আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।গতকালকের সেই হ্যাংআউটের পর থেকে মনটা খুবই খারাপ ছিল।সবকিছু যেন এলোমেলো হতে শুরু করলো।তখন ভাবতেই পারছিলাম না যে আমাদের এই সুন্দর পরিবারটি নষ্ট হয়ে যাবে।যাইহোক আজ সবকিছু আগের মত ঠিকঠাক হয়ে গেছে শুনে মনটা ভালো হয়ে গেল।আমাদের পরিবারের বন্ধন যেন সবসময় অটুট থাকে সেই প্রত্যাশা করি সব সময়। আর চাই আমরা একজন আরেকজনের থেকে ভালো কিছুই শিখতে। সবার ভালো থাকা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করলাম।

আজকে আমি আপনাদের সাথে মুখরোচক আর মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করব। আমরা সাধারণত বাইরে গেলে ঝাল মুড়ি খেতে পছন্দ করি। অনেক সময় আমরা বাজারে গেলে সেখানে দেখি ঝাল মুড়িতে চানাচুর যোগ করা হয়। তাছাড়া আবার কাঁচা শসা, পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি দিয়ে মুড়ি মাখানো হয়। তার সাথে আবার ছোলা মাখাও দেয়া হয়। তবে আজকে একদম ভিন্নভাবে ঝালমুড়ি আমি তৈরি করব। একদম ইনস্ট্যান্ট তৈরি করে খাওয়ার জন্য এটি একদম পারফেক্ট। কারণ ঘরে সব সময় এই জিনিসগুলো থাকে। আর এগুলো দিয়েই আমরা খুব সহজে মুখরোচক একটি খাবার তৈরি করে ফেলতে পারি। যাই হোক চলুন আজকের এই মসলাদার ঝাল-মুড়ির রেসিপিটি দেখে নিন।
মসলাদার ঝাল-মুড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ |
উপকরণ | পরিমাণ |
মুড়ি | ৩ কাপ |
পেঁয়াজ | ৩টি |
কাঁচামরিচ | ২টি |
রসুন | বড় সাইজের ১টি |
বিট লবণ | ১ চিমটি |
লবণ | সামান্য পরিমাণ |
ধনেপাতা কুচি | পরিমাণ মত |
নুডলস মসলা | ১ টি |
সরিষার তেল | দেড় টেবিল চামচ |

প্রথমেই আমি পেঁয়াজ,কাঁচামরিচ,ধনেপাতা আর রসুন কুচি করে কেটে নিলাম।

চুলায় কড়াই বসিয়ে দেড় টেবিল চামচ পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকলাম কিছুক্ষণ।
পেঁয়াজ ভেজে দিয়ে দিলাম কাঁচামরিচ কুচি আর রসুন কুচি।সবকিছু একসাথে ভেজে নিলাম কিছুক্ষণ। সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ ও এক চিমটি বিট লবণ দিলাম।
এগুলো বাদামী হওয়ার আগেই পরিমাণ মত মুড়ি দিয়ে দিলাম।তারপর সবকিছু নেড়ে ভাজতে থাকলাম আরও কিছুক্ষণ। এক্ষেত্রে চুলার আঁচ একেবারে লো তে রাখতে হবে।তা নাহলে মুড়িগুলো একদম পুড়ে যাবে।

তেলের মধ্যে মুড়ি দেয়ার কারণে প্রথমে মুড়ি কিছুটা চুপসে যায়,আর নরম হয়ে যায়।এক্ষেত্রে বারবার নাড়ার পর যখন মুচমুচে ভাব আসবে তখন দিলাম নুডলস এর একটি মসলার প্যাকেট। এগুলো দেয়ার সাথে সাথেই আমি ভালোভাবে নাড়তে শুরু করলাম।পাশাপাশি ধনেপাতাও দিয়ে দিলাম।২মিনিট নেড়েচেড়ে ভেজে চুলা বন্ধ করে মুড়িগুলো আলাদা বাটিতে ঢেলে নিলাম।তা নাহলে মুড়ি পুড়ে যেতে পারে।

