লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি
হ্যালো
আজকে আমি শেয়ার করব লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি। আসলে আমার কাছে ভুনা খিচুড়ি বা একটু নরম খিচুড়ি হলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আমি খিচুড়িটা খুব পছন্দ করি সেটা যে ধরনের খিচুড়ি হোক না কেন। আমি খিচুড়ি মাঝেমধ্যেই মাঝেমধ্যে কেনো বলছি প্রায়ই রান্না করার চেষ্টা করি এবং আমার বাসার সবাই সেটা পছন্দ করে।
গতকাল আমি বাজার থেকে একটি লাউ কিনে এনেছিলাম কচি দেখে। আমার কাছে লাউটা খুবই ভালো লেগেছে। যেহেতু আমি গতকাল অর্ধেক রান্না করেছিলাম তরকারিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে বাসায় দুটো মানুষ এজন্য পুরো লাউটা লাগেনি। যার কারণে আমি লাউটা ভেবেছি তিন দিনে রান্না করবো। তো আমি গতকাল লাউয়ের তরকারি রান্না করেছিলাম কিন্তু রেসিপিটা কভার করতে পারিনি তাই ভাবলাম আজকের রেসিপি শেয়ার করি।
তো চলুন বন্ধুরা রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরণ |
---|
চাল |
মসুর ডাল |
লাউ |
পেঁয়াজ কুচি |
ফালি করে কাঁটা কাঁচামরিচ |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
সাদা-কালো এলাচ |
দারচিনি,তেজপাতা |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে সব উপকরণগুলো কেঁটে ধুয়ে সাজিয়ে নিয়েছি। এরপর প্রেসার কুকারে চাল এবং ডাল ধুয়ে দিয়ে দিয়েছি। প্রেসার কুকারে খিচুড়ি রান্না করলে আমার কাছে সেটা খেতে খুবই মজা লাগে।
ধাপ-২
এরপর কেটে ধুয়ে রাখা লাউয়ের টুকরাগুলো দিয়েছি এরপর দিয়েছি কাঁচা মরিচ এবং পেঁয়াজ কুচি।এরপর গুঁড়া মসলা, বাটা মশলা এবং তেল দিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর ভালোভাবে সবজি এবং চাল ডাল হাত দিয়ে মেখে নিয়ে আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিয়ে আমি রান্নার জন্য চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর তিন থেকে চারটা শীষ দেওয়ার পর আমি কিছুক্ষণ দমে রাখিয়ে খিচুড়ি নামিয়ে নিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
এরপর গরম গরম খিচুড়ি আমি শসা, ডিম ভাজা এবং লেবু দিয়ে পরিবেশন করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যারা এভাবে কখনো লাউ দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খেয়ে দেখেননি, তারা অবশ্যই একবার হলেও খেয়ে দেখবেন। আশা করছি এটা আপনার পছন্দ করবেন।
দেখা হবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
লাউ দিয়ে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি লাউ দিয়ে একটু পাতলা করে খিচুড়ি খেতে অনেক পছন্দ করি কিন্তু আমার মেয়েরা পাতলা খিচুড়ি খেতে একদম পছন্দ করে না তাই রান্না করা হয় না। আপনার রেসিপি টি দেখে ভালো লাগলো এরপর থেকে এরকম ভুনা খিচুড়ি করে দিবো।সুন্দর রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাবি।
এমনি সময় যখন মাংস কিংবা শুধু ডাল দিয়ে রান্না করি তখন ঝরঝরে রান্না করে থাকি কিন্তু সবজি খিচুড়িটা আমার কাছে একটু নরম হলে সেটা ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাবি সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আমার কালকে রাত্রে খিচুড়ি খাওয়া হয়েছে, আপনার পোস্ট দেখে কালকের কথা মনে হল। মাঝে মাঝে খিচুড়ি রান্না করলে বেশ ভালোই লাগে, লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি রেসিপিটা চমৎকার ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমান সময়ের সবাই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে রেসিপি তৈরি করে খেতে খুবই পছন্দ করে। যেটা আমিও করি আমি কখনো লাউ দিয়ে এইভাবে ভুনা রেসিপি করে খাইনি ।আপনার ভুনা রেসিপি দেখে খাওয়ার ইচ্ছাটা পোষণ হলো খুবই সুন্দর হয়েছে।
