রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙ্গা আম প্রায় শেষের দিকে
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
★আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব★। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে রংপুরর সেই বিখ্যাত হাঁড়িভাঙ্গা আমের ইতিহাস এবং পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করবো।তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
![]() |
---|
হাঁড়িভাঙ্গা আমের উৎপত্তি রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ এবং পীরগঞ্জ অঞ্চলে। প্রায় ২০-২৫ বছর আগে এই আমের পরিচিতি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে এটি স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তা পায়, তারপর ধীরে ধীরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বাজার দখল করে নেয়।এর গঠন তুলনামূলকভাবে লম্বাটে, আঁশবিহীন এবং অত্যন্ত মিষ্টি ও রসালো। কাঁচা অবস্থায়ও এই আমের গায়ে হালকা লালচে আভা থাকে, যা পাকলে আরও উজ্জ্বল হয়। খোসা পাতলা হওয়ায় খেতে যেমন সহজ, তেমনি এটি দীর্ঘ সময় সংরক্ষণযোগ্যও নয় – আর সেটাই এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
হাঁড়িভাঙ্গা আম সাধারণত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসতে শুরু করে। শুরুতে এর দাম একটু বেশি থাকে, তবে মধ্য জুনে এসে সরবরাহ বাড়ে এবং দাম কিছুটা কমে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজারে এর পরিমাণ কমে যেতে থাকে, এবং মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে দেখা যায় — প্রায় শেষ।এখন জুলাইয়ের ১১ তারিখ। হাটে-বাজারে হাঁড়িভাঙ্গার দেখা মিলছে বটে, তবে তা সংখ্যায় কম, আর স্বাদেও কিছুটা কমতি দেখা যায়। অধিকাংশ আম গাছ থেকে পড়ে গিয়েছে বা পেকে গেছে, বাগানগুলোতে আমের সরাসরি সংগ্রহ এখন প্রায় বন্ধ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এই মৌসুম আর ক’দিনের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বিদায় নেবে।
বাজারে হাঁড়িভাঙ্গার ঘাটতি দেখা দিলেই আমপ্রেমীদের মধ্যে এক ধরনের আফসোসের সুর বাজতে শুরু করে। যারা সারা বছর এই আমের অপেক্ষায় থাকেন, তারা শেষ ক’দিন হন্যে হয়ে খুঁজেন সেরা মানের হাঁড়িভাঙ্গা। তবে মৌসুমের শেষে দাম অনেক সময় আবার বেড়ে যায়, কারণ তখন সরবরাহ কমে যায় কিন্তু চাহিদা থেকেই যায়।
একজন স্থানীয় আম ব্যবসায়ীর ভাষায়:
“এই আমটা এত জনপ্রিয় যে, ক্রেতারা নাম শুনেই কিনে নেন। কিন্তু এখন বাগান ফাঁকা। হাতে গোনা কয়েকদিনের মধ্যেই একেবারে শেষ হয়ে যাবে।”
হাঁড়িভাঙ্গার এই বিদায় আমাদের মনে করিয়ে দেয় মৌসুমি ফলের সৌন্দর্য ও স্বাদ শুধু তা খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আবেগ, স্মৃতি ও সংস্কৃতি। প্রতিবার এই আমের মৌসুম বিদায় নিলে আমরা অপেক্ষায় থাকি আগামী বছরের জন্য।এই আম রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের আয়ের অন্যতম বড় উৎস। তাই আমের মৌসুম শুধু ভোজনপ্রেমীদের নয়, কৃষকদের জন্যও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
হাঁড়িভাঙ্গা আম প্রায় শেষের পথে – এ খবর যেন একসঙ্গে আনন্দ ও বিষাদের। আনন্দ এই জন্য যে, আমরা আবারও এই অসাধারণ স্বাদ উপভোগ করতে পেরেছি; বিষাদ এই কারণে যে, এক বছরের অপেক্ষা শুরু হলো আবার।তবুও আশার কথা হলো — প্রকৃতি নিয়মিত ফিরে আসে। আবারও যখন গ্রীষ্ম আসবে, নতুন পাতা গজাবে, ফুল আসবে গাছে — ঠিক তখনই হাঁড়িভাঙ্গার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে রংপুরের বাগানজুড়ে।ততদিন অপেক্ষা, স্মৃতিতে বেঁচে থাক হাঁড়িভাঙ্গা!
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ্ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
X-promotion
Daily Task:👇
Comment Link:👇
https://x.com/Moto5g638776/status/1943602475413786958?t=Vi93bu0Dztsi4iqCLIHpBQ&s=19
https://x.com/Moto5g638776/status/1943602980860690709?t=NfvKnCWrbNns5hikF7WoVg&s=19
https://x.com/Moto5g638776/status/1943603208036794540?t=Iju6jEvFbkD_WoAsB3Vr-Q&s=19