কাপ্তাই ও রাংগামাটি ট্যুর, শেষ পর্ব

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে কাপ্তাই এবং রাঙ্গামাটির ট্যুর পর্বটির শেষ পর্ব। কারণ আসলে আরো অনেক ছবি ছিলো। কিন্তু এতো ছবি দিলে আমি নিজেই বোধহয় পর্ব হারিয়ে ফেলবো। তাই আজকে আরো বেশ কিছু ছবি দেওয়ার মাধ্যমে এই পোস্টটি সমাপ্ত করবো।

তো আমি যেখানে শেষ করেছিলাম সেটা হচ্ছে আমরা রাঙ্গামাটির লাভ পয়েন্ট গিয়ে ছিলাম। তো সেখান থেকে আমরা চলে গিয়েছিলাম বার্গীতে। এই বার্গী অনেক কাছেই ছিলো এবং সেখানে আমরা এর আগে যাই নি। তো যেহেতু সময় ছিলো। তাই আমরা ভেবেছিলাম যে একবার বাড়িতে ঘুরে আসা যাক। তাই টিকেট কেটে চলে গেলাম।

বাসায় আসার পরে আমার মনে হচ্ছে যে আরো কিছু ফটোগ্রাফি করা উচিত ছিলো। বার্গিতে কিন্তু সত্যি কথা বলতে এতো টায়ার্ড ছিলাম। সেটা আর হয়ে ওঠেনি অর্থাৎ খুব কম ফটোগ্রাফি করেছি।

আমি গিয়েই প্রথমে একটা দোলনাতে বসলাম। আর তার পাশেই একটা জুম ঘর ছিলো অর্থাৎ জুম ঘর কিংবা মাঁচা যেটাই বলি না কেনো।তো তার পাশেই দোল খাচ্ছিলাম কিছুক্ষণ বসে বসে। কারণ প্রচন্ড টায়ার্ড ছিলাম।

আর এরপরে সেই মাচাতে কিছু ছবি তুলছিলাম। আর সত্যি কথা বলতে সেখানে দাঁড়িয়ে আমার একটু ভয় লাগছিলো।কারণ এটা একেবারে লেকের উপরে করা। আর আমার তখন মনে হচ্ছিলো যে এটা বোধহয় ভেঙ্গে পরে যাবে।

আর তারপরে লেকের পারে একটা বেঞ্চে অনেকক্ষণ শুয়েছিলাম। কারণ মানুষ ছিলো না চারপাশে কোনো।তো আসলে বেশ ভালো লাগছিলো শুয়ে শুয়ে লেকের পানি দেখতে।

তো সেখানে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পরে আমরা খাবার খাওয়ার জন্য চলে গেলাম এবং গিয়েই আমি প্রথমে এক কাপ চা খেলাম। কারণ আমার যে কি পরিমান মাথা ব্যথা তখন করছিলো। তা বলে বোঝাতে পারবো না।

এই ছবিগুলো জুম রেস্তোরা থেকে। সেখানেই মূলত চা খেতে গিয়েছিলাম। তো সেই কারণেই চারপাশের কিছু ভিউ ক্যাপচার করেছিলাম।

আর এরপরে আইসক্রিমও খেয়েছিলাম জুম রেস্তোরাতে। তবে এটা চলে আসার সময়। অর্থাৎ একেবারে বাসায় চলে আসার সময়।

তো আমরা মূলত খেয়েছিলাম একটি চাকমাদের হোটেলে। সেটা আমাদের সিএনজির ড্রাইভার আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিলো।আর সত্যি কথা বলতে আমি এতো মজার খাবার কখনো খেয়েছি কিনা আমার মনে পরছে না। বিশেষ করে সেখানে একটা কাচকি মাছের বড়া দিয়েছিলো।সেটা যে কি পরিমান মজা। আমি তা এখন কোনোভাবেই বিশ্লেষণ করতে পারবো না। অর্থাৎ চাকমাদের রান্না যে এতো মজা হয় এটা আমার ধারণাতেও ছিলো না। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো আমরা ড্রাইভার সহ মোট খেয়েছিলাম ১২ জন আর। ১২ জন এর বিল এসেছিলো মাত্র ২০০০ টাকা।তাও আমরা প্রায় পাঁচ থেকে ছয় রকম আইটেম নিয়েছিলাম।

আর সেখানে চা খেয়েছিলাম। অর্থাৎ আরও একটি পাড়ার দোকানে।আর সেখানকার এই রং চা বোধহয় আমার লাইফে খাওয়া সবচেয়ে মজার রঙ চা। তাহলে আপনারাই বুঝুন যে কি পরিমান মজা ছিলো।

যাইহোক, আর এর পরে তো বাসায় চলে আসলাম। আর বাসায় আসার সময় বিশাল এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তো তাও আসলে শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক বাসায় পৌঁছাতে পেরেছিলাম। সেটা অন্য কোনো এক পর্বে শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।