আনন্দ আমরাও উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে ছোটদের এমন মুহূর্তগুলো দেখলে আমাদের নিজেদের স্মৃতিগুলো প্রকাশিত হয়। আর ইচ্ছে করে সেই ছোটবেলায় ফিরে যাই।