রমজানের প্রথম দিন

বছর ঘুরে চলে আসলো রমজান মাস। মুসলিম ধর্মের মানুষের জন্য পবিত্র ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এই মাসের জন্য মুসলিম ধর্মের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকে ও এই মাসকে কেন্দ্র করে অনেক কিছুর আয়োজন করা হয়। মানুষ আল্লাহর রাস্তায় বেশি চলার চেষ্টা করে ও ভালো কাজ গুলো করার চেষ্টা করে। আমি আজকে রোজার প্রথম দিনের কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো। পুরো বছর এশার নামাজ সতেরো রাকার পড়লেও রমজানে সতেরো রাকাতের সাথে যুক্ত করতে হয় আরো বিশ রাকাত। এত নামাজ পড়তে একটু কষ্ট হলেও মনের মধ্যে একটা আনন্দ কাজ করে যে আমি রমজানের রোজা রাখার জন্য তারাবির নামাজ আদায় করছি।

এরপর সেহরির সময় হলে চারদিকে মসজিদ গুলো থেকে ঘুম থেকে জাগার আওয়াজ আসতে শুরু করে। সারাবছর এমন মাঝরাতে উঠতে পারাটা কোনো ভাবেই সম্ভব না কিন্তু রমজানে এই সময়টাই প্রতিটি ঘরের প্রতিটি মুসলমান উঠে খাওয়া দাওয়া করতে। রমজানের প্রথম দিনের প্রথম সেহরি খেতে হয়তো একটু কষ্ট হয়, বেশি একটা খাওয়া যায়না তবে আস্তে আস্তে এই সময়টাতে খাওয়ার অভ্যাসটা পুরোপুরি হয়ে যায়। রোজার প্রথম দিকে অনেকেই ভুল করে কিছু মুখে দিয়ে দেয় যা আমি ছোটবেলায় অনেক করেছি। কোনো কোনো সময় কিছু একটা খাওয়া শেষ করার পর মনে পড়তো আমি রোজা।

যাইহোক, ছোটবেলায় এমন কান্ড সবাই করে থাকে তবে ভুল করে কিছু করে থাকলে রোজার কোনো ক্ষতি হয়না। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার কোনো ঝামেলা থাকেনা এরপর ইফতার তৈরি করা নিয়ে সকলেই বেশ ব্যস্ত হয়ে যায়। সারাদিন রোজা রাখার পর সকলেই চাই ভালো কিছু দিয়ে ইফতার করার জন্য। তাই বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন করে ইফতার করে থাকে সকলেই। আমি নিজেও বেশ কিছু খাবারের আয়োজন করেছি তবে জানিনা প্রথম দিন হিসেবে কতটুকু খেতে পারবো।

মুসলমানদের জন্য রমজান মাস যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস ঠিক তেমনি উপকারী একটি মাস বলে আমি মনে করি। এই মাসে অনেক খারাপ মানুষ ভালো হওয়ার চেষ্টা করে। বেনামাজির নামাজ পড়ার চেষ্টা করে। আর রোজা রাখলে শরীর ভালো থাকে ও শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটা আমি নিজেই প্রমাণিত। আমরা মুসলিম ভাই ও বোনেরা সকলেই চেষ্টা করবো রমজান মাসের সকল রোজা রাখার ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মতো আদায় করার। কারণ এই রমজান পার হলে পরের রমজান পাবো নাকি না পাবো এর নিশ্চয়তা আমরা কেউ দিতে পারবো না।