অফিসের কলিগদের নিয়ে ইফতারি পার্টির আয়োজন-অন্তিম পর্ব।।
আমাদের সাথে বাংলা ভাষায় শেয়ার করো ,তোমার মনের সকল অনুভূতি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের অফিসের কলিগদের নিয়ে ইফতারি পার্টির আয়োজনের অন্তিম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজকে ২৬ তম রমজান অতিক্রম হচ্ছে। যদি রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হয় তাহলে দশই এপ্রিল রোজ বোধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি রমজান মাস ৩০ দিনে শেষ হয় তাহলে ১১ই এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর আদায় করা হবে। আর এটা সম্পূর্ণ রুপে নির্ভর করছে চাঁদের উপরে। আমরা রমজান মাসের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেছি আবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে রোজা ভাঙ্গবো।
রমজান প্রায় শেষের দিকে। তাই চারে দিকে প্রচুর ইফতারির পার্টি চলছে। যার যার সাধ্য অনুযায়ী বন্ধু বান্ধব, কলিগ, ফ্রেন্ড সার্কেল মিলে ইফতারি পার্টির আয়োজন করছে। আমরাও আমাদের অফিসের কলিগরা মিলে ছোট করে একটি ইফতারি পার্টির আয়োজন করেছিলাম। এর প্রথম অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। ঐ পর্বে আমি যে যে আইটেম গুলো বাজার সদাই করেছিলাম সে গুলোর ফটো শেয়ার করেছি। আজকে খাওয়া দাওয়া সহ বিস্তারিত কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
ইফতারি শুরুর এক ঘন্টা আগেই আমাদের সকল ইফতারি আইটেম রেডি হয়ে গেছে। রান্না বান্নার সব কাজ আসরের নামাজের আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা সবাই অধির আগ্রহে ইফতারি সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। ইফতারির আধা ঘন্টা আগে আমরা ইফতারির প্লেট টেবিলে টেবিলে সাজানোর কাজ শুরু করলাম। আমাদের এক কলিগ ভাই প্লেটে প্লেটে তেহারি দিলো। আরেক ভাই লেবু,শষা,কাচাঁ মরিচ সালাদ দিলো। আমরা গুনে গুনে টেবিলে সাজিয়ে নিলাম।
আমরা এক প্লেট তেহারির সাথে একটি ছোট বাটিতে প্রত্যেক প্রকারের ফল কেটে দিলাম। ছোট বাটিতে রয়েছে দুইপিস তরমুজ,দুই পিস আঙ্গুর,দুই পিস খেজুর, একটি করে কলা, এক পিচ আপেল,দুই পিচ মালটা, দুই পিস কমলা দিলাম। আর প্রতি গ্লাসে বেলের শরবত দিলাম। সারাদিন রোজা রেখে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। আর সেটা যদি বেলের শরবত হয় তাহলে আর কোন কথা থাকে না। তেহারীর প্লেটেই এক পিচ করে চিকেন ফ্রাই দেওয়া হলো। আমরা ইফতারির সময়ের আধা ঘন্টা আগেই টেবিল সাজানোর কাজ শেষ করে ফেললাম।
ইফতারির দশ মিনিট আগেই ধীরে ধীরে সবাই কেন্টিনে আসা শুরু করলো। আমরা আয়োজনটা অফিসের কেন্টিনে করেছিলাম। ঐখানে সব কিছুর আয়োজন করা হয়। ঐ জাগায় খাওয়া দাওয়ার সব কিছুর ব্যবস্থা আছে। সবাই এসে নিজেদের মত করে সিটে বসে গেলো। উপরের ছবিতে আমাদের অফিসের কয়েক জন ম্যানাজার স্যারকে দেখলাম। আমি কার কি দরকার সেটা দিচ্ছি আর মাঝে মাঝে সুযোগ বুঝে ক্লিক করে ফটো তুলছি। এগুলো আমাদের জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। যখন আমরা থাকবো না তখন এই ফটোগ্রাফি গুলো কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।
ইফতারি সময় হওয়ার দশ মিনিট আগে ইমাম সাহেব হুজুর দোয়া করলেন। আমরা তিনির সাথে আমীন আমীন বলতে লাগলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হলো। আমরা যেন প্রতি বছর এভাবে এক সাথে হয়ে ইফতারি করতে পারি,রোজা ইফতারি,তারাবীহ সৃষ্টিকর্তা যেন কবুল হয় সেই জন্য দোয়া করলো। আজান দেওয়ার সাথে সাথে সবাই ইফতারি খাওয়া শুরু করলো। যাদের এক্সট্রা তেহারির দরকার পড়েছে,তাদেরকে আবার দেওয়া হলো। সবাই তৃপ্তি সহকারে ইফতার করলো। যারা আয়োজক থাকে তাদের তেমন খাওয়া হয় না। অন্যদের দিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের পেটের খেয়াল থাকে না। তারপরও আমরা আলহামদুল্লিহ পরিমান মত খেয়েছি। শেষের দিকে কিছু তেহারি এক্সট্রা ছিল। যাদের ফেমিলি আছে তারা বাসায় নিয়ে গেলো। সবাই খুশি মনে ইফতারি করে বাসায় ফিরলো। আমরা আবার সব কিছু গুছানোর কাজে লেগে গেলাম। আমাদের কয়েক জনের সব কিছু গুছিয়ে বাসায় যেতে যেতে প্রায় আটটা বেজে গেলো।
