ডাল পালং
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি ব্লক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সবুজ শাকসবজির মধ্যে পালংশাক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। পালংশাক খনিজ, ভিটামিন, পানি ও আঁশসমৃদ্ধ। পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এই শাক পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এটি খেলে বাড়তি খাবারের চাহিদা কমে।পালংশাক পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।আমি পালংশাক খেতে খুবই পছন্দ করি এবং সেইসাথে আমার বাচ্চারাও,শীতকালে পুরোটা সময় পালংশাক খাওয়া হয়ে থাকে।এখনো বাজারে মোটামুটি ভালোই চোখে পড়ে পালংশাক তাই এখনো মাঝে মাঝে খাওয়া হয় পালংশাক ভাজা,মাছ দিয়ে ঝোল বা নিরামিষ সবজির ঝোল কিংবা ঘন্ট সচারাচর খাওয়া হয়ে থাকে। আজ ডাল দিয়ে একটু অন্য রকমভাবে রান্না করেছি তাই সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আশাকরি রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ |
---|
পালংশাক |
মসুরের ডাল |
পেঁয়াজ |
রসুন |
কাঁচামরিচ |
টমেটো |
শুকনা মরিচ |
পাঁচফোড়ন |
জিরাগুঁড়া |
হলুদগুঁড়া |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে ডাল গুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি তারপর প্রেসারকুকারে দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
ডাল সিদ্ধ হয়ে গেলে একটা পাত্রে ঢেলে নিয়েছি।তারপর লবণ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর টমেটো কুঁচি গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল করে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
টমেটো দেওয়ার পর কেটে ধুয়ে রাখা পালংশাক গুলো দিয়ে তারপর কাঁচামরিচ ফালি গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার একটা কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে শুকনা মরিচ দিয়ে একটু হালকা ভেজে নিয়েছি।তারপর পাঁচফোড়ন ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি ও রসুন কুঁচি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
পেঁয়াজ রসুনগুলো ভালো করে নেড়েচেড়ে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।তারপর সিদ্ধ করা ডাল পালং গুলো কড়াইয়ে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার অল্প পরিমাণে জিরাগুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর কিছুক্ষণ খুব ভালো করে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিয়েছি।তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি তারপর একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি।এবার গরম ভাতের সাথে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত ডাল পালং রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি,আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
OR
ডাল পালংয়ের রেসিপি টা পুঙ্খানুপুঙ্খানু তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।তবে ডাল পালংখেতে আমারও কিন্তু দারুন লাগে।এত চমৎকার পুস্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডাল আর পালং খুব খাওয়া হতো আগে। যখন মা ছিল। এখন আর খাওয়া হয় না। অনেক দিন হলো এই রেসিপিটি খাই না। আজ আপনার রেসিপি দেখে বেশ খেতে মনে চাইছে। বেশ সুন্দর করে আপনি লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পালংশাক আসলেই শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিদায়ক। পালং শাক যেন অনেকটা আলুর মতো, বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। আর যেভাবেই করা হোক না কেন, খেতে কিন্তু বেশ লাগে। আজ মসুর ডাল দিয়ে পালং শাকের রেসিপি শেয়ার করেছো ধাপে ধাপে। এভাবে অবশ্য কখনো পালং শাক খাওয়া হয় নি। একবার অবশ্যই বাসায় রান্না করবো দু-এক দিনের মাঝেই। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদিভাই দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আন্টি আপনি আজকে দারুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এভাবে অবশ্য ডালপালং একসাথে কোনো খাইনি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আন্টি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। প্রথমে প্রেসার কুকারে ডাল সিদ্ধ করে নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে শুকনা মরিচের সাথে ডাল এবং পালং শাকগুলো যুক্ত করেছেন। মূলত শুকনো মরিচের কারণে রেসিপির টেস্ট এবং ঘ্রাণ উভয় বৃদ্ধি পাবে। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
পালং শাক আমরা সবাই খেতে ভীষণ পছন্দ করি।
তবে কখনো এভাবে ডাল দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। এটা আমার কাছে ইউনিক রেসিপি মনে হয়েছে। তবে এটা নিঃসন্দেহে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর রেসিপি। অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু। ধন্যবাদ জানাই চমৎকার রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
দারুন রেসিপি দিয়েছেন কাকিমা।।অনেক পছন্দের রেসিপি এটি আমার। আমি এমনিতে পালংশাক খাইনা।শুধু এই ডালেএ সাথেই খাই। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ কাকিমা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
পালং শাক আমার পছন্দের একটি সবজি। পালং শাক ঘন্ট খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি ডাল দিয়ে পালং শাক রেসিপি তৈরি করছেন যা দেখতে খুবই লোভন লাগছে। আর একটা কথা ঠিকই বলেছেন পালংশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। ডাল দিয়ে কিভাবে পালং শাককে রান্না করতে হবে তা আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই মজাদার একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ব্যক্তিগতভাবে আমি পালং শাক অনেক বেশি পছন্দ করি। পালংশাক ভাজি করে খাবার পাশাপাশি এরকমভাবে যদি ডাল দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। বাসায় গেলে মাঝে মাঝেই এই রেসিপিটা তৈরি করে খাওয়া হয়। মজাদার এই ডালপালং রেসিপি টা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি খুব মজার একটি রেসিপি করেছেন। মসুরের ডাল এবং পালংশাক দিয়ে খুব সুস্বাদু রেসিপি বানিয়েছেন। তবে পালংশাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। আমাদের বাড়িতে পালংশাক আছে আমি এইভাবে রান্না করে খেয়েছিলাম। সত্যি বলতো আপনার রেসিপিটির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।