বাংলাদেশের উত্তরের শহর রংপুর শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্যই পরিচিত নয়, বরং এটি একটি প্রাণবন্ত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান। তারই এক অনন্য উদাহরণ রংপুর চিড়িয়াখানা। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক – সকল বয়সী মানুষের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান। আমাদের এই ব্লগে আমরা রংপুর চিড়িয়াখানার প্রথম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো।

আমাদের যাত্রা শুরু হয় সকাল ৮টার দিকে। রংপুর শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয় চিড়িয়াখানাটি – প্রায় ২ কিলোমিটার দক্ষিণে, বিনোদপুর এলাকায় অবস্থিত। রাস্তা বেশ ভালো, চারপাশে সবুজ গাছপালা, যেন শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির মাঝে ঢুকে পড়েছি। টিকিট কেটে প্রবেশ করতেই মনে হলো যেন আমরা অন্য এক জগতে প্রবেশ করেছি।রংপুর চিড়িয়াখানাটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি প্রায় ২১ একর জমির উপর বিস্তৃত। ভিতরে প্রবেশ করেই চোখে পড়ে দারুণভাবে সাজানো সবুজ ঘাসের লন, ফুলের বাগান আর ছায়া ঘেরা পথ। পাখির কলকাকলি আর বাতাসে গাছের পাতার মৃদু শব্দ মিলে এক প্রশান্ত পরিবেশ তৈরি করে।

আমাদের প্রথম দৃষ্টি যায় হরিণ এর দিকে। বেশ কয়েকটি চিত্রা হরিণ ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেউ কেউ আবার বিশ্রাম নিচ্ছে। এরপর দেখা মেলে মায়া হরিণ, শুয়োর, বানর, বনরুই ইত্যাদি প্রাণীর। সবচেয়ে চমকপ্রদ ছিল একটি বিশালাকৃতির রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সে যেন তার রাজসিক ভঙ্গিমায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাশে থাকা দর্শনার্থীরা মোবাইলে ছবি তোলায় ব্যস্ত।

এরপর আমরা গেলাম পাখির খাঁচার দিকে। সেখানে ময়ূর, কাকাতুয়া, টিয়া, বাজপাখি, হাঁস-মুরগি সহ নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি রাখা হয়েছে। ময়ূরের রঙিন পাখা মেলে নাচ দেখা ছিল আমাদের দিনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।বেলা ১২টার দিকে আমরা চিড়িয়াখানার মধ্যে থাকা ছোট ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু হালকা নাশতা করলাম। সিঙ্গারা, চা, পানীয় – সবই পাওয়া যায় এখানে। বসার জায়গাও ছিল ছায়াঘেরা ও আরামদায়ক। শিশুদের জন্য দোলনা ও স্লাইডও আছে, যাতে তারা খেলাধুলায় মেতে উঠতে পারে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।