প্রথম রোজা যেভাবে কাটলো আমার।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? আমি আছি ভালোই। তা সবার রোজা কেমন কাটলো। এইবার প্রথম রোজায় আমার উপর ভালোই ধকল গিয়েছে। প্যারার উপর ছিলাম খুবই। আর এবারই প্রথম যে বাসার সবার সাথে প্রথম রোজার ইফতার করতে পারলাম না আমি। অফিসেই করতে হয়েছে সব। যাক কি আর করা। আজ সে বিষয় গুলো নিয়েই কথা বলবো।
এবার এর রোজার প্রথম দিন অন্যবারের মতন ছিলোনা। সব দিক থেকেই যেনো আলাদা একটি রোজার শুরুর দিন আমার ক্ষেত্রে। গতকাল শুক্রবার ছিলো আমাদের প্রথম রোজা। তো সেদিন আমাদের ৩ টা পরীক্ষা ছিলো। তাও পর পর আর সকাল বেলা। যদিও এটা ব্যাপার ছিলোনা কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে আজ আবার অফিস ও ছিলো। আমাদের ইনভেন্টরি হবে। অর্থাৎ সব কিছুর হিসাব করা হবে। এই জন্য ৩ মাস পর পর ইনভেন্টরি করে। যেহেতু আমি পার্টস ইনচার্জ হিসেবে আছি তাই এখানে থাকা টাও আমার জন্য অনেক জরুরী ছিলো। তবে স্যার কে ফোন দিয়ে বলার পর বললো আমাকে বাদ দিয়েই করতে। তবুও একটা দায়িত্ববোধ আছে। তাই ভাবছি পরীক্ষা দিয়েই চলে আসবো। তবে ঘুম একদমই হয়নি ঠিক মতন। কারণ আগের দিন রাতে ঘুমিয়েছিলাম রাত ২ টার দিকে। এরপর ৩ টা ৩০ এর পর উঠে যাই। সেহরি খেয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে বেজে যায় ৫ টা। এরপর আবার ঘুম থেকে উঠে এসাইনমেন্ট করতে বসি সকাল ৭ টার দিকে। এরপর গোসল করে ৮ টায় ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেড় হয়ে যাই বাসা থেকে। ঘুমে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম। তবুও ৯ টায় ভার্সিটি পৌছে যাই। বাসা থেকে যখন বেড় হয়েছিলাম তখন দেখলাম রাস্তাঘাটের সব দোকান বন্ধ। মানুষ ও তেমন একটা ছিলোনা রাস্তায়।
ভার্সিটি যেয়ে একে একে ৩ টি পরীক্ষা দিলাম। প্রথমটা অনেক ভালো হয়েছে। তো দ্বিতীয় পরীক্ষায় মজার এক কাহিনী হয়েছিলো। ম্যাম আমাদের যে সিলেবাস দিয়েছিলো। সেটি থেকে প্রথমে প্রশ্ন করেনি। কিন্তু যে ম্যাথ দিয়েছিলো সেটি আবার আমি পারতাম অনেক ভালো করেই। কিন্তু ক্লাসের বাকি সবাই আবার সেটা পারতোনা। আমি সুন্দর ভাবে করে উত্তর বেড় করে রেখেছি। তখন ওরা ম্যামরে বলে এটা সিলেবাস এ ছিলোনা। কি আর করা ম্যাম আবার নতুন করে পরীক্ষা নিলো। কিন্তু এবার ফেসে গেলাম। সিলেবাসে যেগুলো ছিলো সেগুলো থেকে দিলো। কিন্তু এবার তো আর আমি পারিনা। পুরাই মাথা নষ্ট। আগের ম্যাথটা এতো সুন্দর ভাবে পারতাম। অথচ পরীক্ষার সিলেবাসে যেটা সেটাই পারিনা ভালো মতন। তবুও আমি আগেরটাই রেখে দিয়েছিলাম। নতুন একটা দেখে দেখে যেটুক পারছি করেছি। হেহেহে।
এক্সাম শেষে বাসের জন্য অনেকক্ষন দাঁড়ালাম। কিন্তু সব বাস ভরা ছিলো। তাই আর যায়গা পাচ্ছিলাম না। আর এই গরমের ভিতর রোজা রেখে দাঁড়িয়ে জ্যাম এ আটকে থাকা আমার পক্ষে অন্তত সম্ভব না। তাই পাঠাও করে চলে গেলাম। এসেই শুরু হলো আমার উপর চাপ। ইনভেন্টরিতে হাত দিলাম। আহা কাজ আর কাজ। কাজ করতে করতে আমি একদম শেষ। একদম সব পার্টস বেড় করে করে হিসাব করতে হয়েছে। পরে চলে গেলাম জুম্মা পড়তে। জুম্মা শেষে আবার কাজে মন দিলাম। ইফতারি করলাম এখানেই। ইফতারিতে ছিলো বিরিয়ানি। তবে আমার খুব খারাপ লাগতেছিলো। কারণ এই প্রথম বার প্রথম রোজার ইফতার বাসার মানুষের সাথে করতে পারলাম না। যাক ইফতারি শেষে আমরা এখানেই জামাত করে নামাজ শেষ করে নিলাম। এরপর কাজ ধরলাম আবার। রাত ৯ টায় কাজ শেষ হয়। তারপর রওনা দেই বাসার উদ্দ্যেশ্যে। তো এই ছিলো আমার প্রথম রোজার দিনটি।
তো এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট এ। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আপনার পোস্টটি পরে বুঝতে পারলাম, আপনি প্রথম রোজাটি অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করেছেন। তবে পরীক্ষা শেষ করে গরমের মধ্যে ভিড় যুক্ত বাসে যাতায়াত করাটা সত্যি খুব কঠিন। তারপরও জুম্মার নামাজ যে আদায় করেছেন তার জন্য শুকরিয়া।
জ্বি ভাই। খুবই ভিড় ছিলো সেদিন।
প্রথম রোজার অনুভূতিটা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দিনটা যেভাবে পার করেছেন তার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এই পোস্টের মধ্যে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট করে আশা করি এভাবে আপনি আরো অনেক কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন মাঝে মাঝে যা করে একটি ধারণা লাভ করতে পারবো।
আসলে ভাই এবারের প্রথম রোজাটা অন্যান্য বারের থেকে অনেকটাই আলাদা ছিলো।
রোজার মধ্যেও পরীক্ষা ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি অবাক লেগেছে আসলে ভার্সিটিতে যারা পড়ে তাদের যেন দুঃখের শেষ নেই। কোন কিছুতেই একটু কনসিডার করে না। যাইহোক ভালো একটা দায়িত্বে রয়েছেন নিজের দায়িত্ববোধ থেকে যেকোনো কাজেই নিজেকে উৎসর্গ করা উচিত বলে আমি মনে করি। যাইহোক পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটা পড়ে খুবই হাসি পাচ্ছিল অবশেষে ফেঁসেই গেলেন হাহাহা।
হ্যা ভাই। তাও সেগুলো ছিলো ক্লাস টেস্ট। এই শুক্রবার থেকে সেমিস্টার ফাইনাল আমার।
প্রথম রোজায় এত ঝামেলা কিভাবে সহ্য করলেন? স্বাভাবিক দিনেই পরিক্ষা দিতে গেলে ক্লান্ত হয়ে যাই আর আপনি রোজা রেখে পরিক্ষা দিয়েছেন। তাছাড়া রাতে আবার ঘুম ও হয়নি। অনেক স্ট্রাগল করেছেন।
করতে হলো ভাই। কি আর করবো বলেন। কিছুই তো করার নাই এখানে।