পটলের খোসার নিরামিষ ভর্তা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
বর্তমান সময়ে এমন কিছু সবজি আছে যেগুলো খেতে খুব বেশি ইচ্ছে করে না। এর মধ্যে পটল একটা সবজি যেটা খেতে আমার কাছে খুব বেশি একটা ভালো লাগে না। মাঝেমধ্যেই খাওয়া হয় তবে খুব বেশি না। যাইহোক পটল সবজি খেতে ভালো না লাগলেও পটলের খোসার ভর্তা খেতে বরাবরই খুব ভালো লাগে। মাছ দিয়ে কিংবা মাছ ছাড়া এই ভর্তা খেতে অসাধারণ হয়। তবে মাছ ছাড়া এই ভর্তা তৈরীর ক্ষেত্রে পেঁয়াজ এবং রসুনের পরিমাণ একটু বেশি দিতে হয়। ঠিক তেমনি আজকে আমি এই রেসিপিটা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। যেটা খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। মাছ ছাড়াও এই ভর্তা খেতে অনেক মজা হয়েছিল।চলুন তাহলে মজাদার এই রেসিপিটা শুরু করা যাক।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
|---|
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| পটলের খোসা | ২ কাপ |
| পেয়াজকুচি | ৩টি |
| গোটা রসুন কলি | বড় ৩টি |
| কাঁচামরিচ | ১০/১২টি |
| শুকনো মরিচ | ৬/৭টি |
| লবণ | ১ চা চামচ |
| তেল | ২ টেবিল চামচ |
| পানি | ১ কাপ |
প্রথম ধাপ |
|---|
প্রথমে ফ্রাইপ্যানে ১ কাপ পানি দিলাম । তারপর ধুয়ে রাখা পটলের খোসা দিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিলাম। পানি ঝরিয়ে ধুয়ে আবার ঠান্ডা হওয়ার জন্য রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
|---|
এবার ফ্রাইপ্যানে তেল দিলাম পরিমাণ মত। তেল গরম হলে রসুনকলি দিয়ে দিলাম। তারপর পেয়াজকুচি দিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
|---|
এখন শুকনো মরিচ, কাঁচামরিচ আর লবণ দিলাম। তারপর ভেজে দিয়ে দিলাম সিদ্ধ করা পটলের খোসা।
চতুর্থ ধাপ |
|---|
এখন সবকিছু ভালোভাবে ভেজে নিলাম। একটু পোড়া পোড়া করেই করলাম।
পঞ্চম ধাপ |
|---|
ভাজা উপকরণ ঠান্ডা হয়ে এলে ব্লেন্ডারে
দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার পটলের খোসার নিরামিষ ভর্তা।
পরিবেশন |
|---|
গরম ভাতের সাথে পাতলা ডাল আর এই মজাদার পটলের খোসার ভর্তা খেতে অসাধারণ লেগেছিল।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
|---|
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে লোভ সামলিয়ে থাকা যায় না। আপনি তো লোভ লাগিয়ে দিলেন মজাদার একটা রেসিপি দেখিয়ে। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। এই রেসিপিটা কম বেশি সবাই পছন্দ করে বলে আমার মনে হয়। তবে আমার কিন্তু খুবই ফেভারিট। মনে তো হচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। দেখে খুব ভালো লাগলো রেসিপিটা।
মজার মজার রেসিপি দেখলে কিভাবে লোভ সামলানো যায় আপনি বলেন। যেমন আপনার রেসিপিটা দেখে আমার এতটা লোভ লেগেছে। এখন তো ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে। আপনি সবসময় অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো অনেক লোভনীয় হয়ে থাকে।
পটলের খোসার এই রেসিপিটি আমার ভীষণ পছন্দের। খেতে দারুণ লাগে গরম ভাতের সাথে।খুবই লোভনীয় রেসিপিটি। ধাপে ধাপে পটলের খোসা ভর্তা পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পটলের খোসার এই ভর্তা আমার কাছে খেতে বেশ ভালোই লাগে। প্রায় সময় এই রেসিপিটি তৈরি করা হয়। তবে নিরামিষ এভাবে ভর্তা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। যেকোনো ভর্তাই গরম ভাতের সাথে খেতে আমার কাছে ভালো লাগে এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পটলের খোসার ভর্তা রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পটলের খোসার নিরামিষ ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।