জয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পর্ব-০৩
আজ - ১৪ই, আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, আমার বাংলা ব্লগবাসি আশা করি সবাই ভালো আছেন । যাহোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আসলে আমার বাংলা ব্লগ মানেই হলো নতুন কিছু শেখা জানা ।
যাহোক আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মেলায় কাটানো মুহূর্ত । সেই সাথে সেখানকার থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা সবকিছু মিলিয়ে আজকের ব্লগ বেশ সবার ভালো লাগবে এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত করি যদিও এর আগে দুটি পর্ব উপস্থাপন করেছিলাম সেই ধারায় আজকের তৃতীয় পর্ব উপস্থাপন করতে চলেছি ।আশা করছি সবার ভালো লাগবে এই আশা প্রত্যাশা রেখে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
যাহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম মন্দিরে যাওয়ার পর সেখানকার পরিবেশ এবং মন্দিরের প্রদর্শন দর্শন এরপরই শুরু হয় পূজা অর্চনা। সেখানে বিভিন্ন রকমের ধর্ম কথা বলা এবং কি ধর্মভিত্তিক নৃত্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব মিলেই সকালের প্রহর টা বেশ ভালোই কেটেছিল।
এক পর্যায়ে পূজা শেষে প্রসাদ ভোগ আয়োজন হয় ।আর প্রসাদ খেতে গিয়েই অনেক সময় ব্যাহত করতে হয়েছে। আসলে অনেক ভক্তবৃন্দ হওয়ার কারণে প্রসাদ খেতে অনেকটাই কষ্ট করতে হয়েছে ।আসলে ঈশ্বরের প্রসাদ পাওয়াটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার বলা যায়।
প্রসাদ খাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। অনেক ভক্তবৃন্দ হওয়ার কারণেই সবাইকে হাতে হাতে প্লেট দিয়ে দাঁড় করানো হয়েছে এমনকি এক এক করে সবাইকে ভগবান জগন্নাথ দেবের প্রসাদ দেওয়া হচ্ছিল।
আমি নিজেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর তারপর ভগবানের প্রসাদ পাই ।এবং কি প্রসাব ছিল অনেক সুস্বাদু বলে না যে ভগবানের প্রসাদ বলে কথা ।তার জন্যই হয়তো এত সুস্বাদু হয়েছিল আমি তো আবার দুইবার নিয়েছিলাম ।তবে এই দুইবার নিতে গিয়ে অনেকটা চালাকি করতে হয়েছিল ।
একদিকে চলছিল ভোগ প্রসাদের বিতরণ আর আরেক দিকে চলছিল জয জগন্নাথ দেবের পুজোর
যজ্ঞ যেখানে ইসকন সম্প্রদায়ের বড় বড় প্রভু সাধু পুজো করছিল ।
এটা সত্য হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি উৎসব অনেক প্রফুল্ল আনন্দ উদযাপন। এবং কি ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনার যে মৌলিকতা সেটা প্রতিটি পুজোয় বেশ ভালোভাবেই ভক্তবৃন্দ সে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করে ।।যাহোক মেলাটা বেশ জমির বিভিন্ন প্রকার দোকান ভালো লাগলো হাওয়া বেলুন গুলো।
যা হোক প্রিয় বন্ধুরা সবকিছু শেষ হওয়ার পর এবার রথের দড়ি ধরার পালা ।আর এই রথ টানার ব্লগটি আরেক দিন আপনাদের মাঝে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরবো এমনটাই আশা ব্যক্ত রেখে ।আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করেছি।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
আমাদের এখানেও রথের মেলাতে সবসময় প্রসাদ দেয়, তবে ভিড় হলেও সব কিছু সুষ্ঠুভাবে প্রায় সবাই। তবে ওরকম ব্যাপার নেই যে, একবারই দেবে প্রসাদ। আপনি যতবারই খেতে পারবেন ততবারই দেবে পেট ভরে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
আসলে কি দাদা আমাদের এই দিকে খুব একটা প্রসাদ ভোক হয় না ৷ যা দিয়ে ভক্তদের সবাকে দেয়া যায় ৷ আর তাই লাইন ধরে সবাইকে সমান করে দেওয়ার জন্য ই এমন পদ্ধতি ৷
আপনারা যখন এই সমস্ত বিষয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট করে থাকেন তখন আমরা নতুন কিছু জানতে পারি এবং ধারণা লাভ করি। খুবই ভালো লাগে এই সমস্ত জিনিস গুলো জানতে। পূর্বে আমরা বইতে পড়েছি কিন্তু পড়া আর বাস্তবতার মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রথের বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন।
হ্যাঁ ভাই রথযাত্রা নিয়ে বইয়েও পড়েছি ৷ আর সেই সাথে আবার বাস্তব কিছু দেখলেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোষ্ট টি পড়ার জন্য ৷