মজাদার বরই মাখা রেসিপি। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আসসালামু আলাইকুম

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

আজ ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং: রোজ শনিবার ।

বাংলায় ০৭ বৈশাখ ১৪৩০ খ্রিষ্টাব্দ।

আরবি ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হি:।


কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি মজাদার লোভনীয় রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কিভাবে বরই মাখা তৈরি করতে হয়। সবাই হয়তো এই বিষয়ে অনেক পারদর্শী। বরই খেতে কে না ভালোবাশে। ছোট থেকে বড় সবারই অনেক পছন্দ। আমার কাছে বরই মাখা খুবই ভালো লাগে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমি বরই মাখা তৈরি করলাম।

ফাইনাল লুক

প্রয়োজনীয় উপকরণ
বরই/ কুল
কাঁচা মরিচ
ধনিয়া পাতা
লবন


প্রথম ধাপ
--

প্রথমে বরই গুলা পরিষ্কার পানি দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে নিতে হবে যেনো তাতে কোন রকম ময়লা লেগে না থাকে। পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব সুন্দর করে কয়েকবার করে ধুয়ে নিয়েছি। যাতে একটুও ময়লা না থাকে। এরপর একটি একটি পরিষ্কারপাত্রে বরই গুলো তুলে নিয়েছি। ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি যাতে বেশি পানি লেগে না থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ

এরপর একটি শিল পরিষ্কার পানি দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে নিয়েছে। এরপর শিল দিয়ে বরই গুলা ভালো করে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে যেনো বেশি বড় হয়ে না থাকে।

তৃতীয় ধাপ

সবগুলা বরই ভালো ভাবে বাটা হয়ে হয়ে গেলে একটা পরিষ্কার পাত্রে তুলে রেখেছি।

চতুর্থ ধাপ

এবার পরিমাণ মতো কাঁচামরিচ ধনেপাতা এবং লবণ নিয়ে নিয়েছি। আমার ঝাল খেতে বেশি ভালো লাগে তাই আমি একটু বেশি ঝাল দিয়ে নিয়েছি।আপনারা আপনাদের স্বাদ অনুযায়ী ঝাল দিয়ে নিতে পারেন। এবার শিল দিয়ে ভালো করে বেটে নিয়েছি। খুব সুন্দর করে বেটে নিতে হবে। যতটুকু সম্ভব ফিনিসিং করে বেটে নিতে হবে। যাতে করে ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচ খুব সুন্দর ভাবে মিশে যায় এবং বড় হয়ে না থাকে।

পঞ্চম ধাপ

বেটে নেওয়া মরিচ ধনিয়া পাতার উপকরণটি বরই বাটার ভেতর দিয়ে দিতে হবে। এবার হাত দিয়ে সুন্দর করে মেখে নিয়ে হবে। ভালো ভাবে মাখাতে হবে যেনো খুব সুন্দর ভাবে ধনিয়াপাতা উপকরণ গুলা বরইয়ের ভেতর ঢুকে যায়। এরপর খেয়ে দেখতে হবে লবন ঠিক আছে কি না। যদি কম হয় তাহলে স্বাদমতো লবণ দিয়ে আবারো সুন্দর করে মাখিয়ে নিয়ে হবে। এবার বরই মাখা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।

ষষ্ঠ ধাপ


পোস্টের ধরনরেসিপি পোস্ট
তৈরিকারকমোঃ আশিকুর রহমান
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

Banner_New.png

20230619_1852241.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

বরই মাখা রেসিপি টা বেশ দুর্দান্ত ছিল। এটা খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে মেয়েরা এটা বেশি পছন্দ করে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। আপনার পরিবেশনা অনেক সুন্দর ছিল। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার প্রসংশা মূলক মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

বড়ই মাখা আমার খুব প্রিয়।
বিশেষ করে একটু বেশি করে ঝাল এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে হলে তো কোন কথাই নেই ।
আপনার প্রস্তুত করা বড়ই মাখা ফটোগ্রাফি দেখেই বেশ লোভ হচ্ছে।
নিশ্চয়ই খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।

 last year 

হ্যা ভাই খেতে খুবই মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাইয়া এখন আর ইচ্ছে করলেও বড়ই খেতে পারব না। কেননা এখন বড়ই শেষ হয়ে গেছে। তবে আমরা অন্য বছর বড়ই ফ্রিজে রেখে অসময় খেতাম। কিন্তু এবছর রাখা হয়নি। আপনার রেসিপিটা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। এ ধরনের রেসিপি গুলো অনেক জন মিলে একত্রে খেলে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য। পোস্ট করার সময় আমার নিজেরই জিহ্বায় জল চলে আসছিলো।

 last year 

বরই মাখানো খেতে বেশ মজাদার লাগে। আসলে এ ধরনের খাবারগুলো ছোটবেলা থেকেই আমাদের গ্রামের সকল ছেলেমেয়েরা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আজকে তোমার বরই মাখানো রেসিপিতে ধনিয়া পাতার ব্যবহারটা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।

 last year 

হ্যা ভাই ছোট কালে অনেক খাওয়া হয়েছে এই ধরেন খাবার। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বরই মাখা রেসিপিটি আসলেই মজাদার হয়েছে। বরই মাখা আমার অনেক পছন্দ। আপনি অসম্ভব সুন্দরভাবে বরই মাখা রেসিপিটি কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই আপনার প্রশংসা মূলক মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

 last year 

মজাদার বরই মাখা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। রেসিপিটি দেখে এখান থেকে নিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে। খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু ছিল। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

হ্যা আপু সেই মজাদার ছিলো। বেশি করে ঝাল দিয়েছিলাম খেতে বেশ দারুন লাগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করা জন্য।

 last year 

ওরে বাবা যেই গরম পড়তেছে এই গরমে যদি মাখা মাখি খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু বেশ মজা লাগে। আমার তো এই গরমে প্রচুর মাখা খাওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনি দেখতেছি বেশ সুন্দরভাবে বড়ই মাখা রেসিপিটি শেয়ার করবেন। আসলে প্রচুর যেমন গরম পড়তেছে তেমনি সবার জন্য এই খাবারগুলোই খাওয়া অনেকটাই জরুরী। কারণ মাঝেমধ্যে মাখাটাও ঠান্ডা থাকে এবং মুখের তৃপ্তি ও মেটে। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে বড়ই মাখার রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর করে আমার পোস্টে দারুন দারুন শব্দের গাঁথুনি দিয়ে সুন্দর মতামত শেয়ার করা জন্য।

 last year 

এই সময়ে বড়ই কোথায় পেলেন ভাই?? না আগে করে রাখা এখন পোস্ট করছেন। টক বড়ই মাখা আমার অনেক পছন্দের। বাজারে টক বড়ই দেখলেই আমি নিয়ে আসি এবং আমার মা কে বলি সেটা সুন্দর করে এভাবে মাখিয়ে দিতে। আপনি দারুণ তৈরি করেছেন। দেখেই আমার জিভে পানি চলে আসছে। বেশ লোভনীয় এটা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

 last year 

আগে করে রাখা ভাই। এখন কি আর বরই পাওয়া যাই নাকি।

বাজারে টক বড়ই দেখলেই আমি নিয়ে আসি এবং আমার মা কে বলি সেটা সুন্দর করে এভাবে মাখিয়ে দিতে।

বিষয়টা জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার প্রশংসা মুলক মতামত শেয়ার করার জন্য।