জ্বী ভাইয়া এই ভুনা খিচুড়িটি খেতে খুবই ভালো লাগে। একদিন বাসায় বানিয়ে খাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি রান্না করে শেয়ার করেছেন। আপনার পরিবেশনা বেশ দারুন ছিল আপু। খিচুড়ির সাথে শসা আর ডিম ভাজি ও লেবু বেশ দারুন লাগে আপু খেতে। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখি খালা খিচুড়ি আর ডিম ভাজি রান্না করেছিল খেতে বেশ ভালোই মজা হয়েছিল।
জ্বী ভাইয়া খিচুড়ির সাথে ডিম ভাজা হলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর সালাদ থাকলে তো কোন কথাই নাই। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু অনেকদিন হলো আপনার তৈরি রেসিপি গুলো দেখা হয়নি। অসুস্থতার কারণে ব্লগে কাজ করতে পারিনি তাই। আপনার রেসিপি গুলো সত্যিই খুব মিস করেছি। আর এখন যখন লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি রেসিপি দেখতে পেলাম, তখন এই সুস্বাদু খিচুড়ি খাওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা। বরাবরই আপনার রেসিপিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে আমি কখনো লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি খাইনি। তাই সুস্বাদু এই রেসিপি ট্রাই করে দেখতে হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, মজাদার খিচুড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। যাই হোক এতদিন পরে দেখে খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি এখন নিয়মিত অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খিচুড়ি দেখলে তো জিভে জল এসে যায় আপু। আপনি লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি করেছে খেতে অনেক মজার হবে। লাউ দিয়ে যেকোনো ধরনের তরকারি কিংবা খিচুড়ি রান্না খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আপনি মসুর ডাল মিক্স করেছেন খেতে আরো ভালো লাগবে। বাসায় জনসংখ্যা কম হলে যে কোন তরকারি কম রান্না করতে হয় বেশি রান্না করলে খেতে ভালো লাগে না। আপনি লাউ দিয়ে কম কম রান্না করেছেন দুইটা তিনটা ভিন্ন আইটেম রান্না করতে পারছেন অনেক ভালো একটি আইডিয়া।
সেটাই তো ভাবছি আপু লাউ কিনলাম ৩০ টাকা দিয়ে আর রেসিপি হয়ে গেল আমার চারটা। কি হিসাবি মানুষ আমি ভাবা যায়।😜যাই হোক আপু ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
খিচুড়ি আমার অতি প্রিয় একটি খাবার। আর সে খিচুড়ি যদি নিজের হাতে রান্না করে খাওয়া হয় তাহলে আরো ভালো লাগে। হয়তো মাঝেমধ্যে হোটেল থেকে খেয়ে থাকি তবে নিজেরা রান্না করে খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আপনার রেসিপি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো যেখানে সমস্ত উপাদান গুলো তালিকা বাধ্য করেছেন এবং টেবিল আকারে দেখিয়েছেন যা দেখে খুব সহজেই বোঝা গেল যে সমস্ত উপাদান গুলো কিভাবে ব্যবহার করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মতামত পোষণ করার জন্য।
লাউ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি একটু টেষ্ট করে দেখতে হবে।
তবে মসুর ডাল দেওয়ায় আমার মনে হয় অনেক বেশি মজা লাগবে। আর পরিবেশন করার সময় ডিম ভাজি করেছিলেন সেটা আরো লোভ জাগিয়েছে। খিচুড়ি ভাতের সাথে ডিম ভাজি হলে পুরোপুরি জমে যায় 😋
ভুনা খিচুড়ি আমার খুবই ফেভারিট বিশেষ করে সেটা যদি বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে প্রস্তুত করা হয় তাহলে খেতে আরো বেশি মজাদার হয়।।
আমিও গত শুক্রবারে সকালে এমনভাবে প্রস্তুত করেছিলাম খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল।।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখতেই খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
হ্যাঁ ভাইয়া এই খিচুড়ি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।