আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম ভিন্ন এবং একটি নতুন ধরনের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের রেসিপিটি হল কলার প্যানকেক যা খুব সহজেই তৈরি করা যায়। যদিও আমি পূর্বে তৈরি করে নি। কিন্তু এটি কিছুদিন আগে দেখেছিলাম। আর ঘরেও অনেকগুলো কলা ছিল। যার কারণে ভাবলাম কলার কোন রেসিপি তৈরি করে ফেলি। যেই ভাবনা সেই কাজ। সকাল বেলা নাস্তা করার পর যখন দেখলাম কলা গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তখন প্যানকেক তৈরি করার জন্য আমি প্রসেসিং করে ফেললাম। সবার কাছেই খুব ভালো লেগেছিল। আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল। তবে এটি গরম অবস্থায় খেতে বেশি ভালো লাগে। ঠান্ডা হলে মজা লাগে না। এটি তৈরি করা একদমই সহজ। খুব বেশি ঝামেলা করার দরকার হয় না।

তাহলে দেরি না করে এই সহজ রেসিপিটি শুরু করা যাক।
কলার প্যানকেক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ |
উপকরণ | পরিমাণ |
কলা | ৬টি |
চিনি | ২ চা চামচ |
লবণ | আধা চা চামচ |
ডিম | ১টি |
দুধ | ১ কাপ |
আটা | ১ কাপ |
সয়াবিন তেল | ১ টেবিল চামচ |

প্রথমে আমি কলাগুলোর খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।

এ পর্যায়ে ব্লেন্ডারে কাটা কলাগুলো নিলাম।দিয়ে দিলাম ১ টি ডিম এবং ২ চা চামচ চিনি।
তারপরে আমি এগুলো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম।এরমধ্যে দিয়ে দিলাম ১ কাপ দুধ।আবারও ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম।
ব্লেন্ড করার পর সব একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম। এরমধ্যে আধা চা চামচ লবণ এবং পরিমাণ মত আটা যোগ করলাম।
সব ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।

এখন চুলায় প্যান বসিয়ে দিলাম। সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম।একটু গরম হয়ে এলে এরমধ্যে ব্যাটার থেকে বড় চামচের সাহায্যে এক চামচ দিয়ে দিলাম।

একপাশ ভালোভাবে হয়ে গেলে উল্টে দিলাম অপরপাশ হওয়ার জন্য।২পাশ হয়ে এলে নামিয়ে নিলাম।
এভাবে সবগুলো এক এক করে তৈরি করে নিলাম।খুবই সুস্বাদু হয়েছিল এই কলার প্যানকেক। একদম নরম হওয়ার কারণে খেতে খুব বেশি মজা লাগে। তবে এটি মধু অথবা চকলেট সস দিয়েও খাওয়া যায়। এমনিতেও খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারা চিনি অ্যাভয়েড করেও তৈরি করতে পারে। কারণ কলার মধ্যে এমনিতে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি থাকে।


আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে।কেমন লাগলো আমার আজকের এই রেসিপি তা মন্তব্য করে জানাবেন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

ভিন্ন রকমের একটি কেক রেসিপি দেখতে পেলাম আপু !আসলে এভাবে পেনকেক বানিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি ।দেখতে অনেকটা চিতই পিঠা বানানোর মতো মনে হয়েছে ।কলা দিয়ে বানিয়েছেন তাই মনে হয় খেতে ভালই লেগেছিল।
আসলে ভিন্নতা আনার চেষ্টায় এ রেসিপিটি শেয়ার করা, ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
https://twitter.com/bristy110/status/1586650237938302978?s=20&t=NgwKL4fzhGrc7p2GQUpz7A
একটি নতুন রেসিপি দেখতে পেলাম আজ আপনার মাধ্যমে। আসলে অনেক সময় বাসায় কলা থাকে কিন্তু তৈরি পদ্ধতি না জানার কারণে কোন রেসিপি তৈরি করতে পারি না ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে কলা দিয়ে পেন কেক তৈরি করেছেন আমার মনে হচ্ছে এভাবে তৈরি করে দিলে পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করবে ।খেতে নিশ্চয়ই খুবই সফট লেগেছে।
আশা করছি আপনিও বাসায় রেসিপি করে খেয়ে দেখবেন অনেক সুস্বাদু ধন্যবাদ।
এই বছর আম কাঁঠালের সিজনে একবার কাঁঠালের প্যান কেক তৈরি করেছিলাম। দেখতে অনেকটা আপনার কলার প্যানকেকের মতোই হয়েছিল। এই প্যানকেক গুলো খুবই তুলতুলে হয়। কলার প্যানকেক একদিন তৈরি করে দেখব। দেখতে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মধুর থেকেও চকলেট সস দিয়ে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
যে কোন সময় বাসায় তৈরি করে দেখতে পারেন ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ! কি চমৎকার কলা দিয়ে প্যান কেক তৈরি করেছেন। দেখতে যদিও কিছুটা চিতই পিঠার মত দেখা যাচ্ছে তবে খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে কলা দেওয়াতে। এভাবে কলা দিয়ে কখনো প্যানকেক বানিয়ে খাওয়া হয়নি অবশ্যই একদিন ট্রাই করে দেখব আপনার রেসিপিটি ফলো করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার এই কলার মজার পিঠা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো।কলার প্যানকেক তৈরির রেসিপি দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। এই পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে । আমিও আগে প্রায় সময় তৈরি করতাম কিন্তু অনেকদিন হয়ে গিয়েছে বানানো হয় না। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন আপু।