এভাবেই মাত্র ১০মিনিটে সবকিছু রেডি করে তৈরি করে নিলাম মজাদার ভাজা ঝাল-মুড়ি।

তারপর পরিবেশন করে নিলাম মজাদার এই রেসিপিটি।এক্ষেত্রে রসুনকুচি বেশি করে দিলে মসলাদার আর ভাজা ভাজা খেতে বেশি ভালো লাগে।আমি তো পেঁয়াজ আর রসুনকুচিগুলো খুঁজে খুঁজে খেয়ে ফেলি,হাহাহা।



আশা করি আমার আজকের এই ঝাল-মুড়ির রেসিপিটি ভালো লাগবে।কারণ এটি ইনস্ট্যান্ট তৈরি করা যায় আর সবাইকে খুশি করাও যায়।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
ধরণ | বাস্তবিক ভুতুড়ে গল্প |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

ঝাল-মুড়ি মাখা আমার মনে হয় সবার ক্ষেত্রে একটি প্রিয় খাবার।বিকেল বেলায় চায়ের সাথে ঝাল মুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে।আপনি ভিন্নভাবে খুব মজার একটি ঝাল মুড়ির রেসিপি করেছেন।ধাপ গুলো বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন বিকেলের জন্য পারফেক্ট একটিংনাস্তা ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ এবং আশা করছি এভাবেই পাশে থাকবেন।
ঝালমুড়ি খেতে তো আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনি এত সুস্বাদু ভাবে ঝালমুড়ি তৈরি করলেন ওটি দেখে খুব লোভ হচ্ছে। এত সুস্বাদু ঝালমুড়ি দেখে কার না লোভ হবে। অনেক সুন্দরভাবে ঝাল মুড়ি তৈরি করে আমাদের সাথে ধাপে ধাপে উপস্থাপনাও করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঝালমুড়ি আমার অনেক পছন্দ, তাই মাঝেমধ্যে এরকম বানানো হয় ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
নুডলস মসলা দিয়ে কখনো এভাবে ঝালমুড়ি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আসলে ঝাল মুড়ি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। ঝাল মুড়ি খেতে সবাই পছন্দ করে। তবে এভাবে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপু আপনার কাছে মুখরোচক এই খাবারের নতুন একটি পদ্ধতি শিখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন এবং সবসময় এভাবে সাপোর্ট করে যাবেন এই কামনা করি।
আমি মনে করি ঝালমুড়ি সবাই কমবেশি পছন্দ করে। আর শীতকাল আসলে ঝাল মুড়ি তৈরি করার ব্যাপারটা একটু বেশি দেখা যায়। আমরা তো কালকেও তৈরি করেছিলাম বাড়িতে। তবে হ্যাঁ আপনি আজকে একদম ইনস্ট্যান্ট ঝটপট কিভাবে তৈরি করবেন সেটা দেখিয়েছেন বেশ ভালোই হলো। তাছাড়া পেঁয়াজ মরিচ গুলোকে একটু ভাজা করে দিয়েছেন এটি মনে হয় খেতে একটু বেশি সুস্বাদু হয়েছে। আপনার মত করে কখনো তৈরি করে দেখব।
বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেক মজা হবে
ধন্যবাদ।
পুরো রেসিপি স্টেপগুলো দেখতে গিয়ে কতবার যে ঢোক গিলেছি তা নিজেও জানিনা। এভাবে মুড়ি মাখিয়ে খেতে কি যে ভালো লাগে তা বলে বোঝানোর না।অনেকদিন খাই না এভাবে মুড়ি মাখিয়ে। আজকে ভাবছি যদি রাতে খুব খিদে পায় এইভাবে মুড়ি মাখিয়ে খাব। সন্ধ্যেবেলা এরকম মুড়ি খেলে সাথে এক কাপ চা বা কফি হলে পুরো সন্ধ্যেটা জমে যায়।
একদিন বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেক মজা হবে
ধন্যবাদ।