মজাদার সুজির পিঠা তৈরির রেসিপি। ১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য
আসসালামুআলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই আশা করি অনেক ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। সবার সবসময় সুস্থ থাকুক এই কামনা করি।
তাই আমি আজ আমার তৈরি করা একটি রেসিপি নিয়ে এলাম। আজকের রেসিপি হলো সুজির পিঠার রেসিপি। আমার খুব পছন্দের একটি পিঠা এটি৷ আমি প্রায়ই তৈরি করে থাকি৷ আজকেও আমি এটি তৈরি করলাম, ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে এই রেসিপিটি শেয়ার করি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সুজি | ২কাপ |
চিনি | ৩ টেবিল চামচ |
লবণ | সামান্য পরিমাণ |
ডিম | ২ টি |
গুড়ো দুধ | ১ টেবিল চামচ |
তেল | ভাজার জন্য |
![]() |
---|
প্রথম ধাপ
এরপরে আমি একটি বড় বাটিতে ডিম ২ টি ভেঙে নিলাম। ডিম ২ টিকে চামচের সাহায্যে ভালো করে ফেটিয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপরে এরমধ্যে আমি ৩ টেবিল চামচ চিনি, আর সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে দিলাম।অনেক্ষণ ধরেই চামচ দিয়ে চিনি মিশিয়ে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এরপরে আমি এরমধ্যে অল্প অল্প পরিমাণে সুজি দিতে থাকলাম আর ডিমের মিশ্রণের সাথে মেশাতে থাকলাম।
ধীরে ধীরে আমি সবগুলো সুজি মেশাতে থাকলাম। তারপরে গুড়িয়ে দুধ দিয়ে দিলাম। এইভাবে আমি ডিম আর সুজির একটি ডো তৈরি করে দিলাম।
খুব বেশি শক্ত বা খুব নরম ডো হবে না এটি। হাতে নিয়ে বল তৈরি করা যায় এমনভাবে তৈরি করে নিলাম।
এই ডো তৈরি করে আমি ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এরপরে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। পরিমাণমত তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য রেখে দিলাম।
তেল গরম হয়ে এলে আমি প্রথমেই কিছু পিঠে তৈরি করে নিলাম। এজন্য আমি হাতের তালুতে কিছুটা পরিমাণ তেল মেখে নিলাম। এরপরে আমি কিছুটা পরিমাণ ডো হাতে নিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করে হালকা চাপ দিয়ে চেপ্টা করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এভাবে কয়েকটি ডো তৈরি করে নিয়েছি। এরমধ্যে তেল গরম হয়ে এলে সেই তেলের মধ্যে এই ছোট ডো গুলো ছেড়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
মিডিয়াম আচে এগুলোকে ভাজতে থাকলাম। আমি কিছুক্ষণ পিঠার একপিঠ ভেজে নেয়ার পর উল্টো পিঠ ভেজে নিলাম। পিঠা ভাজা হয়ে বাদামী রঙ হয়ে এলে তেল থেকে উঠিয়ে নিলাম।
এইভাবে আমি সবগুলো পিঠা ধীরে ধীরে ভেজে নিলাম। ভেজে আমি তেল ঝরিয়ে উঠিয়ে নিলাম।
এইতো তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের পিঠা৷ সুজির এই পিঠা খুব মুচমুচে হয়েছে। খুব ভালো লাগে এই পিঠা খেতে।
এরপরে আমি একটি প্লেটে পিঠাগুলো সাজিয়ে নিলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে এই রেসিপিটি।
সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সবাই মতামত জানাতে ভুলবেন না। সবাই খুব ভালো থাকবেন।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ছোটবেলায় অনেক সুজি খেতাম আপনি আবারও আমাদের মাঝে সুজির পিঠা নিয়ে হাজির হলেন। আসলে সুজি খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি সুজির পিঠা দারুন ভাবে তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার রান্নার ধরন খুবই ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মতামত দেখে ভালো লাগল ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। সুজির পিঠা আমি একবার খেয়েছিলাম আমার কাছে ভীষণ সুস্বাদু লেগেছিল। আপনার পিঠাগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। একদম পার্ফেক্টলি পিঠা গুলো তৈরি করেছেন। প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে আমারও খুব ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মজাদার সুজির পিঠা আসলেই অনেক মজাদার। সত্যিই খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধাপগুলো এমনভাবে দিয়েছেন যে কেউ দেখলে এটি তৈরি করতে পারবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুজির পিঠা প্রথম নাম শুনলাম দেখেই তো লোভ লেগে গেলো নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু ছিল।ধন্যবাদ গুছিয়ে ধাপ গুলো উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক পরিচিত একটি পিঠা এটি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সুজি দিয়ে আপনি অসাধারণ একটি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার পিঠাটি দেখেই খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে মনে হচ্ছে খেতেও খুব সুস্বাদু হবে দারুণভাবে ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন এই জন্যই পিঠা অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে
খুব মজার একটি পিঠা এটি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
সুজির পিঠা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি পরিবেশন করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
যে কোন পিঠাই আমার কাছে খুব ভালো লাগে।এই শীতের সময় পিঠা খেতে মজাই অন্যরকম লাগে।আপনার পিঠার রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে।প্রত্যেকটা ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে।শুভকামনা রইলো আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
এখানে যারা পিঠার রেসিপি দেয় দেখি প্রায় প্রতিটা পিঠাতে ডিমের ব্যবহার থাকে। কিন্তু ডিম দেওয়া পিঠা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না😫। তবে আপু আপনার সুজির পিঠাটা খুব ভালো হয়েছে। দেখতেই তো দারুণ লাগছে খাব কী বলেন🙂। সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন সবগুলো ধাপ। দারুণ ছিল এককথায়।।
ডিম দিয়ে তৈরি সব পিঠা তেমন খারাপ হয় না ভাইয়া। তবে এই সুজির পিঠা ভাজার পরে আলাদা একটা সুগন্ধ ছড়ায়। খুব মজার খেতে৷
বৃষ্টি আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছে রেসিপিটি।
দাওয়াত দিতে ভুলবেন না কিন্তু 😁
দাওয়াত রইল আপনার এবং তার সাথে ধন্যবাদ রইল।
সুজির পিঠা আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি কিন্তু কখনো বানানো হয়নি। আমার কাছে মনে হতো এটি বানানো একটু কষ্টকর হবে। কিন্তু আপনার আজকে সুজির পিঠা বানানোর রেসিপি দেখে মনে হল যে এটি খুবই সহজে বানিয়ে ফেলা যাবে এবং দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। মনে হচ্ছে যে অনেক মুচমুচে হয়েছে আপনার পিঠাটি। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুজির পিঠার রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সহজে এটি তৈরি করা যায় আপু। আমার কাছে এই পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।