সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আশা করব আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমরা ধারণা লাভ করি।
ফটোগ্রাফির শুরুতে সবজি দিয়ে শুরু করলাম। প্রথম ফটোগ্রাফি এটা আপনারা লক্ষ্য করে দেখছেন অনেক সুন্দর গাজর। এগুলো খুব সুন্দর ভাবে মাটির নিচ থেকে তুলেছিলাম একদিন। গ্রামে ঘুরতে গেলে বিভিন্ন জিনিস মনটাকে মাতিয়ে তোলে। আমি অনেক সুন্দর ভাবে মেয়েগুলো মাটির নিচ থেকে তুলেছিলাম আমার আংকেলের জমি থেকে। আমি দেখি আশ্চর্য হয়ে গেছিলাম। সৃষ্টিকর্তার কি সুন্দর সৃষ্টি তাই না। কত সুন্দর গাজর গুলো মাটির নিচে হয়েছে। তাইতো সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি বরই গাছে বেশ অনেকগুলো বড়ই ধরেছে। আমরা এগুলো কুল নামে চিনে থাকি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এই ফল। ইতিমধ্যে আমরা এক ফল আর এর সিজন পার করে এসেছি। হয়তো আবারো আগামীতে দেখতে পারবো গাছে গাছে এমনকি হাটবাজারে। আমি মনে করি আমাদের সকলের কম বেশি কুল খাওয়া প্রয়োজন। এই ফলটা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
এ ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম বোন জঙ্গলের মধ্যে থেকে। যেখানে অনেক কচু গাছ রয়েছে। কচুর পাতার উপর বৃষ্টির পানি পড়েছিল। সেই পানিগুলো জমে রয়েছে ফোটায় ফোটায়। হয়তো পাতা একটু নিচ হলেই গড়িয়ে চলে যাবে পানির ফুটা গুলো।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর পাতাকপি বা বাঁধাকপি। গ্রামে থাকতে আমরা পাতাকপি নামে জানতাম। তবে লেখাপড়া শিখতে গিয়ে শুদ্ধ ভাষায় উচ্চারণ করতে জানতে পেরেছিলাম বাঁধাকপি। যাই হোক এখনও গ্রামে গেলে এই সুন্দর শীতকালীন সবজি গুলো দেখতে পাই। শীতের আগে অথবা পরেও এই সবজিগুলো আমাদের মেহেরপুর এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়।
এখন কাঁঠাল গাছের দিকে তাকালেই দেখতে পাওয়া যায় গাছে গাছে অনেক অনেক কাঁঠাল ধরে রয়েছে। আসলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমাদের বাসায় বেশ কয়েকটা কাঁঠালের গাছ রয়েছে। আমাদের বাসার বাইরেও অন্যান্য মানুষদের কাঁঠাল গাছ রয়েছে। আমাদের বাসার চারপাশটা শুধু কাঁঠাল গাছের ঘেরা। সেখান থেকেই ফটো ধারণ করেছি।
ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়া একটা সময়। গাড়ির মধ্য থেকে ফটো ধারণ করেছিলাম। এটাই হচ্ছে আমাদের ঢাকা শহরের অবস্থা। শহরের অলিতে গলিতে অথবা হাই রোডে যখন তখন জ্যাম বেধে যায়। আর এই জ্যামের সম্মুখীন হলে বেশ বিরক্ত অনুভব করতে হয়।
এটা আমাদের ঢাকা শহরের সুন্দর একটি চিত্র। কাওরান বাজার থেকে শাহবাগের ভিতর যেতে ফটোটার ধারণ করেছিলাম। আমাদের দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা যথেষ্ট সুন্দর হয়ে গেছে। একদিকে সড়ক পথ আবার আরো সুবিধার জন্য মেট্রো রেল লাইন। তবু ও পথে ঘাটে ট্রাফিক জ্যামের শেষ নেই। আসলে আমাদের ঢাকা শহরটা অনেকটাই ছোট। সেই তুলনায় অতিরিক্ত মানুষের উপস্থিতি এই শহরে। তাই আমি মনে করি বিশেষ বিশেষ শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যান্য জেলাতে বেশি গড়ে তোলা প্রয়োজন। এতে হয়তো ঢাকা শহরের চাপ কমবে।
এখানে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রাস্তার বাম পাশে ট্রাফিক জ্যাম লেগে গেছে। এদিকে রাস্তার ডান পাশটা কতটা ফাঁকা। এটাই হচ্ছে আমাদের ঢাকা শহর। আমার কাছে ভালো লাগে এই সমস্ত দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় আটকাতে। যখন ছোট ছিলাম তখন মনে মনে ভাবতাম ট্রাফিক জ্যাম কেন হয়। আর এখন মনে চিন্তা আমাদের দেশ থেকে এই জাম দূর হবে কবে।
একদম ট্রাফিক জ্যাম থেকে বের হয়ে সবুজ ফসলের মাঠের দিকে চলে আসলাম। দেখুন কত সুন্দর ফসলের মাঠ। মাঝেমধ্যে এমন সুন্দর সুন্দর কৃষি জমির দিকে ছুটে ঝুঁতে মন চায়। আমি অনেক বেশি পছন্দ করি এমন সুন্দর সব অসাধারণ অসাধারণ মাঠগুলো। এখানে কৃষকরা নিজের প্রচেষ্টায় অনেক পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করে ফসল ফলিয়ে।
আম গাছের ডালে বসে রয়েছে খুব সুন্দর একটি শালিক পাখি। পাখিটা কেন জানি চেয়েছিল আমাদের দেখে। তার এমন চেয়ে থাকা দেখেই ফটো ধারণ করেছিলাম। তখন যেন আরো তীব্র গতিতে তাকিয়ে রয়েছে আমাদের পানে। অনেক ভালো লাগছিল আমার সুন্দর পাখি দেখে।
ফটোগ্রাফি | রেনডম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | mobile camera |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
আজকের আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। তবে শহরের যানজট থেকে গ্রামের প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো আমার বেশি ভালো লেগেছে। আর সব থেকে মন ছুয়ে গেছে শেষের আম গাছের ডালে বসে থাকা শালিক পাখিটিকে দেখে। এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
একেবারে মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফির মধ্যে দিয়ে আজকে আপনি আপনার এই পোস্ট সাজিয়ে তুলেছেন৷ যেভাবে আপনি এখানে সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ এখানে আপনি সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ এর মধ্যে শেষের দিকে ফসলের মাঠ এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেটি আমার অনেক ভালো লেগেছে৷