যায়হোক জানিনা সামনের বছর কে থাকবে আর কে থাকবে না। আমি নিজেও থাকতে পারবো কি না জানি না। আমাদের অফিসের অনেকের জীবনে এখানে লাষ্ট ইফতারি পার্টি হতে পারে। সব কিছুই আমাদের অজানা। যায়হোক সব মিলিয়ে আমাদের ইফতারি পার্টিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। পরের দিন সবার মুখেই প্রশংসা শুনেছি। এটাই আমাদের কষ্ঠের ফল। সফল ভাবে ইফতারি পার্টি আয়োজন করতে পেরে আমরাও অনেক খুশি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | অফিসের কলিগদের নিয়ে ইফতারি পার্টির আয়োজন-অন্তিম পর্ব।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১ /০৪ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
রোজা হল প্রত্যেকটা মুসলমানের উপর ফরজ। রোজা সব থেকো সুন্দর মুহূর্ত হলো ইফতারি। রোজার দুইটা পুরস্কার একটা ইফতারি আর একটা হচ্ছে মরনে পরে। সবাই মিলে ইফতারি করার মজাটা একটা অন্যরকম অনুভূতি । আপনি আজকে আপনার অফিসের কলিগদের নিয়ে ইফতারি পার্টির আয়োজন করেছিলেন। এবং সেখানে অনেকজন ইফতারি করেছে দেখছি। সবাই একত্রিত মিলে বেশ আনন্দের সাথে ইফতারি করেছেন এবং সেই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে আপনি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া মোটামুটি ১০০+ মানুষ ইফতার করেছে। ধন্যবাদ।
আপনাদের ইফতার পার্টির প্রথম পর্ব আমার দেখা হয়েছিল। ইফতারের আগে আগেই খুব সুন্দর ভাবে সবগুলো প্লেট সাজিয়ে নিয়েছেন। খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন টেবিলগুলো। অনেক ধরনের আইটেম ছিল। সবার মুখে পরের দিন প্রশংসা শুনেছেন। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে করতে পারলে আসলেই ভালো লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।
জী আপু মোটামুটি ফল খেয়েই সবার পেট ভরেগেছিলো। তেহারি কম খেয়েছে। ধন্যবাদ।
আসলে এইভাবে সম্মিলিতভাবে ইফতার করার মজাই আলাদা। আপনি অফিসে অনেকগুলো ইফতার করেছেন। এরকম সুন্দর মুহূর্ত গুলো যখন দেখি খুবই ভালো লাগে। আমরাও বড় ভাই ব্রাদারের সাথে অনেকবার ইফতার করেছি। অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করেছি ভালো লাগে। অন্তিম মুহূর্তে ইফতার আয়োজন দারুন ছিল। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া এই ধরনের ইফতার পার্টি গুলো খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া আমাদের জীবন অনিশ্চিত। সত্যি আমরা থাকবো না কিন্তু আমাদের সব কিছু থাকবে। যাইহোক আপনারা অফিসের সবাই মিলে বেশ ভালোই ইফতারি করেছেন জেনে ভালো লাগলো আবার বাসায় এনেছেন এটা আরো ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
এই ছবি গুলো স্মৃতি হয়ে সবার কাছে থাকবে। ধন্যবাদ।
আপনার কলিকদের সাথে ইফতার করার অন্তিম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে সহকর্মীদের সাথে এভাবে একত্রে বসে এবং এক জাতীয় খাবার খেয়ে ইফতার করার মধ্যে রয়েছে এক অনাবিল আনন্দ এবং মনের পরিপূর্ণ তৃপ্তি। আমি আশা করি আপনাদের এই ইফতার পার্টির মাধ্যমে আপনাদের পরস্পরের মধ্যে এক গভীর ভাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়েছে।
জী ভাইয়া কলিগদের সাথে এক সাথে ইফতার করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।